Thursday, September 24, 2020

|| ছক্কা ফর্মের কবিতা ≈ জয়ীতা ব্যানার্জী ||

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
ছক্কা ফর্মের কবিতা
জয়ীতা ব্যানার্জী
পরিচিতি::
নিবাস - বাঁকুড়া। ২০১৬ সাল থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন ও ব্লগে লেখেন। একক কোনও কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। 


চাঁদ কি অনেক দূর


এই মুহূর্তে কেউ নেই

বাহাদুরের বাঁশিটি ছায়াপথে পায়চারি করে

প্রহরান্ত

স্তব্ধতা আমার দায়বোধ

স্বর্ণালী বকুল

তোমাকে আলোর ভারে ন্যুব্জ দেখেছি সারারাত


অবেলা

তোমাকে জড়াই

সুতো কেটে গেছে

আঙুলে রক্ত আর উপশম খুঁজেছি নিয়ত

দুর্দিন দেখে স্মৃতিরাও সামিল কৌতুকে

দর্জির দরজায় প্রবেশ নিষেধ


শ্রাবণ চলেছে

নিঝুম গলির মুখ

ধোঁয়াশা-নিপুণ

চাকায় মাড়িয়ে আলো পলাতক রিক্সাওয়ালাটি

ভেজা বাঁশের কাঠামো, খড়

আচঁলে ফুঁপিয়ে ওঠা অনাদর, জন্মের মাস


প্রতিটি স্নানের শেষ অনিবার্য

আপাত মুখর

জৌলুসহীন

জলের শিল্পবোধ অস্থায়ী

সহজেই কারুকাজ মুছে ফেলা যায়

আকাশে মেঘের সারি তোয়ালের ঔদাসীন্যে ওড়ে


পিছল পাথর

আলতার গাঢ় অভিসার

বিপথগামীতা

কলসি ডুবেছে এসে ঘাটের কিনারে

আঁচলকে দোষ দিল হাওয়া

জলে ছায়াটি যেন যুগপৎ নেয়ে ওঠবার



চাঁদ কি অনেক দূর

পূর্ণিমা

বিলাসী সোরেন

হরিণের ত্রস্ত চাহনি

লাল সূর্যাস্তের গায়ে বিস্তর কুয়াশা জমেছে

পৌঁছনোর পূর্বেই পথ শেষ হল


পৌরসভার কল বিপন্ন, ঘটনাবহুল

ভোরের প্রথম ট্রেন যেন যাত্রীর অপচয়

স্তূপীকৃত খবরকাগজ

প্রতিটি শিরোনাম-ই পূর্বপঠিত

বিস্ময়

বিশ্রামঘর ঘিরে অজস্র জারুল ফুটেছে


বিলম্বিত চন্দ্রোদয়

উপমাবিহীন

জাম্বরী ক্যাম্পের রাত্রি

দূরে আলেয়ায় জোনাকিরা ছাউনি ফেলেছে

রসদ ফুরোলে আমাদের চোখ কেড়ে নেবে

আমাদের দেবে কৃতিত্ব সম্মোহিতের


ঘোলাটে দুপুর

কোকিলের স্বর আপাত রহস্যময়

দ্ব্যর্থক

সহজবোধ্যতার কোনও বিকল্প রাখেনি হাওয়া

বিষাদ অযাচিত করুণায় বিব্রত

কখনো একলা হই, কখনও কখনও আলোর

১০

শীত ও কুয়াশার বাদ্য

সোনাঝুরি বনে খেজুরের মহল বসেছে

দিগন্তে গরুর চোখের মতো উদাসীন গ্রাম

বিকেল ফুটিয়েছে শবর বালিকাটি

কবন্ধ ধানজমি

সম্ভবনাময়


|| ছক্কা ফর্মের কবিতা ≈ সুধাংশুরঞ্জন সাহা ||

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
ছক্কা ফর্মের কবিতা
সুধাংশুরঞ্জন সাহা

