Friday, July 30, 2021

আমন্ত্রিত সংখ্যা≈রুবি রায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||










রুবি রায়-এর কবিতা



শ্যামাসঙ্গীতের ব্ল্যাকমেইল 

যে চিন্তাগুলি অদৃশ্য দ্রাব হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বটম টু বটুয়ায় --
তারা সকলেই ম্যাটিনি শো ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।
মগডালের স্ক্রিনশট তুলে এগিয়ে গেছে বহুকোশী ইমেজে ।
গোলাপি তৃপ্তিতে ভরপুর সকল আদিমরস ।
এক আটপৌরে ঢেকুর থেকে ওড়ে সাদা পায়রা ।
তবে, দূরে কোথাও শ্যামাসঙ্গীত ব্ল্যাকমেইল করে উঠলে আদিমতা হ্রাস পায় । 
হোমোসেপিয়ান্স থেকে ঝোলে ঝিরণী নৈতিকতা ।
গুপ্তবীজী মন্থর ঘটনার উদাহরনগুলি নিজস্বতা কায়দায় শিশির ফলিয়ে যায় ভ্রু অঞ্চলে । 

সুতরাং, বলা যায় আদিমতা # লুকোনো তৃতীয় জ্ঞানচক্ষু । 

                   
রুদ্রাক্ষ

আমার বুকের গ্লোবাল ওয়ার্মিং যখন বেড়েই চলেছে তখন রুদ্রাক্ষ দুপুর বিষিয়ে গিয়ে ফুলপ্যান্টে তুমি  কবিতা লিখছ ।
ফরটি এইট মেগাপিকসেল ভেদ করে তিন দশ তিন পরিধি সমৃদ্ধ যমজ উষ্ণতা হালকা হল তোমার ছেদহীন অঞ্চলে ।
      তৈলাক্ত সিরিজের কাঠামোয় লাগল পদান্তর ।

আতরমাখা এক্সক্লুসিভ ফেমিনিজমে ভিজে এসেছি তোমার তর্জনী ও বৃদ্ধাঙ্গুলির অসামান্য যোজ্যতায় ।
যখন সেগুলো ঠোটস্থ করি ,পাসওয়ার্ড খুলে বেরিয়ে আসে কিছু তুলতুলে আদুরে শব্দ ।

যদি কখনো , বইমেলার কোলে আমার ধ্যানস্থ আঁচল খসে পড়ে .....তখন তোমায় বেঁয়ে উঠুক সর্পগন্ধা । 
     লিগামেন্ট থেকে কিছু সময় ধার করে ট্রেকিং করো , এরপর একটা পরিভ্রমনের কাহিনী শুরু হবে ৩৫ পৃষ্টা থেকে ।

  
গবেষনার ঠিকানা

সন্দেশ পাঠালাম আমার ব-দ্বীপ সমভূমির ।ঘেমে যাওয়া মাইক্রো সেকেন্ড গুলিতে লাগুক উন্মাদিত বাঁশির সুর ।

          জ্বালামুখ গবেষক হয়ে দাঁড়াক ।

উরুর প্রশস্ত পথ ধরে প্রদীপ নিয়ে সাবধানে পাড়ি দিও এক নতুন মাটিতে ।

তৃষ্ণার্ত ঘাসগুলি সরিয়ে এগিয়ে গেলেই ম্যাচিওর কামিনীর গন্ধে লেখা থাকে শঙ্খ লাগার আবেদন । 

খোলা বোতাম জানালায় চশমা টানলেই দেখতে পাবে দুটো শ্বেত পদ্ম। তাদের বৃত্তাকার দানায় নিম্নচাপের কালোমেঘ ....

সাম্রাজ্য বিস্তার ভঙ্গিতে ফুলগুলোকে হাতের মুঠোয় চেপে ধরো-- মেঘ ভেঙে বেরিয়ে আসুক শান্তির বাণী ।

ঠোটের দাওয়ায় বসে আছে যে বুলবুলি -তাকে ভিজিয়ে দিয়ে নাচিয়ে দিও।

শ্বেত চন্দনে পরিপূর্ণ হোক তিতলির সমভূমি!সঠিক ঠিকানায় চেপে প্রভু চলে এসো ।

দুলে উঠুক সিংহাসন । পরাজিত বসন এবার ধুলো মাখুক । 



Wednesday, July 28, 2021

আমন্ত্রিত সংখ্যা≈নীলিমা সাহা

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||










নীলিমা সাহার কবিতা



'মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতী সমা'

1)  

প্রজ্ঞাপারমিতা স্কুল ।অঙ্কের ক্লাস থেকে 
   ভেসে  আসছে পিথাগোরাস...
   জ্যামিতিপরিমিতির বাইরে ওই তমসরাজসিক    ক্ষেত্রফল----কোকুনের স্থানে উই-এর বাসা
   চৈত্র-স্লেটে উষ্ণ পুকুর--ছমছম ঝমঝমে রাঙা     হাসিরা বুঝলেও পাশেই বাংলা-দিদিমণি 
   টের পায়নি সিঁড়ির মধ্যমা 
   কী ভাঙছে--সন্ধি না প্রত্যয় !

