Saturday, June 20, 2020

বাপন চক্রবর্তী-এর কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
                      বাপন চক্রবর্তী-এর কবিতা
স্বার্থ

কীভাবে ফুরিয়ে গেল স্বার্থ,
সেকথা বুঝিনি আজও। 
রিক্সাদুপুরের পথে এইসব ভাবনা লেখা হয়...
লেখা হয় 
        শরীর ফুরিয়ে আসা বসন্তের ডাকও...
ছায়াবসন্তের পথে হননপ্রহর।
এবং দুপুরগুলি অপরাহ্ণহীন।

দেখি এবছর ডিসেম্বর মাছের ঝোলের মত রৌদ্রময়

ফুরিয়ে এসেছে স্বার্থ। এখন বিকেল। 
গেরস্থালি এলোমেলো সন্ধের নেওরে...


মাছ

মেঘের ত্বকে ঠোঁট ছোঁয়াতেই
অস্পষ্ট আর্তনাদ ফুটে উঠেছিল... 
এখনও দুপুরবেলা। 
আত্মসমর্পনের অনেক ভিতরে 
বিকেল তৈরি হচ্ছে ধীরে। 
আজও স্তব্ধতার বাইরে একফালি বারান্দা। 
বারান্দার হাওয়ায় দুলছে
অগোছালো আর্দ্রতা... 
মধ্যরাতে আরও বাইরে 
মাথা নিচু করে থাকে বৃষ্টিরাত।
এখনও বৃষ্টি হচ্ছে...
অন্ধকার ঘাঁটতে ঘাঁটতে 
বাড়ি ফেরার সময় 
সারা আকাশে সেই অতীতের গন্ধ
বিছানা বালিশে ভিজে কুয়াশার মাছ…


হত্যাপর্ব

বিকেলের হত্যাপর্বে পেনড্রাইভের ক্লান্তি হল।
ঘুম শেষ হওয়ার আগেই,  কে যেন অনেক দূরে 
বৃষ্টি হয়ে হাওয়ায় হাওয়ায় ঝরে গেল...
পথের পেন্সিল থেকে ছায়াটুকু নিয়ে
রহস্য গল্পের দিকে একা হেঁটে যাওয়ার রোদ্দুরে 
জড়িয়ে ধরেছি ওকে শীতঘুম দিয়ে...



বীজ

বর্ষাদিন,    
             তোমাকে দিলাম বৃষ্টিবীজ,

জীবনের শস্যের ভিতর বেড়ে ওঠো।
জলের আত্মায় মিশে যন্ত্রণার মত
               এবার কি তুমি কাঁদবে?

পিনাকীরঞ্জন সামন্ত-এর কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন 
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
                   পিনাকীরঞ্জন সামন্ত-এর কবিতা


এ কেমন কবিতা !

বস্তুবাদ দর্শন মাথায় নিয়ে গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলাম - সন্ধ্যার আকাশে আলোর রোশনাই যথারীতি । 
পকেটের বাজেট সু নিয়ন্ত্রিত এবং পূর্ব পরিকল্পিত । কিছু নেশার নিমন্ত্রণ কার্ডও সযত্নে গচ্ছিত ।

রঙিন শপিং মল এখান থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে । গিড় চলছে । হঠাৎ
 বলা নেই, কওয়া নেই, মেয ঝড় বৃষ্টি নেই, পাণ্ডুলিপির বিবর্ণতা নেই -
গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়লো মাঝ রাস্তায় ।
বললাম - কী হলো ?
গাড়ির সহজ উত্তর - 
বোকাচোদা - দেখছিস না আমি পাঙচার হয়েছি ।

ফিলটারড উইলস মুখে নিয়ে সন্ধ্যার আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম -
এ কেমন কবিতা !


