Wednesday, December 25, 2019

অনুগল্প-আলোক মণ্ডল













পদ্মপাতার সংলাপ              আলোক মণ্ডল

পদ্ম নিয়ে এখন কিছু বললেই এখনই রে রে করে আসবেন সবাই ,বলবেন আপনার হয়ে গেছে! আপনি এবার গেরুয়াসক্ত হচ্ছেন - বৈরাগ্য না হোক এবার পদ্মফুল ধরে স্টেজে উঠতে চাইছেন। না মশাই, বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয় আর সে রকম কোন অভিসন্ধিও আমার নেই, কেননা আমার তেমন কোন চাওয়া বা পাওয়ার কিছু নেই। তাছাড়া খামোকা ঝুট ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বই বা কেন! সবে অবসর নেওয়া ছা-পোষা বৃত্তের মধ্যবর্তী স্থানে বসবাসকারী মানুষ অত ফুল নিয়ে কী করবটাই বা কি! ঘাসফুল পদ্মফুল! ধম্মকম্ম,পুজো আর্চা কিচ্ছু করিনা! তাই ফুল নিয়ে আর কি করব? তবে আমার ফুল একবারই খুব দরকার পড়ে, সেই পঁচিশে বৈশাখ!  কবির প্রিয় কৃষ্ণচূড়া দিয়েই  চালিয়ে দিই । আর এ ফুল সে ফুলও নয়  যা বিশেষ দিনে বিশেষ মানুষ থুড়ি মানুষী কে হাঁটুমুড়ে হাত বাড়িয়ে দিতে হয়, সেই লাল গোলাপও নয়। সুতরাং ফুল  বাদ।কারণ পুষ্প আপনার জন্যে ফোটে না,পরের জন্য তোমার হৃদয় কুসুমকে প্রস্ফুটিত কর। হৃদয় কুসুম ফুটুক,অপেক্ষায় থাকি।তবে পাপড়ি সমন্বিত সু অথবা দুর্গন্ধিত ফুল একদমই বাদ। যারা "ফুল" তারাই এ বাজারে ফুলের আলোচনা করে! আমি মোটেই তেমন এপ্রিল  fool   নই, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল মাথায় ফুল বাদ দিয়ে একটু পাতার কথাতেই আসি। না তেঁতুলপাতা নয় তেমন সুজন আর কোথায়?  ন'জন যে এক সংগে সেখানেই শোবে সে সুজন কই !  ফুল নয়, পদ্ম পাতারই কথা বলছি , পদ্ম পাতা।   সেখানে শোয়ার কোন প্রশ্ন নেই।অবশ্য লোককথা ছাড়ুন, সেখানে পদ্মপাতায় কীসব ফেলে দিয়েছিল মহাদেব আর তা থেকেই নাকি লৌকিক দেবী পদ্মাবতী মানে মনসার জন্ম , ঐটুকু পাতাতে ভাবা যায়! ওখানে শোওয়া কেন থাকা,পা রাখা কিংবা বসাও অসম্ভব। মাইকেলের কবিতায় আছে না ধন মান যৌবন পদ্মপাতায় জলের মতোই ক্ষণস্থায়ী টুক করে কখন যে পড়ে যাবে তার ঠিক নেই,শোয়া তো দুর অস্ত!
লাজুক পাতা সন্ধে হলেই চোখ মুদে দেয়,  অথচ সারাদিন  মেঘ রোদের খেলায় বাতাসকে নিয়ে খেলে, জলকে নিয়ে কত খেলাই না খেলে! কখনো জলকে কোলে তোলে আর টুক করে নমিয়ে দেয়,কখনো বাতাসের সংগে আড়ি করে মুখ ঘুরেয়ে নেয়। বলে যেন,কথা কইব না যাও!গভীর জলের মাছ কখনো ঠুকরে দেয় নাল,কেঁপে কেঁপে ওঠে তার শরীর,ফাজিল ফড়িং উড়ে এসে ওর বুকে বসে আবার উড়ে যায়,আবার আসে যেন ওর মজা শেষ হতেই চায় না! পাতার ছায়ায় নিরাপদ শান্তিতে কত যে সাপ এলেবেলে পদ্মের নালকে জড়িয়ে খেলা করে, নানা রঙের, যেন কত দিনের  পুরনো তাদের বন্ধুত্ব, কত আলাপ মধুময়,কত ছোঁয়াবুড়ি খেলা ! না,ফুলের কথা বলব না, এখনই অন্যভাবে নিয়ে নেবেন!  সমস্ত পকুর পাতায় ছাওয়া, জল খুঁজুন দেখতে পাবেন না।পাতা শুধু পাতা।পদ্মপুকুর। এক দিকে পাতা সরিয়ে সরু জলপথ, ঘাটের পাথর পার হয়ে জলে নামুন, পেয়ে যাবেন তার নাগাল, ছুঁয়ে ফেলুন, আর আয় সবে সহচরী হাতে হাতে ধরি ধরি করে নাল ধরে টান মারুন দেখবেন এক সাথে ধরা দেবে অনেকে,যেন ওরা আপনারই অপেক্ষায় ছিল এত দিন! হাতে নিয়ে এক ফোঁটা চোখের জল- না না অযথা চোখের জল ফেলবেন কেন,এক ছিঁটে জল দিন দেখবেন অনেকগুলি  মুক্তোবিন্দু টলমল করছে যেন কালের কপোলতলে সমুজ্জ্বল তাজমহল! ঝিরঝির বর্ষায় বই খাতা নিয়ে স্কুল ফেরৎ ছেলেমেয়েরা যখন মাথার ছাতা করে পদ্মপাতা ঢাকা দেয়,  আহা! ইচ্ছে করে ওদের মতো হয়ে যাই! চুল ওঠা টাক ঢেকে রাখি পদ্মপাতায়! টিনের ছাদে শিল পড়ার শব্দ  কেবলই আতঙ্ক ছড়ায়, ভাবতে পারিনা কোন মোহময়তা কিন্তু পদ্মবনে পাতার ওপর ঝিরি বৃষ্টির মধুর সুর, বড় ফোঁটার বৃষ্টি ধারার আবেগী তান, পাশের গাছগাছালির ওপর জলধারার আওয়াজ  মিশে যে অপার্থিব পরিবেশ তৈরী করে তা জয়জয়ন্তী রাগে প্রাণিত আর সারাদিনমান যদি মেঘমল্লারে গান বাজে তবে আর দেখে কে, হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে ময়ূরের মতো নাচেরে! তখন বলতে ইচ্ছে করে যেও না দাঁড়াও বন্ধু আরও বল কুকথা,,,
কুকথা যমক অলঙ্কারে সু।সুন্দর কথা। সুন্দর গন্ধ আছে পদ্মপাতায়। বাসমতী না হোক ঢেঁকিছাঁটা, এখন ৫০ টাকা কেজি পাওয়া যায় কিংবা রত্না  বা যে কোনও চালের ভাত হোক, একস্ট্রা পদ্মপাতার গন্ধ , খাওয়ার আনন্দই বাড়িয়ে দেয়। তাইতো উদরের ধারণ ক্ষমতার 
চেয়ে বেশী খাওয়া হয়ে যায় পদ্মপাতায় খেলে তার ওপর যদি পোনা মাছের ঝাল, ঝিঙা আলুর পোস্তুু  আমের চাটনি আর ছাঁচি পেঁয়াজ থাকে তাহলে তো আর কথা হবে না!

ঝুরোগল্প-কাজল সেন














সম্পর্কখেলা   কাজল সেন 

বিহঙ্গম ভাবতে পারেনি, বিতান ফিরে আসবে। যাওয়া মানে তো চলে যাওয়া, ফেরার কোনো প্রতিশ্রুতি থাকে না! তাছাড়া বিতানের প্রস্থানপর্বে বিহঙ্গম বিতানকে  কখনও ফিরে আসার জন্য অনুরোধও করেনি। বলেনি – যদি ইচ্ছে হয়, ফিরে আসিস! বিতানও বিদায় মুহূর্তে বলেনি – আসি! বরং বলেছিল – যাই! এসব কারও জানার কথা নয়। কেউ জানেও না। শুধু সাবিনা জানেকেননা সেদিন সাবিনা উপস্থিত ছিল সেই বিদায়লগ্নে।

সাবিনা মনে করতে পারে না, ঠিক কবে থেকে বিতান থাকতে শুরু করেছিল বিহঙ্গমের সঙ্গে। অনেকদিন থেকেই বিহঙ্গমের কাছে বিতানের আসা যাওয়া। সাবিনা এত হিসেব নিকেষ করে দেখেনি। বিহঙ্গমের কাছে বিতানের আসা যাওয়াটা নিতান্তই সাধারণ ব্যাপার ছিল। যেমন বিহঙ্গমের কাছে বিতানের থেকে যাওয়াটাও ছিল তাইআর তাই বিতান যেদিন ‘যাই’ বলে চলে গেল, সেদিনও সাবিনা ঘটনাটা একান্তই সাদামাটা বলে মেনে নিয়েছিল।

তবে বিহঙ্গম অনেক ভেবেও ঠিক যেন বুঝে উঠতে পারেনি, বিতানের চলে যাওয়ায় সে কতটা কষ্ট পেয়েছিল! বিতান তার কাছে ছিল, বড় বেশি জড়িয়েই ছিল, ভীষণ রকম শারীরিক ও মানসিক নিবিড়তায় নিমগ্ন ছিল। তাই বিতানের চলে যাওয়াটা বিহঙ্গমের কাছে খুব সহজ কিছু ছিল না। অথচ বিতানকে ধরে রাখারও কোনো শর্ত ছিল না, কোনো অজুহাত ছিল না। আবার বিহঙ্গম এটাও ঠিক বুঝে উঠতে পারে না যে, বিতান চলে যাওয়ার পরে যখন সাবিনা ঠিক একইভাবে, কোনো শর্ত বা অজুহাত ছাড়াই তার কাছে থেকে গেল, সেই থেকে যাওয়াটা বিহঙ্গমকে কতটা আশ্বস্ত করেছিল!

বিহঙ্গম ভাবতে পারেনি, বিতান ফিরে আসবে। সাবিনাও ভাবতে পারেনি। হয়তো বিতানও ফেরার আগে ভাবতে পারেনি তার ফেরার কথা! কিন্তু এটাই তো এই সম্পর্কখেলার নিয়ম! খেলতে গেলে সেই খেলার নিয়ম মেনেই খেলতে হয়। যদিও চলে যাওয়ার সময় বিতান আনাড়ি খেলোয়াড়ের মতো ‘যাই’ বলেছিল। লেনি ‘আসি’আসলে সবাই তো ঠেকেই শেখে! আর তাই খেলার নিয়মেই বিতানও ফিরে এসেছে বিহঙ্গমের কাছে। আবার সেদিনও সাবিনা ঘটনাচক্রে উপস্থিত

বিতানের পুনঃপ্রবেশপর্বে! সাবিনা ভাবে, ভুল করে বিতান ‘যাই’ বলেছিল। কিন্তু ফিরে আসাটা সম্পর্কখেলার নিয়ম মেনেই। যেমন এখন সাবিনার প্রস্থানপর্বে ‘আসি’ বলে চলে যাওয়াটাও তো সেই খেলার নিয়ম মেনেই!


গদ্য- মন্দিরা ঘোষ













গ্রীষ্মের দিবানিদ্রা এবং টিকটিকি     মন্দিরা ঘোষ

ভরা গ্রীষ্মের দুপুর।বাইরে খই ফোটা রোদ।রোজকার মত দুপুর কেটে কেটে ভরে ফেলছি নিজস্ব কথোপকথনের খাম।
 দিবানিদ্রার মত একটি বেয়াদপ ইচ্ছে উঁকি মারছে ইদানিং।
আসলে তোমার শব্দ জড়িয়ে ঘুমোনোর অভ্যেস পাল্টে ফেলেছি কবে!
দেওয়ালের টিকটিকি এখন  আমার ভাল মন্দ ভাবনায় ঠিক  ঠিক বলে মাথা নাড়ে। 
নাছোড়  কিছু দূরজ স্পর্শ  ভোরের শিশিরের মত নামে চোখের তারায় আর অকারণ  আবেগপ্রবণ  হয়ে যাই।
প্রিয় খাতাটিকে কাছে টানলে অপ্রিয় খেয়াল পিছু নেয়...খাতার ওপর ঝাঁপতালে ত্রিতালে ওরা নেচে বেড়ায় ...ব্যঙ্গ ক'রে আমায় বিব্রত করে সদাই।

সরিয়ে রাখি...সরিয়ে রাখি তোমার জন্য জমিয়ে রাখা লোনা জলের মিছিল...সরিয়ে রাখি বুকের ভেতর হু হু বাতাসের ঘরে এলোমেলো চোখের হিসেব....তুমি বুঝবে না বলেই।

মুখ ফিরিয়ে দেখি জানলা দিয়ে গড়িয়ে আসে অবেলার ঢিমে রোদ, কাঠের খড়খড়ি দিয়ে আড়াল করি তাকে।ফাঁক দিয়ে তবু মরা রোদের ঔদ্ধত্য কমে না।ভেতরে ভেতরে অস্থির  হই ।
ফোনের মোবাইল ডাটায় শাটার টেনে  ভাবি বেশ একটা জব্দ করেছি...প্রিয় মুহূর্তের ঘরে মস্ত একটা ভারী কঠিন তালা ঝুলিয়ে দিয়ে! যেন খুব একটা শাস্তি দিলাম অদৃশ্য কোন আততায়ীকে যে এসব বিড়ম্বনার মুহূর্ত এঁকে চলেছে পর্দার আড়ালে থেকে।

দেওয়ালের টিকটিকি  টিক টিক করে আমার ভাবনায় টিক মার্ক দ্যায়...আর চোখাচোখি হতেই ওর একগাল হাসি আমার চোখ এড়িয়ে পুরোনো বইয়ের আলমারিতে লুকিয়ে পড়ে।

