Thursday, December 31, 2020

১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ দেবযানী বসু

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||   

দেবযানী বসু
কবিতার দশচাকা~পাখিপড়ানো দাঁড়

১.
তালগাছ নিজের অজান্তে দুই পায়ে দাঁড়িয়েছে কখোন।
২.
কলঙ্কিত তোষকের মৃগনাভি হারানো এক দোষ।
৩.
মুরগির স্টু্য়ে ডুবে যাওয়া সংসার এক মোরগ বাঁচিয়েছে।
৪.
হাতির দাঁতে পালিশ লাগানো সকাল-সন্ধ্যা ছোটায় আমাকে।
৫.
দেশের মাথায় পড়ছে গরুর বাঁটের ভার্চুয়াল দুধ।
৬.
বুদ্ধুভুতুম ও পূর্নিমা চাঁদ একবারই আসে জীবনে।
৭.
গলির বাতিদন্ডের মাথায় ইদানিং হিরে জ্বলে।
৮.
ঠাকুরদার বলা গল্পের ভুতেদের আমি কঙ্কাল পরাই।
৯.
লকডাউনের ঝামরে পড়া পালকে একটু রঙ ধরেছে।
১০.
মনপোষা মৃত্যুগুলো সুযোগ পেলেই ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়ে।

১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ মৃণালেন্দু দাশ

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||    

মৃণালেন্দু দাশ

জলছবি

জলের উপরে তুমি নীচেও তুমি সত্যি বললে কোথাও না

              

বিরহ

বিরহ কাতর তমাল তরুটিকে ঘিরে আগুন ও মৌমাছি

                          

ভাঙাগড়া

একবার ভেঙে ফেললে আরেকবার গড়া প্রায় অসম্ভব

               

পথ

যে পথ একবার বেঁকে যায় সে তো আর সোজা পথ থাকেনা

                            

নদী

দুঃখ ভাসাইলে ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালি গান ভাসিলে নদী

                  

রহস্যময়

সর্ষের ভিতরে লুকিয়ে থাকে সদারহস্যময় প্রাণ ভোমারাটি

              

সূঁচ

সুঁচ তখনই কার্যকর যখন সূঁচে সুতো পরানো হয়

                    

নিয়ন্ত্রন

জলের উপর নিয়ন্ত্রন পেলেও মনের নিয়ন্ত্রন অসম্ভব

           

শিরদাঁড়া

দুপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানেই শিরদাঁড়া সোজা এটা ঠিক না

                                 

দৃষ্টিভঙ্গী

অন্ধকারও আলোর অধিক নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গীর উপর

১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ চিরঞ্জীব হালদার

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  

চিরঞ্জীব হালদার

তৃষ্ণা ও মৃত্যুর সংলাপ

ধরে নিন মৃত্যুর সাথে এটা কাতুকুতু খেলা।
শবের সাথে  সঙ্গমরত স্বপ্নগুচ্ছ রৌদ্রে শুকোতে দেওয়া হল। 
জ্বালানী ছাড়াই যে কোন লন্ঠন হয়ে ওঠে অভিলাষিতের আলোক গাঁথা।
এই মৃত্যু উপত্যকার  সমস্ত চুলো একা একা খাদ্য উর্বর।
মৃত শব্দের পর কি কি যতি চিহ্ন বসানোর দরকার। 
৬ 
মহাতৃষ্ণা মেপে নেয় বর্ণমালা কতটা কামের অধিক।
ভুল চরিত্রের ভেতর নিরীহ এক জেব্রা ঘাসের  খোঁজে। 
সবাই দেখেছে হাত আমি দেখি থাবা।
সূর্যাস্তের রঙে দেখি লিপ্সটিক রাঙিয়েছে দিন।
১০
কবিজন্ম এক অচল প্রপেলারের পাহারাদার।