চোখ

সূর্যোদয় হয় না - পৃথিবী ঘোরে এটাই ফিলোজফি এইটুকু জানি । মাধ্যাকর্ষণ কোনো প্রেমিকা না হলেও
পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ভালোবাসাকে পূর্ণ মর্যাদা দ্যায় । আমার কোনো সেরকম চোখ নেই যে 
কোনো বিন্দু থেকে আমি পূর্ণতার দিকে যাবো ।।


অন্ধকার

স্লিপিং কাউন্টারে রেখেছি আমার নিজস্ব ভেন্টিলেটর
নিঃশব্দ রজনীর
ব্লাডসুগার স্বপ্নে দেখেছি যাবতীয় মায়া 
অতঃপর
আমি ক্রমাগত হেঁটে যাচ্ছি উড়ন্ত প্রজাপতির নগ্ন শরীরে ।
নেপোটিজম শব্দটি মাঝে মাঝে আমাকে ইশারা করে
বলে আয় -
মহাকালের ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে রাখ তোর নাম - অন্ধকার ।।


বর্তমান

লকডাউন, অন্তরীণ, মাস্ক, পজিটিভ, নেগেটিভ, করোনা থেকে ভারত চীন চুমোচুমি - এইসব যাবতীয় থেকেই
একটি সাপ বেরিয়ে এলো -
ফণা তুলে জিঙ্গাসিল - হারামজাদা - এখন বলৃ কে তোর বাপ ?
আমি বললাম - ক্ষমা কর মোরে

আমি ম্যাস-কিউলিন সিঙ্গুলার জেন্ডার এবং থার্ডপারসন । কবিতাহীন এক অদ্ভুত রকমের সে-কিউলার ।।




দেবযানী বসু-র কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন 
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
                        দেবযানী বসু-র কবিতা

নিষিদ্ধ সিদ্ধতায় 

শিশ্নরসবিধৌত অসমতলগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে। এত ছটফট করে সঙ্গম করা হাত পা কথায় কথায় যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয়। জমিনদার শিকড় হোক প্রেমের। যাবতীয় যোনি এলিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ডের কী-হোল। ভিক্ষের সানকি পাতা চৌদোলা । দিনের আসবাবপত্র রাতে ভূতগিরি করে। এই স্বরের জন্য কি পুরোনো অভ্যেস কিছু নীরবে ফিরে আসছে? নিজের হাতটা শত্রু হল। ভালো করে মোমছাঁচ লাগানো হয় নি। লিঙ্গগুলো স্বয়ংক্রিয় গিটার। কর্ক ওপেনার সাহায্য করে এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে যেতে। সাখিয়ারা যৌনতার সাদাকালো তীব্রতায় আক্রান্ত। একমাত্র দাবনাবাজানো ঘোড়ারা মেয়ে ঘোড়াদের পাশে থাকে। যৌনমুখর দিন যোনিচেরা চিৎকারে ফিরিয়ে দেয়।


একটি মডিফায়েড মৃত্যু চেয়ে 

ঠান্ডা অক্টোবরের জন্য অপেক্ষা অলাভজনক
আমরা এখনই কেঁপে উঠছি নাক ও গলার ভিতর
হাতে পায়ে খ্যাপলা জালের ঠাট্টা
শ্বেতবরণ মরণের কবর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে
অথবা বিদ্যুৎ মুষড়ে পড়ছে কনকনে ব্যথায়
কুলোঝাড়া দুয়েকটা ফিরে আসা বটপাকুড়কে প্রণাম
মুড়িমুড়কিরা থালা উপছে হারিয়ে গেছে
বদলে টুমিনিটসনুডলভুক চাট্টি নক্ষত্র টিমটিমে আলো দেয়
অক্টোবরের ফাঁকি ছড়িয়ে পড়ছে যোজনায় যোজনায়
দোয়াড়িতে স্রোত পর্যন্ত আটকে দিচ্ছে চকচকে বুট
ব্যাঙাচি থেকে ব্যাঙ হতে এক যুগ খরচা হল
কোলকাতা হাওড়ার ইড়া পিঙ্গলা সুষুম্নায় জোর টান লেগেছে
কাশতে কাশতে ধমক দিচ্ছি আর মরে যাওয়া আটকানোর উপায় নেই
সূর্পনখা চটিজুতো কিনে রাখি অপঘাতে মৃত্যু যদি ধরো