দুপুরমেঘের নূপুরে ততক্ষণে অজস্র  শ্রাবণ--
ভাঙা-গড়ার পাড়ে শীত-সব্জি যেন--ফিজিক্স-পাতায় ইন্টারন্যাশনাল ফিজিওলজি-খেলছে ফেয়ারিরোদ,প্রেমহরকরা...

গৃহান্তরে আর পৌঁছায় না স্যুররিয়েল চিঠি

পাড়াকে পাড়া তবু  ছুটছে নেশা আর নেশায়


2)

নতুন বাড়িটা পুরোনো ইঁটেই গাঁথা--
  
অথচ কী সাধে নামাঙ্কিত 'নতুন বাড়ি'
কুহুকুহু কুহক --পুরোনো ছায়ারই যাতায়াত 
হু হু মনকেমনিয়া শনশন গায়

পর্দায়  দোলে অ-সুখনামা--
বিকেল  আগলে চকচকায় অদূর-সূর্যাস্ত 

নির্নিমেষ ব্যাকুল বকুলকথারা
 
নতুন সাজে  সেজে ওঠে অলীক গর্ভের দুঃখ
প্রথম  বন্ধনে আঁকে মর্মর জ্যোৎস্না 


3) 

দীর্ঘছায়া।আতঙ্ক ।শীৎকার
             ক্ষুধা ...
 জন্মান্তরে রূপকথা--নির্ঘুম সোসিওপ্যাথস
       


আমন্ত্রিত সংখ্যা≈বাপন চক্রবর্তী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||










বাপন চক্রবর্তী-র কবিতা


মাত্র তিন ঘন্টায় তীব্র বশীকরন

ন্যূনতম পাঁচ মিনিট টিঁকে থাকার গ্যারান্টি নিয়ে নিজের মুখোমুখি দাঁড়াবার এক জীবন –

তান্ত্রিকের স্বপ্নের চেয়ে কম নয় ...


তান্ত্রিক জীবন শাস্ত্রীর রোদ্দুরের নাম কেউ জানে না অথচ বিকেলবেলায়, সেপ্টেম্বরে, 

সবকিছুতে যখন সেই বশীকরন প্রকট হয় ... অতীত থেকে তীব্র হয়ে ওঠে নামহীনতা ...


বাড়ি ফেরার বাসস্টপে অচেনা কোনও বাসরুটের নাম মনে আসে 

সবাই ভাবে, সন্ধেবেলার ফিরে যাওয়াতে পকেটে ঝমঝম করবে সারাদিন ...


কিন্তু প্রতিদিন যা কুড়িয়ে আনি ঘরে, প্রতিনিয়ত তা হারিয়ে যায় ...


পকেটের মধ্যে শুধু শৈশবের আমবাগান... ফুটবল বিকেল পেরিয়ে পুকুরবেলার সন্ধেজল...

আর জোনাকির রাত...


বিকেলবেলায়


ভয়গুলো দিয়ে বিকেল বানাও পথ হলুদ বিকেলে ভরে যাক

তখন দূরের কোনও কবিতার লাইন এসেছে পৃথিবীতে... 

জলীয় বাষ্পের বাক্য সারাদিন শ্রাবণে শ্রাবণে ভেসে ... তখন স্তব্ধতা...

 এবার বৃষ্টির পথে আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে চলো। ইঁট ভাঁটা পার হয়ে

                    সবুজ জলের কাছে...

রৌদ্র হয়ে, শালিখের ডাক হয়ে, আর কোনও না-থাকার হাওয়া হয়ে...

বাড়িতে ফেরার টার্মিনাসে নিয়ে চলো...

বৃষ্টির সুতোয় বেঁধে স্মৃতি-পথ... মেঠো রাস্তা... খুব জল-কাদা লিখে দাও 

                    আমাদের কবিতাতে



আর মার্কা চুলকুনির মলম


কথায় কথায় আটকে যাচ্ছে পা... কথা বলতেই পারি না...

হাজার হাজার কথা এসে চুলকে দিয়ে যাচ্ছে

আর সারাদিন চুলকাচ্ছেন

অটোমেটিক চুলকাচ্ছেন...  চুলকুনি থামছে না...

বসন্তের বাক্যগুলো মুছে ফেলতেই

        বিন্দু বিন্দু জমে উঠছে দীর্ঘশ্বাস গ্রীষ্ম,

ওদিকে রোদ্দুরে রং পাল্টে যায় সবুজ পাতার...

