Saturday, June 20, 2020

দেবযানী বসু-র কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন 
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
                        দেবযানী বসু-র কবিতা

নিষিদ্ধ সিদ্ধতায় 

শিশ্নরসবিধৌত অসমতলগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে। এত ছটফট করে সঙ্গম করা হাত পা কথায় কথায় যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয়। জমিনদার শিকড় হোক প্রেমের। যাবতীয় যোনি এলিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ডের কী-হোল। ভিক্ষের সানকি পাতা চৌদোলা । দিনের আসবাবপত্র রাতে ভূতগিরি করে। এই স্বরের জন্য কি পুরোনো অভ্যেস কিছু নীরবে ফিরে আসছে? নিজের হাতটা শত্রু হল। ভালো করে মোমছাঁচ লাগানো হয় নি। লিঙ্গগুলো স্বয়ংক্রিয় গিটার। কর্ক ওপেনার সাহায্য করে এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে যেতে। সাখিয়ারা যৌনতার সাদাকালো তীব্রতায় আক্রান্ত। একমাত্র দাবনাবাজানো ঘোড়ারা মেয়ে ঘোড়াদের পাশে থাকে। যৌনমুখর দিন যোনিচেরা চিৎকারে ফিরিয়ে দেয়।


একটি মডিফায়েড মৃত্যু চেয়ে 

ঠান্ডা অক্টোবরের জন্য অপেক্ষা অলাভজনক
আমরা এখনই কেঁপে উঠছি নাক ও গলার ভিতর
হাতে পায়ে খ্যাপলা জালের ঠাট্টা
শ্বেতবরণ মরণের কবর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে
অথবা বিদ্যুৎ মুষড়ে পড়ছে কনকনে ব্যথায়
কুলোঝাড়া দুয়েকটা ফিরে আসা বটপাকুড়কে প্রণাম
মুড়িমুড়কিরা থালা উপছে হারিয়ে গেছে
বদলে টুমিনিটসনুডলভুক চাট্টি নক্ষত্র টিমটিমে আলো দেয়
অক্টোবরের ফাঁকি ছড়িয়ে পড়ছে যোজনায় যোজনায়
দোয়াড়িতে স্রোত পর্যন্ত আটকে দিচ্ছে চকচকে বুট
ব্যাঙাচি থেকে ব্যাঙ হতে এক যুগ খরচা হল
কোলকাতা হাওড়ার ইড়া পিঙ্গলা সুষুম্নায় জোর টান লেগেছে
কাশতে কাশতে ধমক দিচ্ছি আর মরে যাওয়া আটকানোর উপায় নেই
সূর্পনখা চটিজুতো কিনে রাখি অপঘাতে মৃত্যু যদি ধরো


জীবনবাড়ি 

এক তীব্র ধুলোয় ধুলো প্রজাপতিদের পাখা
বাংলার স্তনবৃন্তে কঠিনতা দেয় মা হারা পোষ্যরা
হরপ্পার কবরপেটানো হাওয়া গলায় চেপে বসছে
আমাদের সুড়ঙ্গ খোঁড়া জীবন নুড়িপাথরের গাজোয়ারি মেনেছে
ঘুমের আগে খাবলা খাবলা অন্ধকার তুলি
আবার জড়ো হয়
মাথা নিচু করে প্রেমের কবিতা সাগরযাত্রা করছে
ঘুর্নিঝড় এখন সিরিয়াল কিলার
প্রসবিত শিশুর অভ্যাসে তারা গা মোচড়ায়
রোজ প্রদীপের আলো আর আলেয়ার আলো মারপিট করে
ভ্যাপসা গন্ধে মশগুল কবন্ধ গাছেরা
প্রাকৃতিক লীলায় মজে থাকি
দলে দলে শহর নগর গায়ে নমঃশূদ্র পান্ডুলিপি
পা দিয়ে আকাশ স্পর্শ করাটা ততটা দোষের নয় আর
মৃত ভাইরাসের কলার টোন গলায় ছুটছি
গাছ থেকে সম্ভাব্য ঝরাপাতা ছেঁটে দিচ্ছে মালিক ও মালী দুজনেই
ক্যাবলা হাসি ফুটিয়ে আদালত ও ইমারত উড়িয়ে দিচ্ছি

বাঘবন্দী ঘর 

রাক্ষসখোক্কসদের পরিপাটি করে খেতে দি
ভুল আর বিভ্রম ছুঁয়ে যাযাবর প্রেম ভালো আছে
যে নেই তার হাজার টনের ভূত ঘেঁষে বসে
পরিশ্রম সব খাবি খেয়ে উঠল মাথায়
ছিন্ন ভিন্ন মাংসের টুকরো সব গ্ৰন্থাগারে জমা পড়েছে
কুকুরের দন্তহীনতা তাও কাঁদাচ্ছে আমাকে
হিংস্র রঙের উপর রঙ চড়িয়ে সকাল হয়
প্রেস ওটের রূপকথায় চলতে চলতে পা শক্ত
খালি ঝুলি দরবেশ এক ছিলিম হেমন্ত ফুঁকে ঝুঁকে থাকে স্তনের উপর
ফোয়ারায় গুঁজে দিয়েছে দরবেশ অশ্বশক্তির শয়তানি
ভিডিওতন্ত্রে এসে ঘাস বোঝে সামান্য স্ন্যাপশটে সে কেন অতখানি দুলেছিল
পুরষ্কৃত আমাদের অকারণ মৃত্যু
শরীরের উত্তর ও দক্ষিণ মেরু পালা করে গান গায়
তছনছ খাবার টেবিল
টেবিল তাঁর দ্বিতীয় মিসাইলের সন্ধানে উজানে  যাবে
অভিবাসী কান্না ছাড়পত্র ভিজিয়ে দিয়েছে


চুপ করোনা চলছে 

ছিলেকাটা বাসনকোসনের সংসার বহুমাত্রিক।
নাটকের গান্ডুচরিত্রটি ঘসেমেজে লম্বা করতে থাকি। নিত্য বর্তমান কিছু অঙ্গীকার চুপচাপ সরিয়ে ফেলছে। জুতোর তলায় গজানো নতুন দ্বীপ দুটো হট্ট হট্ট ঘোরাচ্ছে। ব্যাগাটেলে বোর্ড এর গান বাঘের সাঁতার দিঘিতে খুঁজে পেলাম। ঠিক সময়ে ঠিক বানান মনে পড়ে না বলে কাঠুরিয়া পাখির মনখারাপ লিখতে পারিনা। তামাশা ঝুলে থাকে চোয়ালে। বাঘের বৃদ্ধাবাসে   আমার জায়গা হল। প্রেমের অপরাধ যত অ্যাসিমটোমেটিক। একটা সময়ের পর ঢ্যাড়শের বিচি আর হজম হয় না। একটা সময়ের পর কুমিরের চোখ নয় নাকের কান্না চোখে পড়ে। বাকি তো রাখতে হবে ভুলজীবনের ঠিক ও ঠাক। আপনি পিছমোড়া করে বাঁধলেন আমাকে। লকের আপ ও ডাউন একজীবনে সুহৃদ সুহৃদ।


No comments: