Friday, August 6, 2021

আমন্ত্রিত সংখ্যা≈অলোক বিশ্বাস

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||








অলোক বিশ্বাস


মাছের বাজার 

বোতল ব্রহ্ম+মাইথোলজি+দূরে দুই মাসি+
ঝুড়িতে ঝুড়িতে বরফাচ্ছাদিত পাখি+
কাঁদতে কাঁদতে প্রজ্বলিত হয়ে ওঠা হাসি+
উলংগ পাগল সর্বপল্লি তাহারও আঁখি+
সংবাদপত্র টেনে গন্ধলিপ্ত রেকটাম ঘষছে×
পাশের গলিতে দরাদরি চলছে স্তন-যোনি+
কয়েকটি লিঙ্গের অস্ত্র সন্ত্রাসে ভাসছে 
মাইকে গাঁকগাঁক কোরে ওঠে শাস্ত্রীয় ধ্বনি+
অন্যদিকে ভগবানের পিন্ডি চটকাচ্ছে 
দুর্বিনীত ডাস্টবিন×দুর্বিনীত জুয়াখেলা×
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা×মন ভ্যাটকাচ্ছে
প্রতীকী মৃত্যু মিকগ্যাস+উল্টেচলা ঠ্যালা+
দম্পতি হেঁটে যাচ্ছে তুলে কোরোনার কাশি
পুনরায় ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় এলো নাকি×
সবুজ ডিম্বাণু শুক্রাণু বাজারিত হচ্ছে বাসি
বুদ্ধিবাজ ডাকে, শবগুলো পতাকায় ঢাকি×


সবজি বাজার 

***দেখছি***শুনছি***লিখছি***আঁকছি
বাঁকানো পথে উল্টেছে আকাশ(হিহিহিহি)::
প্রিয় পুঁইলতা...প্রিয় খারকোল...হে প্রিয়***
????কোথায় অরহর পাতা, সজনে ফুল!!!
মিহিমিহি কোরে নারকোল শাঁস ছাঁচছি@@
আদা+কাচকলা উচ্ছে পটল বেগুনের গান
***না, কোনো সমস্যা নেই, তাহলে বা কেন
ডাকবে পুলিশ??? হে মাতব্বর হে প্রেতাত্মা,
কার সত্তার সত্য ব্যাপারে একথা, কুমড়োর
চাপে, কাঁঠালের চাপে অন্যান্য সবজি দ***
একপাল কুকুর হিসিগু কোরে বেড়াচ্ছে***
যথাযথ মাসি সবজিকে বলছে জিও জিও।
জমাদার সেও হিস্যা থেকে বাদ যাবে কেন।
মূলো+গাজর+বিট ব্যাগভর্তি নিলো দামড়া
কামরাঙা গল্প করছে:: আলুতে রিরিরিরি::
সাবধানে টানো বস্তা, খিস্তিও লিখে রাখছি

ফুলের বাজার 

গণেশায় নমঃ নামে ফুলেদের ট্রে সাজানো 
(রলাঁ বার্থের নাম লেখা) মনন পাপড়িতে !!
এডওয়ার্ড সাঈদ  ফুলের যে তোড়া বিক্রি
করছেন, ক্রেতারা সন্দেহ করছে তাকিয়ে?
***প্রান্তিক ফুলচাষী,  নাম সাবঅলটার্ন***
গঙ্গার দিব্যতা তার গায়ে কেন লাগছে না ?
+ঘুগনি বিক্রেতার সঙ্গে ফুলচাষীর বন্ধুত্ব+
++কিছু ক্রেতা যারা মুখ্যমন্ত্রীর পটানো++
তারা বলছে রলাঁ বার্থ, এডওয়ার্ড সাঈদ
চলে গেলে বিক্রিতে ঝড় উঠবে এমনিতে=
__তাঁদের কথা কেউ বুঝছে না জাঁকিয়ে__
এটাতো হবার নয়, কোথাও অঙ্কে ভুল হচ্ছে
বিক্রেতারা আরো কাউকে ডেকে দ্যাখাচ্ছে
+গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক এবং হোমি কে.
ভাবা আছেন তাঁহাদের ভিতরে... জমেছে
পোস্ট-স্ট্রাকচারালিজম, ফুলেরা চমকালো


আমন্ত্রিত সংখ্যা≈রণজিৎ পাণ্ডে

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||







রণজিৎ পাণ্ডে 


ইশারা

সারা শরীরে ব্যথা জড়িয়ে পড়ে রয়েছি

পেটে তরল পদার্থ বেশি পড়লে
        হালকা নীল রঙটা আমার বেশ ভালো  লাগে

কিন্তু আজ বাঁচার দিশা খুঁজতে গিয়ে
কান কাটা মন্ত্রীর জন্ম তারিখটা উজ্জ্বল হচ্ছে মগজে
এবং সেন্টিমেন্টকে  বন্ধক রাখলে
আদর্শ মনে হচ্ছে  কাটা হাত খগেনের হাত