কেউ তো ভাবে না সময়ের কথা,

কোত্থেকে এসেছেন... কোথায় যাবেন এইসব রৌদ্র পার হয়ে,

কিচ্ছু জানা নেই

তবু নি:সঙ্গতার জাঙ্গিয়ায় সব ঢেকে

    অটোমেটিক চুলকাচ্ছেন

        চুলকুনি থামছে না...


আমন্ত্রিত সংখ্যা≈রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||









রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়

৫ ফোড়ন 


১)

রাত যত গভীর হয় ক্ষিদে বাড়ে

ক্ষিদের মতন তীব্র সস্ দিয়ে খাওয়া যায় গোটা একটা পৃথিবী

ক্ষুদার্ত সব বেঁচে থাকাগুলো প্রমাণিত হয়
ভীষণ বজ্রপাতে 
ঘনত্ব বাড়ে আশরীর ক্ষিদের

রাত যত বাড়ে zomato-রা সঙ্ঘবদ্ধ হয়


২)

অন্ধকার বিষয়ে কতটা তথ্য জানেন ?

গভীর কয়লা খাদানের কালো গর্ভে যে অন্ধকার থাকে তার চেয়েও কালো শ্রমিকদের সামনে কতটা দীর্ঘ অন্ধকার পড়ে থাকে, জানেন কি ?

ভাঁজ করা যৌবনের ভিতরে নীল কষ্ট তৈরি করে যে অন্ধকার, সে সম্বন্ধে কতটুকু জানেন ?

অন্ধকার কীভাবে অন্ধ হয় রাত্রিকালীন ধানক্ষেতের পাশে একাকী শুয়ে থাকে সেই অন্ধকার ধানক্ষেতেরই শব্দহীন ছায়া, জানেন কি ?

আমার এ দেশ অন্ধকার হয়ে গেলে খচ্চরের দল ফ্ল্যাশ অন করে ফটো শ্যুট করে
সমস্ত স্ট্রিটলাইট নিবে যাবার পর
সারাটা পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেলে ডার্করুমে নির্মিত হয় এক্স-রে প্লেট, জানেন ?

জানেন কি ?


৩)

ফুল খসে গেলে সদ্যজাত ফলের কথা ভাবুন

রাত্রি ও বৃষ্টি সমবেত হলে সেই কালো চোরটির কথা ভাবুন যে বেচারি শুধুমাত্র চুরিই করতে চেয়েছিল

সব পাঠশালা আর পাঠ্যবই নিঝুম হয়ে গেলে নিজের মুখোমুখি দাঁড়ান

ধাতব ট্রিগার যদি ধাতব আঙুলের স্পর্শে জীবিত হয় সঠিক টার্গেট ঠিক করুন

কান ও কেঁচো বিষয়ে উৎসাহিত হোন

কয়েকটা টিপস্ দিলাম, কেননা অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে জল আছে কিনা আপনিই জানতে চাইবেন


৪)

আমার দু-গালে সাঁটিয়ে চড় কষান, রাগ করব না
আমাকে কাঁচা খিস্তি ঝাড়ুন, রাগ করব না

আমার বাপ চোদ্দপুরুষ উদ্ধার করুন
আমার নামে কুত্তা পুষুন
আমি দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছি
রাগ করছি না

কীসের লাইন জানেন কি ?
আজন্ম কেন লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, জানেন কি ?
আমার মতন অসংখ্য মানুষ মানুষ চেহারাগুলোও দাঁড়িয়ে আছে লাইনে দাঁড়িয়েই আছে, কেন জানেন ?

এসব কিছু জেনে আমাকে জন্মের বেহায়া বলুন,
মাইরি বলছি, রাগ করব না

৫)

নিঃসঙ্গ চায়ের দোকানের হলুদ আলো আরও ম্লান হয়ে এলে বোঝা যায় রাত গভীরতর হচ্ছে

লাল নীল মানুষেরা সারাদিন ধরে চা আর আড্ডার তৃপ্তি নিয়ে ফিরে গেছে যে যার বেডরুমের গৃহস্থালিতে

দু একজন ভাটিখানা ফেরত যদি এখনও বসে থাকে প্রায়ান্ধকার দোকানটিতে, বোঝা যায় রাত গভীরতর হচ্ছে

বাসন ধোয়ার চেনা শব্দে প্রমাণিত হয় দোকানটির অন্ধকার নৈঃশব্দ

অবশেষে চা দোকাটির বন্ধ ঝাঁপের সামনে এসে দাঁড়াই,
রাস্তার ওপারে  অগোছালো মোটর গ্যারেজের ঝুলে থাকা টায়ারের ভিতরে আধখানা চাঁদ ফ্রেমবন্দী হলে বোঝা যায় রাত বাড়ছে 


আমন্ত্রিত সংখ্যা≈রণজিৎ অধিকারী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||










রণজিৎ অধিকারী-র কবিতা



আমরা কী করছি এখানে! 


