সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
সুশীল হাটুই-এর কবিতা
সাবানের সঙ্গে গল্প করে
নীল স্নানঘর জ্যোৎস্নায় ভেসে গেল।
জানতেই পারিনি আপেলের গৃহযুদ্ধ শুরু
হয়ে গেছে।
জানলে কী-ই-বা করতাম?
এই যে কাচের গ্লাসে লাল রং-এর সালসা,
এই গ্লাস আমি কখনো কভারড্রাইভ
করেছি?
বুঝতেই পারি না,
চাতক কেন মেঘতন্দুরি ভালোবাসে, আর
কেনই-বা আয়নার প্রচ্ছদে রূপের
অহংকার?
আজ দেখতে পাচ্ছি,
ফ্রক-কিশোরীর আঙুলে রক্ত। জাগরণ
দেখে হিংস্র ঘুম,
ভয়ে ঘুমিয়ে পড়ছে।
দাঁতের ফু'য়ে সধবা আপেলটি
নিভে গেল।
তারপর থেকেই জুডাসের রোগা ছায়াটি
শিস দিচ্ছে :
এরপর কেউ 'নিউটন সংহিতা' পড়বেই না।
ডাঁসানো-পেয়ারাগুলি কাঠবেড়ালির নকশি-
কাঁথা ভালোবাসে।
আঙুরগুলি শেয়ালের বিষাদযোগ থেকে
খুঁজে নেয়, T-20-র উল্লাস।
কিশোরী শশাগুলি কেন কম্পিউটার
জানে না, সেই প্রশ্ন ওঠার আগেই,
জুডাসের ছায়াটি দৌড়োচ্ছে।
একটা লাশ পড়ার পর, সবুজের ভিতর
মশাল জ্বেলেছে,
আপেলের রৌদ্র-সেনা।
আজ আমি সত্যি কথা-ই বলছি :
শীতের জ্যোৎস্না মাখা দুপুর আমাকে
একটা ডিভান উপহার দিল।
আমি ডিভানের ডি থেকে ডিওডোরেন্ট
ভা থেকে ভায়োলিন আর ন থেকে
নখের খিদে অনুবাদ করলাম।
আমি ডিভান পেয়ে আর কী করতে পারতাম
তা নিয়ে কাগজ এবং কলমের মধ্যে দূরত্ব
থাকতে পারে।
তবে দূরত্বকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে পৌঁছে দিতে
আর্কিমিডিসের সূত্র কতটা সক্রিয়
আমি সে-সব ভাবিনি।
কেননা ফুলদানির নক্ষত্র উপাসনা
থেকে জেনেছি, ডিভানের ওপর আলোকবর্ষ
হয়ে থাকা দুটি বিন্দুকে,
একটা ডার্ক ফ্যান্টাসি-ই ফেভিকলের
রাষ্ট্রনীতি শেখাতে পারে,
আমার ডটপেনটি বিকেল হলেই
গোলাপফুলগুলিকে ফ্লাইংকিস পাঠায়। কিন্তু
জানি না, কেন সে সন্ধে হলেই টেলিভিশনটিকে
ভাম্পায়ার বলে ডাকে।
আমি এখন দেখছি, টেলিভিশনটি রাগে
গরগর করছে।
ওয়াশিংমেশিনের দুটো চোখ লাল,
ফ্রিজ থেকে বেরিয়ে আসছে ভয়ংকর হাসি,
এ.সি. রুমে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রতিশোধের
ইস্তাহার।
আমাকে ফিশফিশ করে নিঃসঙ্গ মাউথ-
অর্গানটি বলল,
ম্যাক্সিম গোর্কির ফেলে যাওয়া টেবিলল্যাম্পটি
মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে সকলকে
সঙ্ঘবদ্ধ করছে।
মাউথঅর্গানটি আরো বলল,
ওই টেবিলল্যাম্পের ম্যাসেজ যে-সব আঙুল
ডিলিট করছে,
শীতের আগেই সেই আঙুলগুলিকে মৃত
ঘোষণা করা হবে।
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
সুশীল হাটুই-এর কবিতা
আপেলের গৃহযুদ্ধ
সাবানের সঙ্গে গল্প করে
নীল স্নানঘর জ্যোৎস্নায় ভেসে গেল।
জানতেই পারিনি আপেলের গৃহযুদ্ধ শুরু
হয়ে গেছে।
জানলে কী-ই-বা করতাম?