পরিচিতি ::
সুধাংশুরঞ্জন সাহা । জন্ম তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫৭ । বিজ্ঞান, কলা, আইনে স্নাতক। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। স্টেট ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। লেখালেখির শুরু ১৯৮৭-৮৮ সাল নাগাদ। ইতিপূর্বে জাতীয় স্তরে ব্যাঙ্কিং ট্রেড ইউনিয়ন এবং গ্রুপ থিয়েটার নিয়ে বিশেষভাবে সক্রিয় থাকার কারণে কবিতার জগতে আসতে একটু দেরি হয় । তবে, থিয়েটারই কবিতা মনস্ক করে তুলতে সাহায্য করেছে নানাভাবে।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : চোদ্দ । গল্পগ্রন্থ : এক । ছড়াগ্রন্থ : এক । 
অপহৃত রাত্রির চর্যাকথা; * নিরুত্তর তারার স্বপ্ন; * পূর্বাভাস; * পাগল চাকা ঘুরছে অবিরাম; *একা দুপুর; * শ্রেষ্ঠ প্রেমের পদ্য;  * উপেক্ষিত সকালের মেঘলা সনেট;  * মন্দাক্রান্তা, অবাধ্য মেয়ে, তোমাকেই বলি;  * শ্রাবণের নিরিবিলি মেঘ ব্যারাকে;  * সময়ের এস্রাজে বেজে যায় অবুঝ দুপুর
পুরস্কার : কবি নিত্যানন্দ পুরস্কার । পূষণ পুরস্কার । ইসক্রা স্মারক সম্মাননা । কবি বেনু গঙ্গোপাধ্যায় পুরস্কার.... ইত্যাদি ।


(এক)

হাঁটাপথ
শেষ হয়ে গেলে
সকাল সকাল
ডগলাস মাঠ আমার কাছে ছুটে আসে 
নিমগাছ হাতছানি দিয়ে ডাকে
ঝুঁকে পড়ে তামাম করমচাগাছ পাতাবাহার

(দুই)

হাত আর মুখ
কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না
রাস্তা
নিজেই সংযত থাকে খুব
শুধু দেখে
কীভাবে বদলে যাচ্ছে মানুষ আর আশপাশ

(তিন)

শিরোনামহীন বেঁচে আছি
ভ্রূপাতায় জেগে থাকে নানা বিস্ময় 
তোমাকে
মনে পড়ে খুব আজকাল
শ্রাবণ এলে
বৃষ্টির জলে ভেসে আসে তোমার মুখ

(চার)

সন্দেহের জ্বর
পোড়াচ্ছে সারা দুনিয়া
রেহাই নেই কারো কোন নিপুণ অজুহাতে
অভূতপূর্ব এক যুদ্ধ পৃথিবী জুড়ে
সামান্য এক অচেনা ভাইরাস
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে

(পাঁচ)

মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে
মাথার ভিতর
অবুঝ
ভায়োলিন বেজে ওঠে
চোখের জলে সাঁতার কাটে নদী
চেনামুখ অনর্গল কথা বলে বুকের গভীরে

(ছয়)

বেশি নয়
মাত্র একবার ঘুরে দাঁড়াও
একবার
জয় করবার আছে সুবিশাল দুনিয়া
শিরদাঁড়া সোজা করো
তোমার সামনে সীমাহীন বিস্ময় অপেক্ষা করছে

(সাত)

বারবার কেন যে ভুল হয়ে যায় 
কেন হারিয়ে ফেলি দিশা
আমাকে চমকায়
পথ
ভুলিয়ে দেয় সব
তবু আমি একা একা চলি

(আট)

কোন কোন বিষাদ আমাকে জাগায়
তিস্তার ঠান্ডা স্রোতে
অবাধ্য
পাহাড়ের পাদদেশে
গভীর অরণ্যের আঁকাবাঁকা পথে
ছাঙ্গো লেকের বিস্তীর্ণ এক বরফের রাজ্যে

(নয়)

কাল
সারারাত বৃষ্টির জলতরঙ্গ
আমাকে বাজিয়েছে
ভোরের শত সহস্র পাখির নিবিড় মগ্নতায়
আকাশময় মেঘ রোদের মায়ায়
স্বপ্নময় কবিতার এক অলীক উপমহাদেশে

(দশ)

কাটা ঘুড়ির বিষণ্ন বিকেল
আমার মগজে রাত্রি গুলে দেয় 
কেউ
সেটা বিশ্বাস করে
কেউ আবার
হারজিতের তীব্র জীবনবোধের গল্প বুনে দেয়


|| ছক্কা ফর্মের কবিতা ≈ দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ||

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
ছক্কা ফর্মের কবিতা
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

পরিচিতি::

