Wednesday, October 6, 2021

শারদীয় সংখ্যা~কবিতায় উদিত শর্মা

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || কবিতায় উদিত শর্মা


আলুপোস্ত


X= প্রেম ও  Y= দুপুর  হলে
X^Y = হলুদ ছাড়া মাখোমাখো আলুপোস্ত
মায়াবী চোখ। গীটারের ঝংকার। 

Life = π  অতএব
ভুরু কুঁচকে দেয়াল মুখো বাঙালি 
পাটপাট আঁচড়ানো চুল
জ্ঞানভৈরবী। দেড় আনার বারান্দা। 
জিবের ডগায় দু’একটি অপ্রাসঙ্গিক... 

যাক গে... এসো বসি - 
কয়েক গ্লাসের আগে কয়েক কাপ হয়ে যাক
তারপর না হয় পঞ্চাশ অক্ষরের
ধন্যবাদ জমা রেখো কড়িডরে । 


প্রজাপতি বিস্কুট 


যদিও প্রেমের কবিতা লেখা হয় অনর্গল 
সত্যিই কি প্রেমিক হওয়া যায় এভাবে -

friend zone থেকে labour pain উঠলেই 
তবলা বাজিয়ে প্রেম। 

হাজার খানা Insta follower এর
দিব্যি খেয়ে বলছি :

তোমার নামের কোনো অ্যান্টিবায়োটিক 
শরীরে নেই আজও, অতএব

দু-কাপ লাল চায়ের সঙ্গে
দুটো প্রজাপতি বিস্কুট চলতে পারে অনায়াসেই। 



শারদীয় সংখ্যা~কবিতায় নীলাব্জ চক্রবর্তী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || কবিতায় নীলাব্জ চক্রবর্তী



স্মৃতি



শব্দ খুলে রাখার শব্দে

একটা

ঢেউ

দুটো

কার রঙ মেলাচ্ছে

দুটো নরম ক্যামেরায়

চোখ ফেলতে

জিভে যে লেন্সের স্মৃতি

দুলে উঠছে একটা পূর্বনির্ধারিত মনোলগ

ইন্দ্রিয়

ঘন একটা কবিতা হয়ে

তেকোনা একটা ছন্দ

গোল হতে হতে

জ্যামিতির বাইরে যতোটুকু

চলে গেল

এইসব হরফের শ্লীল বিনিময়...




স্নায়ু ও যৌথ কবিতা


পুরনো আঙুল

ঠাণ্ডা একটা বিজ্ঞাপনের দিকে

আমাদের

এই কাঁচের ওপর কাঁচ এসে

একটা ছায়ার অর্ধেক

অন্য কোথাও পড়ছে

ভাঁজ হয়ে

নিয়ন্ত্রণ

একটি সংস্থাপক ঋতু হয়ে

স্তন অবধি

যে বর্ণমালা

উপচে আসছে ক্রমাগত

পালিশ করা একটা একটা দিন

স্নায়ু ও যৌথ কবিতার খসড়া...







শারদীয় সংখ্যা~কবিতায় তুলসীদাস ভট্টাচার্য

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || কবিতায় তুলসীদাস ভট্টাচার্য 



প্রকাশ 

একটি প্রকাশিত কবিতা থেকে দূরে
থেমে গেছে আমাদের পথ 

চড়া বুকে চরের দীর্ঘশ্বাস

বালি খুঁড়তে খুঁড়তে আঙুলে জলের ছোঁয়া

জেগে ওঠে নদী তীরবর্তী শহরগুলি 

বুকের পোতাশ্রয়ে নোঙর ফেলে জাহাজ
লাইটহাউস লক্ষ্য করে ছুটে আসে ঢেউ

আলোকবিন্দুটি ক্রমশ বড় হয় নাবিকের চোখে 

এলাচ দানার ভেতর গর্ভবতী সময়


জাগতিক রাতের সব গুঞ্জন থেমে গেলে 
অপ্রকাশিত অক্ষরগুলি কবিতা হয়ে ওঠে। 

ক্ষয় 

ব্যাঙ আর ঝিঁঝিঁ র ডাকে ঢাকা
প্রেমিকার বহুমাত্রিক কলরব 

বিবাহবার্ষিকীর ফিকে রোদে 
নারী খোঁজে জন্মান্ধ পুরুষ 

ঢেউয়ের পর ঢেউ 
মুছে যায় দাগ ও নকশা

পলিপড়া হাপরে পুরু হাইড্রোকার্বন 

মাটিক্ষয়ে সরে গেছে শেকড় ও সংসার 

জোয়ারের পর মৃত জোনাকির চোখ 
আলোহীন পথে হেঁটে যায় কিছু প্রানী

বৈষ্ণবীর একতারা ভাঙে রাতের নীরবতা। 


শারদীয় সংখ্যা~কবিতায় অভিজিৎ দাসকর্মকার

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || কবিতায় অভিজিৎ দাসকর্মকার


রাস্কেল রোডগুলো ফুটপাত ধোরে 


কানাই ধর বাবুর রাস্তা দিয়ে,অথবা
পাশবালিশের অফসেট গ্রাফিক্সে
যারা কাজগুলো করছে তাদের হৃদশূন্যে
মিস্টার টরিসেলির ভিত্তি-প্রচ্ছদ এবং
অক্ষরবিন্যাসে অনভিপ্রেত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, তবুও