এই যে কাচের গ্লাসে লাল রং-এর সালসা,
এই গ্লাস আমি কখনো কভারড্রাইভ
করেছি?
বুঝতেই পারি না,
চাতক কেন মেঘতন্দুরি ভালোবাসে, আর
কেনই-বা আয়নার প্রচ্ছদে রূপের
অহংকার?
আজ দেখতে পাচ্ছি,
ফ্রক-কিশোরীর আঙুলে রক্ত। জাগরণ
দেখে হিংস্র ঘুম,
ভয়ে ঘুমিয়ে পড়ছে।
জুডাসের ছায়া
দাঁতের ফু'য়ে সধবা আপেলটি
নিভে গেল।
তারপর থেকেই জুডাসের রোগা ছায়াটি
শিস দিচ্ছে :
এরপর কেউ 'নিউটন সংহিতা' পড়বেই না।
ডাঁসানো-পেয়ারাগুলি কাঠবেড়ালির নকশি-
কাঁথা ভালোবাসে।
আঙুরগুলি শেয়ালের বিষাদযোগ থেকে
খুঁজে নেয়, T-20-র উল্লাস।
কিশোরী শশাগুলি কেন কম্পিউটার
জানে না, সেই প্রশ্ন ওঠার আগেই,
জুডাসের ছায়াটি দৌড়োচ্ছে।
একটা লাশ পড়ার পর, সবুজের ভিতর
মশাল জ্বেলেছে,
আপেলের রৌদ্র-সেনা।
ডার্ক ফ্যান্টাসি
আজ আমি সত্যি কথা-ই বলছি :
শীতের জ্যোৎস্না মাখা দুপুর আমাকে
একটা ডিভান উপহার দিল।
আমি ডিভানের ডি থেকে ডিওডোরেন্ট
ভা থেকে ভায়োলিন আর ন থেকে
নখের খিদে অনুবাদ করলাম।
আমি ডিভান পেয়ে আর কী করতে পারতাম
তা নিয়ে কাগজ এবং কলমের মধ্যে দূরত্ব
থাকতে পারে।
তবে দূরত্বকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে পৌঁছে দিতে
আর্কিমিডিসের সূত্র কতটা সক্রিয়
আমি সে-সব ভাবিনি।
কেননা ফুলদানির নক্ষত্র উপাসনা
থেকে জেনেছি, ডিভানের ওপর আলোকবর্ষ
হয়ে থাকা দুটি বিন্দুকে,
একটা ডার্ক ফ্যান্টাসি-ই ফেভিকলের
রাষ্ট্রনীতি শেখাতে পারে,
ম্যাক্সিম গোর্কির টেবিলল্যাম্প
আমার ডটপেনটি বিকেল হলেই
গোলাপফুলগুলিকে ফ্লাইংকিস পাঠায়। কিন্তু
জানি না, কেন সে সন্ধে হলেই টেলিভিশনটিকে
ভাম্পায়ার বলে ডাকে।
আমি এখন দেখছি, টেলিভিশনটি রাগে
গরগর করছে।
ওয়াশিংমেশিনের দুটো চোখ লাল,
ফ্রিজ থেকে বেরিয়ে আসছে ভয়ংকর হাসি,
এ.সি. রুমে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রতিশোধের
ইস্তাহার।
আমাকে ফিশফিশ করে নিঃসঙ্গ মাউথ-
অর্গানটি বলল,
ম্যাক্সিম গোর্কির ফেলে যাওয়া টেবিলল্যাম্পটি
মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে সকলকে
সঙ্ঘবদ্ধ করছে।
মাউথঅর্গানটি আরো বলল,
ওই টেবিলল্যাম্পের ম্যাসেজ যে-সব আঙুল
ডিলিট করছে,
শীতের আগেই সেই আঙুলগুলিকে মৃত
ঘোষণা করা হবে।








