Friday, November 13, 2020

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ আমিনুল ইসলাম

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||   
দীপান্বিতা সংখ্যা













সম্পাদক~ আমিনুল ইসলাম-এর কবিতা

ভুবনডাঙ্গা ব্লগজিন,(প্রতি মাসে প্রকাশিত হয়)

দেহবিলাস

এই যে-

ছবিতে  লজ্জা নেই!

অনভিপ্রেত  প্রশ্নের আগমন...

আছে আসলে 

প্রচ্ছন্নকাল

এখন  ~

~  ভোর!

ডি-ড্রাইভ      কুয়াচ্ছন্ন

বাতাস  ~  ~
হু  ~      হু  ~
উড়ছে আঁচল


প্রশমিত লজ্জার       মুদ্রণ

মুদ্রায়  জরিপ


একা  ১টিও আয়না      নেই

বেহায়া শরম  কপুর

উদ্বায়ী পরমায়ু ~

লাঙলের  যৌনতায় সম্মত

এই       দেহবিবর



✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ শ্রীতন্বী চক্রবর্তী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||    
দীপান্বিতা সংখ্যা













সম্পাদক~শ্রীতন্বী চক্রবর্তী-এর কবিতা

টেকটকটাচ দৈনিক ব্লগ, সাহিত্য HOICHOI SUNDAY TALKS


ধোঁয়ার বিকেল অথবা টয়ট্রেন 

ধুপ-সাজানো, তিব্বতি ফ্রেম, চায়ের কাপও বৃষ্টিস্নাত,
ধোঁয়ার বিকেল, ইলশেগুঁড়ি, তোমার বুকেই অকস্মাৎ।

চিনবো কিগো,পাহাড়-চূড়ো স্তব্ধ নাকি সেই সময়?
ধুপির সারি, এলাচ বাগান, হাত ছাড়ালে? লাগছে ভয়?

শরৎ-আকাশ, সিঁদুর-মাখা পাহাড়-বিকেল, গীর্জাঘর,
রং-ছোপানো, টিংলিং সুর, এস্রাজেতে তুলছো ঝড়!

মন-কেমনের রঙ জানিনা, অবকাশও সৃষ্টিছাড়া,
চিবুক তুলে বলবে আবার? "ধুর পাগলী, একটু দাঁড়া?"

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ সোনালি

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||   
দীপান্বিতা সংখ্যা













সম্পাদক~সোনালি-এর অণুগল্প

টেকটকটাচ দৈনিক ব্লগ, সাহিত্য hut 


গল্পের মধ্যেখানে

 গল্পের মধ্যেখানে সেই লোকটা ছিল।
 রোগাটে গড়ন , ফালিমত মুখখানায় খোঁচাখোঁচা দাড়ি। 
গল্পে একটা মেয়েও ছিল। জাপানি । সুকিতামা । সিল্কের লালনীল জামা পরা।
মেয়েটা চেরিফুলেঢাকা পার্কের রাস্তা দিয়ে মনেস্টারির দিকে যেতেযেতে ভাবে, চোর দেশের বাইরে গেল কি করে?  এতবড় মেটালের জিনিসটা।
 ইন্টারপোলও ফেল? 
কায়রোর ফ্লাইটে লোকটা হিসেব করছিল মনেমনে । এয়ারপোর্ট । ট্যাক্সি ।  এয়ার বেস , এল-নাসর  সালাল-সালেম স্ট্রীট । সোজা গেলেই খান –এল-খালিলি বাজারের চৌহদ্দি ।  সেই অজস্র রঙ্গিন হুঁকো , গড়গড়া , কাঠের কাজ করা উট , ঘোড়া , পিরামিড , স্ফিংক্স, ইজিপ্সিয়ান দেবদেবী , গয়না , জামা ইত্যাদি ইত্যাদির স্তুপের মাঝে ঢুকে গেলে পকেটে কোহিনূর থাকলেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।                          
এত সামান্য পান্নার ড্রাগন। 
ইঞ্ছিপাঁচেক  সোনার পাতের ওপর একখণ্ড বিরাট পান্নাকে নিখুঁতভাবে কেটে বানানো  ।   
সাধে এত দাম দিতে রাজি সারা পৃথিবীর কালেক্টাররা ।