১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ প্রকাশ ঘোষাল

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  

প্রকাশ ঘোষাল

অনর্থক স্পেক্ট্রাম

১.
মরিচ মাখা চোখ পেরিয়ে কবন্ধরা সারাদিন ঈশ্বর নাচায়

২.
উড়ালপুলের ছায়া জ্বলে তবু,নিরক্ষবলয় জুড়ে বিবাহবাসর। 

৩.
ভূমিকা বদলে গেলে গিরগিটি ঘাড়ে বসে উপনিষদ পড়ে। 

৪.
অন্ধ আর অন্ধতার খুশিতে বিনা ভাড়ায় গীতবিতান ছুটছে শহরে। 

৫.
বরফের দ্রাঘিমা রেখায় গরীব তাঁবুর নিচে আমাদের লেখা হবে সুন্দর এপিটাফ। 

৬.
সাফল্য আর ব্যর্থতার ফাঁকে মাছরাঙা লিখে যাচ্ছে জলের  ক্যালেন্ডার। 

৭.
জাতীয় পতাকার নিচে মাদারি  খেলায় স্বপ্নেরা বেফিকির  দেবতা বিমুখ। 

৮.
কচ্ছপের সর্দি হলে সমুদ্র ছিঁড়ে ফেলে জলের পোশাক। 

৯.
রানওয়ে ছুটছে ব্যালকনির কুয়াশায় তবু মৃত্যুর শেষে ওড়ে ময়ূর পালক।

১০.
শীতের ড্রয়িংবুকে ঋতু বদলের ছবি আঁকছে পাশের বাড়ির টিকটিকি।
 


১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||   

রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়

দশ্লাইন 

১)
এভাবে জেগো না বিষাদ, আসলে বীর্যপাত ও মৃদু বৃষ্টিপাতের সংযোগকারী সেতুটি এখনও আন্ডারকন্সট্রাকশান
২)
শিকড়গুলো কিলবিল উঠে যাচ্ছে আকাশের দিকে অসহায় লাজুক ফুল ফল পাতা মুখ লুকাচ্ছে মাটির গভীরতম অন্ধকারে
৩)
করমর্দনের সময়ে সেই যে তোমার হাত কব্জি থেকে খুলে এলো, আজও আমি মুঠোয় নিয়ে ঘুরছি সেই বিচ্ছিন্ন হাত, হাতের উষ্ণতা,
৪)
মান্নাবাবু, আজ শূন্য দশকে সেই গানটি একটু অন্যভাবে গেয়ে শোনান, প্লিজ, আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে নিশুতি রাত গুমরে কাঁদে, নিশুতি রাত চিরে কাঁদে এক নৃশংস জানোয়ার....
৫)
আত্মরতিতে মেতে আছি, প্লিজ, ডিসটার্ব করবেন না, তাহলে গণহত্যায় মেতে উঠব
৬)
"হে ঈশ্বর" বললে ছুটি পাওয়া যায়, "হাইল হিটলার" বললে এখন রুটি মেলে
৭)
ফাল্গুনী রায় অথবা আপনার পাড়ার এইইআরকিলল্লিপপ্ লেখালেখি দু একটা কবিসভা দেশ স্বদেশ মার্কা পাঁচুগোপাল, যেকোন একজনকে বেছে নিন, যদি টিঁকে থাকতে চান
৮)
"হারামি" বললে যদি নিপাট সুসভ্যতায় দাগ লাগে তবে "ভালোমানুষেরপো"-ও বলতে পারি, শর্ত একটাই, আপনার বুকপকেট থেকে ওই রঙিন পালকটি বের করে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিতে হবে
 ৯)
"SLOGAN" শব্দটির উচ্চারণ ঠিক রেখে যদি বানান একটু বদলে দু ভাগে ভাগ করে নিই তবে দুটি শব্দ পাই, ১. Slow এবং ২. Gun
১০)
সারাদিন এত বিড়ি ধরাই অথচ বিড়ির আগুনে আজও কারও পোঁদ পোড়াতে পারলাম না, আশ্চর্য, একবিন্দু আগুন এতটাই নিরীহ হয়......