জীবনবাড়ি 

এক তীব্র ধুলোয় ধুলো প্রজাপতিদের পাখা
বাংলার স্তনবৃন্তে কঠিনতা দেয় মা হারা পোষ্যরা
হরপ্পার কবরপেটানো হাওয়া গলায় চেপে বসছে
আমাদের সুড়ঙ্গ খোঁড়া জীবন নুড়িপাথরের গাজোয়ারি মেনেছে
ঘুমের আগে খাবলা খাবলা অন্ধকার তুলি
আবার জড়ো হয়
মাথা নিচু করে প্রেমের কবিতা সাগরযাত্রা করছে
ঘুর্নিঝড় এখন সিরিয়াল কিলার
প্রসবিত শিশুর অভ্যাসে তারা গা মোচড়ায়
রোজ প্রদীপের আলো আর আলেয়ার আলো মারপিট করে
ভ্যাপসা গন্ধে মশগুল কবন্ধ গাছেরা
প্রাকৃতিক লীলায় মজে থাকি
দলে দলে শহর নগর গায়ে নমঃশূদ্র পান্ডুলিপি
পা দিয়ে আকাশ স্পর্শ করাটা ততটা দোষের নয় আর
মৃত ভাইরাসের কলার টোন গলায় ছুটছি
গাছ থেকে সম্ভাব্য ঝরাপাতা ছেঁটে দিচ্ছে মালিক ও মালী দুজনেই
ক্যাবলা হাসি ফুটিয়ে আদালত ও ইমারত উড়িয়ে দিচ্ছি

বাঘবন্দী ঘর 

রাক্ষসখোক্কসদের পরিপাটি করে খেতে দি
ভুল আর বিভ্রম ছুঁয়ে যাযাবর প্রেম ভালো আছে
যে নেই তার হাজার টনের ভূত ঘেঁষে বসে
পরিশ্রম সব খাবি খেয়ে উঠল মাথায়
ছিন্ন ভিন্ন মাংসের টুকরো সব গ্ৰন্থাগারে জমা পড়েছে
কুকুরের দন্তহীনতা তাও কাঁদাচ্ছে আমাকে
হিংস্র রঙের উপর রঙ চড়িয়ে সকাল হয়
প্রেস ওটের রূপকথায় চলতে চলতে পা শক্ত
খালি ঝুলি দরবেশ এক ছিলিম হেমন্ত ফুঁকে ঝুঁকে থাকে স্তনের উপর
ফোয়ারায় গুঁজে দিয়েছে দরবেশ অশ্বশক্তির শয়তানি
ভিডিওতন্ত্রে এসে ঘাস বোঝে সামান্য স্ন্যাপশটে সে কেন অতখানি দুলেছিল
পুরষ্কৃত আমাদের অকারণ মৃত্যু
শরীরের উত্তর ও দক্ষিণ মেরু পালা করে গান গায়
তছনছ খাবার টেবিল
টেবিল তাঁর দ্বিতীয় মিসাইলের সন্ধানে উজানে  যাবে
অভিবাসী কান্না ছাড়পত্র ভিজিয়ে দিয়েছে