কবি দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এর জন্ম ১৪ই জুলাই ১৯৬৯ কুলটিতে এবং বর্তমান তিনি হাওড়ার বাগনানে বাস করেন তার কবি জীবন শিশুকাল থেকে আসানসোল বি. বি . কলেজে ইংরেজি অনার্স নিয়ে ভর্তি এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে এম . এ পাশ এবং বি এড বেলুড় শিক্ষণ মন্দির, হাওড়া থেকে। ২০০২ পর্যন্ত গৃহশিক্ষকতা এবং চাকরি বাইনান বামনদাস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষক । কলকাতার ইন্দ্রাণী পত্রিকায় যখন কবিতা প্রকাশ হয় তখন কবি দশম শ্রেণি 1983. এরপর প্রথম কবিতার বই 1997ক" কবিতার একখন্ড মুখ" এরপর  কর্মসূত্রে বাগনানে এবং দ্বিতীয় কবিতার বই "আজকাল পরশুর গল্প ",এরপর খন বাংলা কবিতার কাগজ প্রকাশ করে " শূন্য কিন্তু শূন্য নয় " ,ত্রলেখা থেকে " ভূমিকা প্রেমের কবিতার " , কবিতা ক্যাম্পাস থেকে " বিষন্ন রেখার পারে " এবং সুতরাং থেকে " ভেনাস বিউটি পার্লার " এবং নতুন পাতার গন্ধ " কবি কবিতায় বাঁচতে চান। কৃত্তিবাস , কবিতা ক্যাম্পাস, কৌরব , ভিন্নমুখ, কবিকন্ঠ , এখন বাংলা কবিতার কাগজ, আদম , কবিসম্মেলন , সানন্দা , এইসময় , গুহালিপি ,দমদম জংশন এবং অসংখ্য লিটিল ম্যাগাজিন , দেশ বিদেশের ওয়েবজিনে কবি লিখে চলেছেন।  




তিনটি ছক্কা

১.

|| ছক্কা ফর্মের কবিতা ≈ দেবার্ঘ সেন ||

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
ছক্কা ফর্মের কবিতা
দেবার্ঘ সেন
পরিচিতিঃ 
৫৯, চারাবাগান, শেওড়াফুলি,  হুগলী, শ্রীরামপুর, জেলা- হুগলী, সূচক- ৭১২ ২২  কবিতাই কবির মূল পরিচিতি এ বিষয়েই বিশ্বাসী। কবিতা অন্ত প্রাণ। নানান পত্র-পত্রিকায় লেখেন। এখনও পর্যন্ত চারটি কবিতার বই প্রকাশ পেয়েছে--
ক) সমান্তরাল, দিগন্ত প্রকাশন খ) এক্সকিউজ মি, বার্তা প্রকাশন গ) কাজল বাঁশী, বার্তা প্রকাশন ঘ) নির্বীর্যতার জতুগৃহ, বার্তা প্রকাশন


ভাগশেষ
অবসান
ঘরে ঘরে করাতের ধ্বণি
প্রাপ্ত ভাগশেষে পোড়া স্রোত গান
জরিমানা নিয়ে গেল শেষ রক্ত বিন্দু
খবর আজ উদাসীন
রক্ত শিশির


এপিটাফ
উড়োজাহাজ প্রেম
বিসর্গ কান্না উঁচু গলায়
প্রস্বাপন
খসে পড়া প্রাক্তন চামড়ার কোলাহল
দূরে শাঁখ বাজে
চিরবিদায়ীর সাজে সেজেছে, কয়েকটা বিপ্লবী নখ


নাভি
ধোঁয়াদের পর্বতশ্রেণী
পথ শেষের বাল্মিকী
নির্বিকার
পায়ের কৌশল আড়াল করে ছায়া
বেলেল্লাপনা, এই তো নির্বাসন
শরীরের নাভি, নাভির শরীর, নাভিতে পৃথিবী


বিবর
উদ্বায়ী একটা মৌলিক ধর্ম
গোপনীয়তা চুরি
আয়োডিন
বিবরের অস্থায়ী প্রতিনিধি
সারা অঙ্গ জুড়ে আঁশযুক্ত ছাই
একাকী মানুষটা অপরাধবোধেই শেষ হয়ে গেল।

সান্ত্বনা
স্বপ্নের ভেতর বাস্তব
ঘোর বিভোর
ডানা ঝাপটায় উত্তাল হৃদয়ের লহরী বাতাস
ঘুমের মাঝে তোমাকে হাতড়াই
গণিত দিয়েছে প্রেমের সান্ত্বনা পুরস্কার
জলপ্রপাত



পরীক্ষা
অর্ধমৃত শরীরে প্রতিশোধের কাটা দাগ
অপ্রত্যাশিত
ভুলে যাওয়ায় আত্মসম্মান বাঁচে
চশমা পাল্টাও
আগুনের কাছে বসাই জন্মের দায়
এই তো পরীক্ষা

কাকতালীয়
তালি কাক অথবা কাকতালীয়
একটা ঘড়ির ছিন্ন শ্বাসমূল
অবসর ভেদে ভালোবাসার চিহ্নিত প্রিয় উপমাংস
নির্মেদ গোমেদ
তর্জমায় ফিরি একা
পাতাবাহার