অ্যাকোরিয়ামের মধ্যে ব্রিটনির নুমাইন্দগী,আর
ঋতুমতি ছন্দের হুকুমত্;এদিকে আমার

বেসামাল দেহতত্ত্বে ধনাত্মক ক্যাটালিস্ট বিপদজনক
ভান নিয়ে সমীকরণ করছে,তবুও কোথাও যেনো
একটা মুন্সিয়ানা,রাস্কেল রোডগুলোর ফুটপাত ধোরে
হাঁটছে,অথচ

গোড়ালিতে ফাটা ফাটা চেনা মফস্ সলের মানচিত্র 
কখনো দরিন্দগী,আবার
কখনো ন্যাগিং করছে

আমিও চুমুর অগোচরে টোলট্যাক্স পেরিয়ে
বালুরেণু সরাতে সরাতে এখন মাঝরাতের সিগনালে,এবার
দেহ তার ডাউটফুল ঘাম ব্যাপন পদ্ধতিতে
জাস্ট রুটক্যানেল পার করেছে,আর

মহিলা কবিতারা নাভিকে সাইডকোরে লাবণ্য রেখেছে
কাঁধের হ্যালানে আর
হুইস্পার করছে শব্দ, বাব্বা

কী দাপট...




বাথরুম আর নির্মম যৌনতার মধ্যে


আমরা বৈরাগী বিজ্ঞাপন নিয়ে
ঠিক টেবিলের সামনে চড়াও হচ্ছি,অথচ

দেখি না,বাবার ভ্রূ কেমন মিয়িয়ে গ্যাছে
কপালের সাথে

তখন সবে সন্ধে লাভ করেছে কোয়ার্টজ ঘড়িটি
৭ঃ১৫ মিনিট আর কিছু 
ন্যাকাপোনা
কাঠিপোনা নিয়ে শরীর-স্প্রে করে

ঢক্-এর দোকানে প্লুরালি দাঁড়াই

আয়নায় নিজেকে ঝুরঝুর করে ভাঙতে দেখি
গণিত
জল
অর্থনীতি,আর 
বাবার ক্লান্তি নিয়ে হাসে খবরেরকাগজের ঢ্যামনা
শব্দগুলো,শুধু বশীকরণ 
১০০ %গ্যারান্টি, আর বোল্ড অ্যাড
তরতাজা হরফে, তাতে কী

তবুও পতঝড় পাতা দেখি কবিতা হয়ে শুয়ে,ওগুলো
আমার বাবা আর তাকে বিদ্রূপ করা 
সরীসৃপের নিঃশ্বাস 

আমি পিছল খাই না
টাল খাই না,যত্ন করে

বাথরুম আর নির্মম যৌনতার মধ্যে শাওয়ার চালিয়ে
কান্না খাই,আর সুপ্রাচীন ত্বকে
কমা,ফুলস্টপ, সেমিকোলনের সামনে রুখে দাঁড়াই...





শারদীয় সংখ্যা~কবিতায় রুবি রায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || কবিতায় রুবি রায় 


হ্যাংলা

জানলার ধারে মজনু দাঁড়িয়ে থাকে 
      চাপা হাসি দেয়। তার দরুন উড়ে যায় 
মিষ্টি খুশবু ।

আমি কাজ করতে থাকি । ওর এলাস্টিক নজর আমায় মাপে --
     জীবনের শুকনো সঙ্গমে ডুব দিয়ে 
      তুলে আনি বহুভুজি গল্প 

  আমি ভার্সেস সুখটান 
   জ্বলন> মজনু 
আমার মালিকের সন্নিহিত কোণ সন্ধ্যাতারার মালায় সেজে অভিনন্দন গুছোয় 
      তার সৌন্দর্য বয়ে নিয়ে আসে সারা পঞ্জিকা জুড়ে রেশমি বিকেল 

মাঝে অসম ঘনবস্তু এই মধ্যমগ্রাম নিবাসী ।
গর্ভবতী সকালে প্রেমের তর্পন করে 

দর্শনে ক্যাপিটাল ভাবাবেগের হ্যাংলামো হাতনাড়া 
            26A
            1490 নাম্বার প্লেটে যায় এক টুকরো
গার্হস্থ্য ।

                        

সপ্তর্ষিমন্ডল 

ডকুমেন্ট সংগ্রহ করি --
যখন সব আলো মুছে হৈমন্তিক ঝাড়বাতি জ্বলে ওঠে 
বুঝতে পারি প্রিয়া,তোমার সুন্দর গলা থেকে ধীর পথে অনেক গভীরে চলে যেত মূলধন সমেত এক অগ্নিকুন্ড 

রাতজালের ভীতর দুটো মাছ....
তখনও নোট বদল হয়নি । খড়ের গাদায় তোমরা প্রথম আবিস্কার করলে ওড়নাহীন সোহাগ 

নিত্য নতুন ভাবে কুমারীর খোলস পড়ল বলিষ্ঠ টি-শার্টে । সুবচনী ব্রতের উত্তরীয়তে লেখা হল তোমার নতুন ঠিকানা 

তখন আমি নিমিত্ত কারকে সম্পাদ্যের কাটায় , অথচ আজ সপ্তর্ষিমন্ডল হাতে তোমার ঝালর দেওয়া আয়নার সামনে 

 খুব ইচ্ছা হয় একটা চিচিংফাক রাত আমার হোক সাবস্টিটিউড অন্ধকারকে বাদ দিয়ে 
ওগো আমার সোনালী প্রিয়া ,
        আমি দেখছি ফ্যাকাশে অ্যাসিডিক লাশ স্বামীর নাম মুখে নেয় না ।