চুপ করোনা চলছে 

ছিলেকাটা বাসনকোসনের সংসার বহুমাত্রিক।
নাটকের গান্ডুচরিত্রটি ঘসেমেজে লম্বা করতে থাকি। নিত্য বর্তমান কিছু অঙ্গীকার চুপচাপ সরিয়ে ফেলছে। জুতোর তলায় গজানো নতুন দ্বীপ দুটো হট্ট হট্ট ঘোরাচ্ছে। ব্যাগাটেলে বোর্ড এর গান বাঘের সাঁতার দিঘিতে খুঁজে পেলাম। ঠিক সময়ে ঠিক বানান মনে পড়ে না বলে কাঠুরিয়া পাখির মনখারাপ লিখতে পারিনা। তামাশা ঝুলে থাকে চোয়ালে। বাঘের বৃদ্ধাবাসে   আমার জায়গা হল। প্রেমের অপরাধ যত অ্যাসিমটোমেটিক। একটা সময়ের পর ঢ্যাড়শের বিচি আর হজম হয় না। একটা সময়ের পর কুমিরের চোখ নয় নাকের কান্না চোখে পড়ে। বাকি তো রাখতে হবে ভুলজীবনের ঠিক ও ঠাক। আপনি পিছমোড়া করে বাঁধলেন আমাকে। লকের আপ ও ডাউন একজীবনে সুহৃদ সুহৃদ।


সৌমিত্র রায়-এর কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন 
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
               সৌমিত্র রায়-এর কবিতা
                                   


আটপৌরে কবিতায় চীন

   সভ্যতায়~ চীনের~ প্রভাব~
                 ||  সস্তায়~
ভূমণ্ডলের~ শ্রেষ্ঠত্ব | সংকট~ অস্তিত্বের... 

রাত ৯টা০৩ ; ১৯-০৬-২০২০; মেদিনীপুর



শব্দব্রাউজ || দরজার পর্দাটা দুলছে

মেদিনীপুর ; ১৯-০৬-২০২০ ; রাত ৯টা০৭ || অফিস থেকে ফিরলাম | দৈনিক প্রকাশ | জরুরি ফোনালাপ সেরে স্নান | এখন শব্দে শব্দে শব্দব্রাউজে...

শব্দসূত্র: চোখে চোখ রেখে কথা

চোখে ধরা দেওয়া মুহূর্মুহূ মুহূর্তদের গভীরতা মাপছে চোখের ভেতরকার চোখ; কথাটা লিখতেই হেসে উঠলো এণ্ড্রয়েডের আলো; সেই দৃষ্টিমাপক শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে মাছবাক্সের রঙিন মাছগুলি; আমি তাকিয়ে আছি টিভির সংবাদচ্যানেলের দূষিত দৃশ্যের বিনোদনে; ভেতরকার চোখ, তুমি কি দেখলে, হাত নেড়ে ডেকে উঠলো ব্যালকনির শূন্যতা, দেখলে? কবি নিজের নির্বাচনে দেখে চলেছে একের পর এক লিপিবদ্ধ শব্দের গভীরে থাকা শব্দের গভীরতর দৃশ্যস্রোত, অলীক ঢেউয়ের জন্মমৃত্যু...

চোখ তার ঢাকনার প্রতি কৃতজ্ঞতায় রচনা করে চলে স্বআবিস্কৃত ঘটনাবলি ; মাছেদের একটির চোখে চোখ পড়তেই লেজের ঝাপটে উত্তাল হয়ে উঠলো মাঝঘরের বদ্ধ সমূদ্র; শান্ত, গতিহীন মেনে নেওয়া মানিয়ে নেওয়া এই সমূদ্রে কীভাবে সভ্যতার দৃষ্টি পড়ে গেল; রঙিন পাথরগুলি বলছে 'না তাকানোই ভালো, সমূদ্র উত্তাল হয় মানুষ ভুলভাবে তাকালে', আমি জানি পাথরের এই জীবনদর্শন ভুল...