উদাসীন পর্যটক
অরণ্যের আন্তরিক পথ একা
উদাসীন পর্যটকেরা যত্ন নেয় না স্নানে
বনফায়ারের মাংস
ফেরার ট্রেন বাতিল
ঝোপঝাড়
আন্তরিক সুড়ঙ্গে চেপ্টে গেল হৃদয়।

হ্যালো
ফোনের একপাশে রাত আর একপাশে দিন
খিমচে ধরা আলোর হাত
আমাদের লম্ব-বৃত্তাকার সম্পর্কের ধূসর প্যাপিরাস
প্রায়ান্ধকার
চোখের ভেতর স্যুইচ
সংক্রামিত হ্যালো

মার্জনা স্তূপ
আদরের কান্না শুনি
সালোকসংশ্লেষ
বন্দিরা মন্দিরের চটে যাওয়া আর্তনাদ
সমাজ সংস্কারে মৃত্যুমুখী ক্লোরোফিল
যদি সম্ভব হয়, পড়ো তফাতের শিরদাঁড়া
তারাদের গল্পসমগ্র

 


|| ছক্কা ফর্মের কবিতা ≈ সুদীপ ব্যানার্জী ||

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
ছক্কা ফর্মের কবিতা
সুদীপ ব্যানার্জী
পরিচিতি :: হুগলী জেলার ধণিয়াখালির বাসিন্দা। বছর পাঁচ - ছয় লেখালিখি বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন ওয়েবজিন ও পত্রিকায় ।   


রডোডেনড্রন দিলাম

তোমাকে চিনতে চিরুনি কিনেছি
রোববার শিখিয়েছো, "ভালবাসিকে দূষণ বলে না "
যত্নে রেখো খামটা
কাঠগোলাপ, পাহাড়ি আদর
প্রথমবার
ধোঁয়া ওঠে আমাদের কাপে

চলাচল

তুলে রাখা ঋণ অল্প সুরাহা
একলা ঘোড়া, ছুটছে -- সামুরাই, স্ক্রিন , মরুদ্যান
তার ফিরে তাকানো
স্টপেজ নিরপেক্ষ
স্কিম
হাঁটছি , কৃতজ্ঞ আপনার আজকাল


ম্যানহোল

চমৎকার
হাততালি শব্দও
ঘোমটা খুলেছ কি? 
বোঝাগুলোর নাম ছবি বিশ্বাস রেখেছে ওরা
চলন্ত সংসার থেকে ঝাঁপ অন্ধ
গুটোলেন, মায়াময়, গর্ভস্থ প্রস্তাব

কাকতাড়ুয়া

ভয় একটা অনুপ্রাস
বিকল্প
প্যারাডাইস, জানো আলের আড়াল? 
ধানের নাম দিয়েছো বুলবুলি
ছোট্ট মেয়েটা খালি মাঠ , খিদে পেয়েছের, 
পাখিরা বোকামি ভুলছে

অভাব

দীর্ঘশ্বাস চেপেছি গতকাল
কষ্ট ভাবলে সাদাফুল হাত তোলে
পেন্ডিং মরণ, অসহ্য তোমার ড্রামা
রাতভোর উল্লাস নকল প্যাকেটে
তারা মিটমিট
ধামাকা, চূড়ান্ত 


হেডলাইন

প্রয়োজন অন্য খবর , দেহটির ,
জাম্পকাট তলানিতে মাথানত
সম্প্রসারণে কথা নেই নিজস্ব খুশিটির
এলোমেলো অজান্তে , চুপচাপ 
স্বস্তির সূচক আলাপের দিনক্ষণ 
বিকেলের এডিটিং


বাসিন্দা 

বস্তির খুব নীচু ধাপে থাকি
শুকনো চোখই গেঁথেছি
রাত পরি হয়ে আসেনা এখানে
খুব হাসলাম
নাম লিখে নিলো ওরা
আমরা জনতা

মন্দির

অনেকটা গঙ্গার সাথে বইলাম
স্যাঁতস্যাঁতে 
কাল হাত ধরব মেঠো বন্যার
রিনরিনে ধারা আয়না
অনেকটা স্বচ্ছ কলার , তোমাদের প্রাণ নেই
দোকান দেবতার


মান্টো

কী এক খাবল মাটি
এপার ওপার মানুষ
দেখতে বেশ লাগে আমাদের চেনা ম্যাপগুলো
আধাবডি ঝোলা কাঁটাতারে
কোলাজের টুকরো ভেঙেছো আকন্ঠ
ভূগোল



আমি

পাজামা
দ্বিপদ জুড়ে গেছে
নিপুণ রিফু
কাঠামোর অজাচার, লৌকিক ভয়ে ভিজছে , ঘাম
গোলাপির কোল নষ্টভিত,  কান্না
তখনও পোশাক মানে শপথ জানতাম