মন্দিরের মেজেতে মাথা নিচু করে আকিও, তিরিশ পেরোনো বৌদ্ধ ভিক্ষু। সামনে মনেস্টারির প্রধান সন্ন্যাসী।
“ নিজেকে এত  নামিয়ে ফেললে ?  টাকার লোভে  ? ”
“আমি  ভালভাবে বাঁচতে চাই –” মাথা তোলে মরিয়া আকিও।
“ আফ্রিকান-শাখা জানিয়েছে লোকটি মিশরে  । বুঝলাম তুমিই অপরাধী ।
 ড্র্যাগনকে  জাগিয়ে তোলার মহামন্ত্র  শিখিয়েছিলাম তোমায় । একটা ছিঁচকে চোরের হাতে তুলেদিলে ?”
মেয়েটা অস্ফুটে বলল, “ ড্র্যাগনকে জাগাবে ?”
“হ্যাঁ । প্রত্যেকবার  চেকিঙয়ের আগে নিশ্চয়ই  মন্ত্র উচ্চারন করেছে ।জীবন্ত ড্র্যাগন গুটিসুটি  থেকেছে সুটকেসে। এক্সরেতে বিশেষ কিছুই দেখা যাবেনা। পরে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে।”
“ড্রাগনের  ক্ষমতা নেই নিজেকে রক্ষা করার ?”
“আছেনা? সে তো তথাগতের প্রাচুর্যের প্রহরী ।” 
 লম্বা ফ্লাইটে মিশর পৌঁছেছিল  সুকিতামা । 
দেখেছিল কায়রোর ব্যস্ত বাজারের পিছনের মাঠে , জীবন্ত ড্র্যাগনের মুখ থেকে আগুনের শিখা । 
মাটিতে পড়ে রইল পিস্তলহাতে সেই লোকটা   । 
আর জাগবেনা ।
ড্রাগন ফিরে গেল সোনার ফ্রেম এ। 
সুকিতামা আস্তে সুস্থে মনাস্টেরির নিজস্ব  প্লেন এ ওঠে  জাপানের দিকে ফিরতে। 
তথাগতর সামনে ধ্যানে নিস্পন্দ প্রধান ভিক্ষু। 
তিনি নিশ্চিত জানেন ড্রাগন অক্ষত ফিরিয়ে আনবে ছোট্ট মানুষ সুকিতামাকে। 
  ওঁ মণিপদ্মে হুং      

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ সংগ্রামী লাহিড়ী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  
দীপান্বিতা সংখ্যা