উল্টো দিকে সংস্কৃতির ভাঙা কার্নিসে মশলা লাগানোর জন্যও কাউকে খুঁজে চলেছি

আর এক প্যাক মারতেই
নীল রঙের পাখিটা আমার  বিছানায় এসে বসল

  এবার আমি নিজের শরীর নিয়ে কী করব যখন বুঝে উঠতে পারছি না
   দেখলাম -
ধুসর আকাশের দিকে উঁচিয়ে থাকা একটি গাছ
      ইশারায় মাথা নাড়ছে অবিরত


লাগাম

প্রতিটি মুহূর্তের জন্যই সজাগ রয়েছি
         তবুও স্রোতের বিরুদ্ধে চলা বেশ কঠিন

ভালভাবে লক্ষ্য করছি যে-
        যারা যারা মানের গোড়ায় ছাই ফেলেছে
                                     তারাই গেনার

তাতে অদ্ভুত একটি স্বপ্ন আমাকেও তাড়া করছে
যেখানে পায়া কাঁপানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি

যতক্ষণ না অন্য কেউ তার পায়ের জুতোটা খুলে নিচ্ছে
আপনি একটি সিঁড়িও অতিক্রম করতে পারবেন না
                                            
  আর  যে লাগাম ধরে ছুটে চলেছন
বাঁচার জন্য সেটারও  কোনো প্রয়োজন নেই


বেদখল

আমার যতটা বিশ্বাস ছিল
      তার চেয়ে আরও অধিক চাইছিলাম তোমাকে

মাথার মধ্যে যে প্রশ্নটি কামড়াচ্ছিল
                     তার দাগ খুঁজছিলাম  স্তরে স্তরে
রাজনীতি কথাটির অর্থ রাজার নীতি নাকি নীতির রাজা
      খুঁজতে খুঁজতে দেখলাম
ঔষধ এবং  চিকিৎসাশাস্ত্র বেশ উন্নত হচ্ছে
ফলে আগুনে আগুনে ধ্বংসস্তূপ আর ধ্বংসস্তূপ

বিক্ষোভে জ্বলছে ঘর -বাড়ি - ট্রেন-বাস
    বেদখল হচ্ছে নিরাপদের জায়গা
                 একি ধর্মের লড়াই নাকি গণতন্ত্রের?

দরকারি জিনিসগুলো হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ

আমি ম্যাজিক চশমায় উৎকৃষ্ট যা কিছু নিজের দেখছিলাম
   তাই লুঠেরাদের কোনো জাতপাত খুঁজতে চাইনি

তবুও ভেতরের দরজাগুলো  আটকে যাচ্ছে বার বার
কারণ
          ধ্বংস কখনও আন্দোলন হতে পারে না


আমন্ত্রিত সংখ্যা≈নীলাব্জ চক্রবর্তী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||









নীলাব্জ চক্রবর্তী


একটা উন্মুখ দৃশ্য 



বালিশ পুড়িয়ে ফেলছে

দূর

কিছু বুদ্বুদবিনিময়

রঙ হয়ে

পেনিট্রেট করছে ফলতঃ

ঊরু ও মসৃণতায় বিদ্ধ হতে হতে

এইভাবে

ভাষা ফেলে চলে গেছে কেউ

স্পাইরাল

একটা উন্মুখ দৃশ্য

রসস্থ

রুটিগাছের ভেতর ভেতর

একটা সকাল

দুপুরের বর্ণনা অবধি হেঁটে যাচ্ছে...

সম্পর্ক

 

সম্পর্ক একটা রঙ

খুলে ফেলছে

যেভাবে কাগজ ঘষতে ঘষতে

আঙুলছাপ নগ্ন কবিতায়

গড়িয়ে

অনুরক্ত একেকটা শ্লোক

মুখ ফসকে

কার গাছজন্ম অবধি

বদলে

কার

ভাঙা সূচীপত্রের চামড়ায়

পরপর

বোতাম বসছে

একটা সহজ স্বপ্নের ভেতর

আলগা করা

মিষ্টি মিষ্টি গান ভালবাসছে ওইখানে...


ফ্রি-ফ্লোয়িং লজিক


বাফার ও সমঝোতা জানে

কাট বলতে বলতে

এই ধ্বনি

এই ঠোঁটের পাখি জিভের পাখি

অর্থাৎ

একটা ফ্রি-ফ্লোয়িং লজিক

কেমন

স্পেস খোঁজে

ভালবাসে ফ্রেম অফ রেফারেন্স

মাথার ভেতরে

কার জ্যান্ত উচ্চারণ

হাত থেকে

একটার পর একটা নিবিষ্ট ছায়া ফেলে দেয়

যে ভাষাটায়

রোলব্যাক করা

আলো

ভাঁজ খুলে নীল পড়ে থাকে...