রেখে দেওয়া কাজ; এইসব চাউনির ভেতর ঢুকে পড়ছে অনর্গল; মোট পাঁচটি কবিতা লেখার কাজ বাকি আছে; চারটি যাবে ওয়েবজিনে গুচ্ছকবিতায়; দ্বিতীয় কবিতাটির স্বনির্মাণকালে কিচেন থেকে আসা রান্নার গন্ধ সিলিং ফ্যানের হাওয়ায় ছিন্নভিন্ন; দরজার পর্দাটা দুলছে; চোখ উঠতে পারছে না কবিতার শব্দস্বাদের রান্নাবান্না ছেড়ে; নানান রকম পদ; রেখে দেওয়া কাজ তোমাকে মগ্ন রেখেছে অনন্য এক আনন্দে...

কথারা ঠোঁটের সীমা না পেরোতে পারলে গোল পাকায় কথাদের ভেতরকার কথায়; এই কবিতাটি শোনালো ডেকে ওঠা কলিংবেল; প্রতিবেশী বন্ধুর কিছু কথা আছে; তার চোখের দিকে তাকাতেই হেসে উঠলো সে; কবির ব্যস্ততাটি বুঝে নিতে দেরী হয়নি তার ভেতরকার চোখের; আমার কবিতার লিপিবদ্ধ মুহূর্তরা সমস্বরে বলে উঠলো শুধুই উপরে উপরে নয় সৃষ্টির সবকিছু ভেতরে ভেতরেও গভীর থেকে গভীরতমভাবে সম্পর্কিত; 


শব্দ'১ || হারা বৈ, জেতা কৈ? (১~শব্দের কবিতা)

বৈ#ঠক



চ্যাটমোড ৷ দূরত্ব ৷ সামাজিক~


মেদিনীপুর; রাত ১০টা ১৭; ১৯-০৬-২০২০~
|
ছেদ | যথাযথ হোক | হতাশা | উধাও হবে )#( হয়নি তো ৷ হতাশাগ্রস্ত ৷ না জমাট বাঁধা রাত } বাতিস্তম্ভরা~ রাস্তাজুড়ে~ ছড়াচ্ছে~ সমান্তরাল আলো
|
ম্লান৷ ঝিঁঝিঁর৷ পাহারাদারি৷ রাতবাইকের চাকায় @ তোমাকে সমান্তরাল আশাবাদ ব্যক্ত করে যেতে হবে~
|
গাছেরা চুপ৷ কুঁড়িরা প্রস্তুত৷ ফাঁকা ধূপদানি৷ পোড়া ধূপ৷ এখনো ভীষণ রকম জীবিত৷ দাপিয়ে ৷ গন্ধে~ কোনো না কোনো গন্ধে বিভোর থাকে ৷ দৃশ্য৷ প্রতিটি~
   |
কয়েকটা টব ; ব্যালকনির খাঁচা; অপেক্ষারত ফেসবুক লাইভ; হ্যাঙারে ঝোলানো পাঞ্জাবী; কাঠের বুকস্ট্যান্ড~ ভাঙতে চাইছে~ জমাট বাঁধতে চাওয়া~ অনেকের অন্ধকার~ 
         |
@ লাইভে~ ভার্চুয়াল সেলিব্রেশনে~ 
       |
লকডাউন উঠে গেছে হে~ চলো | সাবধানে | তথাপি... কাছাকাছি এলে, তুমি, আমি, তাকে কি জমাটবাঁধা বলে? না হে, জড়ো হওয়া বলে~
         |
আমি আর ৷ শূন্যের # তারা ৷ ওই~ তফাৎ তফাৎ থেকে ৷ আলোভাষা লেনদেন করি~ একে | বলে | চ্যাট~
     |
শব্দ ৷ দাঁড়ি ৷ কিংবা কোনো স্পেশাল ক্যারেক্টার ৷ চ্যাটমোডে মাতে ৷ সামাজিক দূরত্ব মেনে ৷ আলাদা ৷ যে যার মতো~ এই ভালো ৷ 

অনুপ দত্ত-এর কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন 
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
                             অনুপ দত্ত-এর কবিতা