সাঁকোর মতো নড়বড়ে একটা জগৎ 
আমরা হঠাৎ একদিন টের পাব।
এখানে চাই শুধু একটা আস্ত দিনের জন্য প্রস্তুতি 
আর দিনের শেষে সবশুদ্ধ খুলে রাখা। 

এই তো আমাদের জন্য একটা জগৎ। 

আমরা যখন সবচেয়ে নড়বড়ে জায়গাটায় দাঁড়াই
তখন অনেকখানি শূন্য দেখা যায় আর
              বহুদূর থেকে আসা জিজ্ঞাসু আলোগুলো।
কিন্তু সমস্তটাই উপরিতল ছাড়া কিছু নয় ;
যা-কিছু সনাক্তকরণ — তা সব উপর থেকেই। 
এমনকি যখন আমরা পরস্পরের আত্মাকে 
স্পর্শ করতে চাই — তখনও জগৎটা নড়ে ওঠে। 

তবু এতকাল ধরে কী করছি আমরা এখানে! 



কীভাবে একটা জগৎ! 

ফেলে দেওয়া কোণা ভাঙা ত্রিভুজ, তোবড়ানো বহুভুজ 
জোড়াতাড়া দিয়েই আমরা একটা পরিত্যক্ত সময়ে 
বানিয়ে নিতে পারি আর একটা জগৎ। 
যেমন পেয়েছি জঞ্জালের স্তূপ থেকে কেন্দ্র সরে যাওয়া 
একটা ঢাউস বৃত্ত, যার পরিধি ভিজে ল্যাতপেতে ;
আর জীর্ণ শিরা ওঠা কিছু লিঙ্গ এবং 
স্যাঁতসেঁতে জায়গাগুলোয় পচা পাতা সরিয়ে সরিয়ে 
খুঁজে আনা কালচে জং ধরা দু-একটি যোনি... 

আমি প্রশ্ন করি —একটা জগৎ বানাতে কী লাগে আর?

হয়তো কতগুলি বিন্দু, আমি তখন 
একটা ছেঁড়া ন্যাতা দিয়ে বিন্দুগুলির ওপর জমে থাকা মাটি
ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে টেবিলে রাখি আর
কুড়িয়ে বাড়িয়ে আনা ভাঙা তোরঙ্গ, তার কোণগুলো,
দিক তৈরির জন্য কিছু পুরোনো বাঁকা রেখা( প্রাণপণে যাদের সোজা করে নেওয়া গেছে), 
টেবিলে ইতিমধ্যেই চূড়া করে রাখা দু-একটা 
বিষম সম্পর্ক আর কোনোকালে কূপের মতো 
গভীরতা ছিল যেই যোনিদের ও পেকে হলুদ হয়ে আসা
দীর্ঘ লিঙ্গরা... 

আমি প্রশ্ন করি — কীভাবে একটা জগৎ বানানো যায়! 



কোণ

দুই বিপ্রতীপ কোণ —তারা পরস্পরের মুখাপেক্ষী হয়েও 
স্বাধীনতা ভোগ করে অনন্তকাল, 
একটা বিন্দুতে ঠেস দিয়েও তারা নির্বিকার! 
সংলগ্ন বাহুগুলি একে অপরকে অস্বীকার করেই ক্রমে 
ইহজাগতিকতা পেরিয়ে বহুদূর চলে যেতে থাকে... 
যেন সে-যাত্রার কোনো শেষ নেই! 
জলে রোদে ক্ষয়ে যায় প্রান্ত, 
একদিন শ্যাওলা জমে কোণে... 
অনেকগুলো প্রলয় কম্প বা আগুনের উৎপাত 
হয়তো কেউ তিরিশ হাজার বছর আগের, তেরো লক্ষ 
হয়তো তার ছাই পুরু হয়ে জমে আছে আজও 
গভীরে গোপনে 

কিন্তু কোনো কিছুই টলাতে পারে না কোণ দুটিকে। 
গোঁ ধরে থাকা তাদের ভালোবাসা, জাগতিক রৌদ্র ও
ছায়া, উচ্ছ্বাস ও ঠান্ডা ছাই — সমূহ সম্ভাবনার নিচে 
তারা আজও পরস্পরের মুখাপেক্ষী ও স্বাধীন। 
ছড়িয়ে দেওয়া পায়ের মতো বাহু দুটি 
ইহজাগতিকতা পেরিয়ে চলে গেছে।