সম্পাদক~ সংগ্রামী লাহিড়ী- অণুগল্প

আড্ডা নিউ জার্সি থেকে প্রকাশিত ই-ম্যাগাজিন অভিব্যক্তি-র সম্পাদক

ক্যাবলা যখন সম্পাদক

ক্যাবলার সাধ পুজোয় একটি শারদীয়া ম্যাগাজিন বার করবে।  
টেনিদার টিমের উজ্জ্বল রত্ন ক্যাবলা। ক্লাসে ফার্স্ট হয়। সাহিত্যচর্চা করে।
একবার বাংলা-খাতায় কবিতা লিখেছিল।  সেটা পড়ে বাংলা-স্যার বলেছিলেন, "এসব কী লিখেছো কাবুল? ‘সর্পিল প্যারাবোলার ছন্দ’, 'নেবুলার সিন্ধুশকুন', 'কশেরু-মজ্জারা' - এর মানে কী?"
সে ঘটনা তো বরেণ্য স্রষ্টা নারায়ণ গাঙ্গুলী-মশাইয়ের কলমে সবারই পড়া।
কাবুলের কবি হওয়ার বাসনার সেখানেই ইতি।
কিন্তু সম্পাদক হতে তো বাধা নেই?  
ঠাকমা সাহস দিয়েছেন, খরচাপাতি তিনি দেবেন।
অতএব চাটুজ্যেদের রোয়াকে বসে ক্যাবলা জানালো তার মনোবাসনা।
হাবুল উৎসাহিত, "জান লড়াইয়া দিমু এক্কেরে।"
প্যালারাম সন্দিগ্ধ, "লেখা জোগাড় হবে কোত্থেকে?"
টেনিদা অভয় দেয়, "কিচ্ছু ভাবিসনি। এই শর্মার শুধু একবার বলে দেওয়ার অপেক্ষা। এত লেখা আসবে যে পড়েই উঠতে পারবি না।”
টেনিদার যেমন কথা, তেমন কাজ।
অতঃপর পরবর্তী কালে পাঁচশো কবিতা, সোয়াশো ছোটগল্প আর দু'হাজার অণুকবিতায় ক্যাবলা হারিয়ে যায়।
তবে তার এলেম আছে। বিধ্বস্ত হয়েও ঝেড়েঝুড়ে উঠে দাঁড়ায়। সব লেখা পড়ে, বেছেবুছে, সাজিয়ে-গুছিয়ে প্রেসে পাঠায় তার সাধের শারদীয়াকে। এবং এই পরিশ্রমের ফলে আধুনিক বাংলাসাহিত্য সম্মন্ধে সে সম্যকরূপে জ্ঞানলাভ করে।
বাড়ির ছেলে একলাফে সম্পাদক হয়ে বসলো, আনন্দে ক্যাবলার মা পোলাও-মাংস খাইয়ে দিলেন। হাবুল আর টেনিদা কব্জি ডুবিয়ে খেল। প্যালার জন্যে অবিশ্যি আলাদা ঝোল রান্না করতে হয়েছিল।      
গন্ডগোলটা বাধলো ইশকুলে।    
ক্যাবলার নবলব্ধ সাহিত্যজ্ঞানের সাক্ষ্য ছড়িয়ে গেল পরীক্ষার খাতায়।  
খাতা হাতে নিয়ে বাংলা-স্যার বললেন, "ডেঁপো ছোকরা, সম্পাদক হয়েছ বলে লঘু-গুরু জ্ঞান বিসর্জন দিয়েছো একেবারে? বাপ-মা জানে যে তুমি এত পেকেছো?”
ক্যাবলা তোতলায়, “ক্কি করেছি স্যার?"
"'তারপর দ্রৌপদী একাই দুঃশাসনের মহড়া নিলেন। এক প্যাঁচে তাকে কাত করে সবে কর্ণের দিকে এগোচ্ছেন। কর্ণ ভয়ে কম্পমান, পরনের কাপড় হলুদবর্ণ'.. এসব কী?"
ক্যাবলা এবার আত্মবিশ্বাসী, “ওহ, এই কথা? ওটাই এখনকার লেখায় খুব চলছে স্যার। মহাকাব্যের নতুন দিগন্ত। অন্য-মহাভারত। অন্য-রামায়ণ শুনবেন নাকি স্যার এট্টুসখানি?"
বাংলা-স্যার চোখ বুজলেন, "শোনাও।”
ক্যাবলা শুরু করলো, "সীতা রামকে বললেন, ‘অকম্মার ধাড়ি, অ্যাদ্দিনে একটা সোনার হরিণ কিনে দেবার মুরোদ হোলো না, বলে কিনা অগ্নিপরীক্ষা! তুমি থাকো তোমার আগুন নিয়ে, আমি চললুম ফিরে লংকায়। অনেকগুলো সোনার-বরণ হরিণ চরে বেড়াতে দেখেছি। একটাকে ধরে সোজা বাল্মিকী-কাকুর আশ্রমে চলে যাব। আর ফিরছি না।'  
ও কী স্যার? কী হল আপনার? পড়ে যাচ্ছেন কেন? ওরে জল আন, কী সব্বোনাশ, স্যার গরমে ভিরমি গেছেন যে! হায় হায়, এ কী হলো....."

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ প্রাপ্তি সেনগুপ্ত

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||    
দীপান্বিতা সংখ্যা













সম্পাদক~প্রাপ্তি সেনগুপ্ত-এর কবিতা

টেকটকটাচ দৈনিক ব্লগ-এর সম্পাদক ,সাহিত্য ক্যাফে ও সাহিত্য মার্গ 


অ-পাপবিদ্ধ

ধীরে ধীরে গুড়িয়ে যাচ্ছে যত কঠিন দম্ভ ছিল,
আমিও তরল হচ্ছি বিষের মতো!!
অধরা থাকার মোহমুক্তি ঘটছে মনের গোপনে,
ছুঁয়ে ফেলার অধিকার কিলো দরে বিকোয় ফুটপাতের গুমটিতে...

চুপচাপ স্নান সারি প্রতিদিন,
রোমকূপের ভিতর জমে থাকা পাপ তবুও রয়ে যায়...

স্বগতোক্তির মতো!!!