অনুগল্প- অর্পিতা বোস












       কর্কট             অর্পিতা বোস

আয়নার সামনে  বসলো আজ  বহুদিন পর সুচন্দ্রা।নিজেকে  দেখছে, মাথায় হালকা  চুলের আভা, গায়ের  রঙ কেমোর প্রভাবে  পুড়ে গেছে, টানা টানা  চোখ আজ জল ছলছলে, বাঁশির মতো নাকে হীরের  চাপা নাকছাবির  দাগ,তবে নাকছাবি  নেই। তার ঠোঁটের  ওপরে  এই তিলটা দেখে  অতীন একসময়ে পাগল হয়েছিল, কমলালেবুর কোয়ার মতো গোলাপি ঠোঁটগুলো  তার আসল রঙ হারিয়ে  বিবর্ণপ্রায়।  সুচন্দ্রার গলাকে বন্ধুরা বলতো মরাল গ্রীবার উপযুক্ত উদাহরণ , সেই  গলাতে অতীন আর তার  নাম  লেখা  একটা ছোট্ট  হার্টশেপের পেনডেন্ট থাকতো, আজ নেই, অপারেশনের আগে খুলেছিল, আর পরা হয়ে ওঠেনি ।
সুচন্দ্রার  চোখ  আয়নাতে নিজেকে মাপতে মাপতে নামছে। গলার নীচে  এসে চোখ  আটকালো।মনে পড়ছে গতরাতে 
অতীনের কথা, কী আছে তোমার? নিজেকে  আয়নাতে দেখেছো? তুমি  ফূরিয়ে গেলেও আমি  তো ফুরিয়ে যাইনি। 
   দীর্ঘশ্বাসটা চোখ বেয়ে  নামতে থাকে। একদিন এই অতীন  তার শরীরে  খুঁজে পেত কবিতা, আর আজ!
    অবশ্য  এই কথাগুলো  সে  বুঝতে পারছিল অতীনের বাবহারে ।যত রোগটা তার শরীরে  জাল বিস্তার  করেছে,  
তত বদলেছে অতীন। 
    তবে কী সবটাই শরীর?  মন বলে  কি কিছুই নেই? 
   নাহ্, আর না।  মাথাটা  একটা সিল্কের  স্কার্ফে জড়ালো,মুখে  হালকা  প্রসাধন, বিশেষ ভাবে তৈরি করা  এই পোষাক  
পরে আয়নার  সামনে আবার নিজেকে  দেখলো।নাহ্ ! তার অঙ্গহানির খুঁত  বোঝা যাচ্ছে না। বান্ধবী পৃথার 
সহযোগিতায় পাওয়া নতুন চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারটা হাতব্যাগে নিয়ে দরজাটা লক করে।
   ট্রলিটা নিয়ে ক্যাবে উঠে ভাবে বিজ্ঞান শারীরিক অসুস্থতার সম্পূর্ণ নিরাময় করতে পারলেও সমাজের কর্কট রোগের
 কোনো চিকিৎসা করতেই পারে নি। মোবাইল বের করে  অতীনকে মেসেজ করে, 
--জীবনের সূচনা হোক  নতুন করে ..

কবিতা- রোনক ব্যানার্জী

মরুদ্যান  রোনক ব্যানার্জী
প্রস্তুতির আগ্নেয়গিরি স্তব্ধ,

একটি ঝলসানো থোবড়া শাস্ত্রপাঠে মগ্ন;
রাক্ষসগণের জাতক ছায়াপথ ধরে বেকসুর খালাস
রাশিপুঞ্জের  সহজাত প্রবৃত্তি কেমন, স্কেলার নাকি ভেক্টর?

অভিজ্ঞতার মাফলার জড়িয়ে একটি পিঁপড়ে মর্নিংওয়াকে বেরিয়েছে,
সঙ্গে রয়েছে সুস্বাদু কূটনৈতিক বিস্কুট,
বিজ্ঞজনের কেশে আজ ক্লেশের মুকুট;
ভিক্ষার থালা পাশার ছক,এক একটি ভিক্ষুক,ছকের পিলার।

মসনদে মুখোশের প্রদর্শনী চলছে,
চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে হরিণের মুখোশ, অবোলা শাসক;
মূলস্রোত থেকে দুপাশে বেড়েছে কাঁটাতারের দ্রাঘিমা
স্রষ্টার ম্যাজিক,গ্ৰান্ড ক্যানেলের ওপর ভেনিসের রিয়ালটো।

সিংহাসন ও মুকুটের পালক একটি উষ্ণ প্রস্রবণ
রাজা হলো ভূকেন্দ্র, জনতার ক্রমবর্ধমান দাবির ত্বরণ শূন্য
শতবার ব্যর্থ, অবিচল মাকড়সার জাল বুননের গল্প,
মরুপথে পিপাসু পর্যটকের মরুদ্যানের নয়নাভিরামের মতো অবিকল।