আমন্ত্রিত সংখ্যা≈সুকান্ত ঘোষাল

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||









সুকান্ত ঘোষাল


আমি-বিন্দু , আপনি-বিন্দু

ধরা যাক A-বিন্দু = আমি , আর B-বিন্দু = আপনি।
A-বিন্দু আর B-বিন্দু পরস্পর যোগ করে একটা সরলরেখার সাহায্যে C-বিন্দু পর্যন্ত বর্ধিত করা হল।
এরপর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একটানা বিরামহীন বৃষ্টির মধ্যে - যেন বর্ষাকাল ; অথচ ঘটনাচক্রে বর্ষাকাল নয় , আমরা দুজন C-বিন্দুর দিকে যাত্রা করলাম। এটা দেখার জন্য যে দুর্যোগ অতিক্রম করে কে আগে সেখানে পৌঁছোতে পারি।
হাঁসের খামারে জল ছেটানোর লোকটা তখনই বলল , ' জানতাম, সমস্ত বিন্দুগুলো যোগ করা হয়ে গেলে প্রতিযোগিতা ছাড়া আপনারা এক মূহূর্তও আলাদা কিছু ভাবতে পারবেন না। '


ইঁদুর

' উফ্ , আলো কী সাংঘাতিক ! ' দেওয়ালের ফুটো দিয়ে সরলরেখায় রোদ ঢুকছে দেখে ইঁদুরটা বলল ,
ও পুরোনো জুতোর বাক্সের পিছনে নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে ঢুকে গেল। এখন ধরা যাক ইঁদুরের প্রথম স্থানটি P-বিন্দু আর পরবর্তী স্থানটি Q-বিন্দু এবং উভয়ের যোগফল একটি বক্ররেখা। ওই বক্ররেখা ধরে হাঁটতে থাকলে বোঝা যাবে অন্ধকার আসলে পুরোপুরি সোজা আর রাস্তাটাকেও কখনও কখনও নিজের উপরে পা ফেলে হাঁটতে দিতে হয়।


R-বিন্দু , S-বিন্দু

একটা বাক্যকে যতদূর সম্ভব প্রসারিত করতে গেলে  একজোড়া হাত  তৃতীয় একটি হাতকে সযত্নে রাস্তা পাড় করে দেয়  আর  একটা মারাত্মক ভাঙা দরজার পিছনে আমি আত্মগোপন করার চেষ্টা করি   বাক্যটির মাথা এবং লেজ যথাক্রমে    R-বিন্দু এবং S-বিন্দু হিসাবে একটি সরল বা বক্ররেখার দ্বারা যুক্ত থাকে  তখন রেখাটি মুছে দিয়ে আমি বিন্দু দুটি   আলাদা করে দিই কারণ    R-বিন্দু = আমি   ও   S-বিন্দু = ভাঙা দরজা  হলে উভয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক কখনও নির্দিষ্ট করে সরল বা বক্র হয় না।



Tuesday, August 3, 2021

বিশেষ সংখ্যা~পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||           

মহান গায়ক মুহম্মদ রফি সাহেব সম্পর্কিত এক অজানা তথ্য....
পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়



একবার এই উপমহাদেশের মহান গায়ক মুহম্মদ রফি সাহেব মৌলবিদের কথায় এমন এক সময় গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন যখন তিনি খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছিলেন।  
  1971 সালের ঘটনা,যখন রফি সাহেব ও তাঁর মা হজ করে দেশে ফিরে আসেন। মৌলবিরা বলেন "হাজী হওয়ার পর গান গাওয়া চলে না।  নাচ,গান ইসলাম ধর্ম মঞ্জুর করে না। এখন আর আপনার গান গাওয়া উচিত নয় "। তারপর রফি সাহেব ফিল্মে গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন তিনি আর গান করেননি। 
   বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক নৌশাদ সাহেব ও আরো কিছু ব্যক্তির কথায় রফি সাহেব আবার গাওয়া  শুরু করেন। নৌশাদ সাহেব বলেন "তুমি সততার সঙ্গে পেশা করছো,কারো মনে কষ্ট দিচ্ছো না। এটাও একটা উপাসনা। অনেক হলো,তুমি আবার গাওয়া শুরু করো"। 
   রফি সাহেবের পরিবারে রোজগারের আর কোনো মাধ্যম ছিলো না।  যাইহোক,ঈশ্বরের অপার করুণা,উপমহাদেশের এই মহান গায়ক শীঘ্রই উপলব্ধি করেন ফিল্মে গান গাওয়া কোনো অপরাধ বা পাপ নয়। 
   রফি সাহেব সহজ,সরল মনের ও অতি ভদ্র মানুষ ছিলেন। মৌলবিদের কথায় হঠাৎ গান গাওয়া ছেড়ে দেওয়ায় চলচ্চিত্র জগতে হৈচৈ পড়ে যায়। ভারতীয় ফিল্ম সঙ্গীত জগতে এতো বড় ঘটনা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।  যদিও কিছু লোক এটাকে গুজব বলেছিলেন,'কেউ কেউ বলেন "না এধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। "
কিন্তু রফি সাহেবের পুত্র শাহিদ রফি সাহেব এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। 

   মুহম্মদ রফি সাহেবের জন্ম...1924 সালে 24শে ডিসেম্বর।  পাকিস্তানের কোটলা সুলতান সিং এ। 
মৃত্যু.....1980সালে 31শে জুলাই।  মুম্বাই।