ইয়ার দোস্ত

যতটা চাই ততটাই দিস ওম
নিজেকে পুড়িয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছি ধীরে
সেই সব চাওয়া আমির আমির ভিড়ে
কত কী হারানো পুড়ছে বুকে হোম ৷

এ কথা ভালো ব্যস্ত সময় আজ
অবিরাম যেন থাকে এই সরবতা
কখনও যেন না আসে নীরবতা 
সময় গভীর উৎফুল্ল কারুকাজ ৷

দিনের পরে দিনকে সাজাই ভরে 
হয়তো মনে ভাসছে সেই ইথার
কী করে কই, ওরে বন্ধু ইয়ার 
তোকে যে বড় দেখতে ইচ্ছে করে ৷

দিন গেল কী রাত গেল এখন ভাবা এসব কিছু নয়
ফিরে এসে ডাক দেখি তোর জন্য সবকিছু জীবনময় ৷



কে সে ?

ডাক কি আসবে
সে কবে ?
কার কাছে যাবে
সে কে ?
যদি চাও ভুলে যাবে
সে কেন ?
সুখের কান্না আছে
সে দুঃখ ?
যারা গেছে নিজস্ব জলে
সে অন্তর্জলী ?
 ৹
সে কে ?তার চোখ নেই
কান নেই
তার নাক বন্ধ
কেবল স্মৃতি নিয়ে
অস্থির বাঁচা যায় ?
কে সে ?কিন্তু
যাবে কোথায় ?

অন্ধকার ও আলো’র কাহানী


হাজার অজুহাত চাই এ জগতে,পেতে এক বাঁচার দলিল

হয়তো বা খুঁজে পাবে সে বেঁচে থাকা সবুজ ভ্রূণেরা ৷

পরতে পরতে খাদ্যাভাবে  নড়বড়ে জীবন ক্লোরোফিল

অভাবে চুমু খায় জ্যোৎস্নার লিকলিকে শুভ্র কনেরা ৷

আহা, মেঘেরা কেঁদে যায় অঝোর মানুষের শোকে

বৃষ্টি তার চটুল স্বভাবে  মাতে নিতম্ব দোলা আবেগে

এখন জীবন ব্যস্ততায় সময় বেশী কাটে আঁধার পরখে

জীবন সঙ্গী তাই দূরে থাকে বিশুদ্ধ অভিমান ও রাগে ৷

অন্ধকার আড়াল করো পৃথিবীর কাছে এই ভিক্ষা চেয়েছি

ততটাই উজ্জ্বল আলো ফিরেছে তার নিজস্ব জগতে

সমস্ত আলো ভুলে বাস্তবিক অন্ধকার গায়ে মেখেছি

জানা অজানায় মেখেছি সে আঁধার জীবন পরতে ৷

কিন্তু আলো কি একটুও জানে অন্ধকার ছাড়া বাঁচার মানে

জৈবিক নিয়মে আলো ও আঁধার শরীরে মিশে যেতে জানে ৷



তোমার শরীর গন্ধ আঘ্রাণে~


দ্বীপান্তরের মাঠ পেরিয়ে একা
ফিরতে হবে তোমার কাছে এসে
জানি তুমি দাঁড়িয়ে আছো বেশে
তোমার চোখে মায়াকাজল আঁকা৷

সমস্ত কিছু ছিল অগোচরে
কত কি আছে কত বাকী খানিক
নিত্য বেশে নিত্য রাখা মানিক
সাজাতে হবে ভীষণ আড়ম্বরে৷

ভালবাসার আধার আছে খুব
গহন মাখা উদাস আঁখি মেলে
সূর্য্যভরা উদ্দীপনা পেলে
ভালবাসার সুপ্ত দেবে ডুব৷

সবকিছু তাই ভেবে নিয়ে জাগি মন কত কি জানে
চোখে উদাসী বৈরাগী তোমার শরীর গন্ধ আঘ্রানে৷