অগ্রদানী
ঋতুকালীন বৃষ্টির মতো এখানে শীত নামলে জোনাকিরা ঘুমোতে যায়
অথচ এই ঘরের পর্দায় যত ক্লান্তির ছাপ লেগেছিল বিগত মরশুমে
এখন তাতে সরু সরু রূপোর তার
রূপকথার রাজপথে একটাও ভিক্ষুক ছিল না
এদেশে সবাই অগ্রদানী
পঞ্চমুখী
অথচ এমন কথা ছিল
নামতা ভোরে কুয়াশারা চাদর বিছিয়ে যাবে
কথাদের কোন গুরুত্ব থাকে না
যা থাকে তাকে ঠিক হতাশা বলা চলে না
আমি বলি সাবালকত্ব
হাতেদেরও চোয়াল থাকে
তোমরা তাতে ডাইস এঁকে দাও
মেরুকরণ বড় একমুখী
গাছে তখন একটাই পঞ্চমুখী ফুল
জারি থাক
খরচের খাতায় একটাও পৃষ্ঠা নেই
পৃথিবী এঁকে চলেছে আকাশ
মজুদে পোড়া কাঠকয়লা
স্থবির দৃশ্যরা জানে কতটা অন্তরাল
খেলাটা জারি থাক তবু
তুমি'র মুখে আমি
হইহই করে ঘিরে ধরে
লিখিয়ে নেয়
অথচ খরচের খাতায় একটাও পৃষ্ঠা ছিলনা
পঙ্ ক্তি
বিচ্ছেদ আসলে জুড়ে যাওয়া পঙ্ ক্তি
শব্দ সাজাতে সাজাতে
শব সাজে যেমন শেষের বেলায়!
আকাঙ্খা - তাই অপূর্ণ
সময় গুছিয়ে রাখছে ইতিহাস
পৃথিবীর শেষতম গুহায়
বন্ধকে অনুভূতি
যাযাবর জন্মের উঠোন-বাহির
স্থবির তুমি স্থবির আমি
মাঝখানে নাট্যালয়
দেনা
পথ তুমি পথিকের
নাকি পথিক তোমায়
অথবা কার্যকারণ
অর্জনের কোন হেতু হয় না
কাটাকুটির খেলায়
খেয়ালই তো
এই আছে এই নেই
যাওয়া বললেই যাওয়া হয় নাকি
উত্তরে যা বাকি থেকে গ্যালো
দেনারা দিচ্ছে তালা
চাবিটা কিলো দরে
No comments:
Post a Comment