Sunday, November 15, 2020

| নভেলেট | ডারউইনের চিঠি |

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
| নভেলেট |
অরিজিৎ চক্রবর্তী



ডারউইনের চিঠি ( একাদশ পর্ব )

ছায়াছবি। এখানে সব হিসেবের মাপকাঠি হল সেকেন্ডে ২৪ ফ্রেম, এখানে দিন মাস বর্ষ অতিক্রান্ত হয় কালের অমোঘ বিধানে নয়, চিত্রসম্পাদকের বিধান অনুযায়ী ছোট একটি ডিজলভ্ বা ওয়াইপ এর মাধ্যমে। এখানে সবচেয়ে বড় বাহাদুরি হল শিল্পীর রং-তুলির সাহায্য না নিয়েই শুধু ছায়ার মায়া সৃষ্টি করে দুই আয়তনের আয়তক্ষেত্রে তিন আয়তনের বিভ্রম জাগানো। অর্থাৎ প্রকাশ ভঙ্গি মৌলিক এবং আঙ্গিক রীতি পদ্ধতি জটিল।এর কাহিনী বিশেষ সংখ্যক পরিচ্ছেদ বা দৃশ্যে বিভক্ত হয় না। এর কাহিনী গড়ে ওঠে পাঁচশো থেকে হাজার দেড় হাজার দৃশ্যাংশ বা শট্ নিয়ে। কিন্তু আমাদের জীবন! পরিকল্পনাহীন একটি মরীচিকাময় বাস্তব।

সম্মোহ কেমন আছে কিংবা কেমন থাকতে ভালবাসে সেটা কি আদেও তার পরিকল্পনার রূপায়ণ? এই প্রশ্নের হ্যাঁ কিংবা না উত্তর হওয়াটা দৃষ্টিকোণ থেকে কাহিনীর আলোকচেতন ফিল্মে ধরে রাখার মতন সীমাবদ্ধ নয়। বরং বলা ভালো, কাহিনীর যে জগৎ সে তো ঘটনার সমাবেশ মাত্র নয়, তারও আছে পরিবেশ! সে পরিবেশে নতুন সূর্যের অম্লান হাসিটি প্রতি গৃহকোণ নতুন আলোয়, নতুন আশায় ভরে তোলে, যেখানে গোধূলির ম্লান আভাসে পুঁইমাচা ঘেরা তুলসীতলায় মাটির প্রদীপটি রেখে পল্লীবধূ দেবতার কাছে আকুতি জানায় রুগ্ন স্বামীর হয়ে--- কেঁপে ওঠা প্রদীপের ম্লান আলো তার ভিজে চোখের পাতায় চিকচিক করে। এখানে ঘটনা গৌণ, পরিবেশ মুখ্য।

আর দর্শক! সম্মোহকে নিয়ে সারাদিন গসিপ করা আর্ত চুতিয়া লোকজন! হঠাৎ লোকটা কলকাতা ছেড়ে এখানে কেন? মাওবাদী লয় তো! কিছু একটা রহস্য বটে!

---" বাবু তোমাকে লিয়ে বলছিল!" লালুকাকা বলল।

----" বলুক! কতলোক কত কথাই বলে! তোমার কি কোন প্রশ্ন আছে আমার কাছে?"

----" নাগো! আমার ওসবে সঙ্ নেই। আমি বলেছি, যা বাবুকে গিয়ে বল। আমাকে বলছু কেনে! ও কে জানু! কত বড়বড় লোকের সঙ্গে উঠাবসা! ছবি আঁকে।আটিস্ট বটে!"

পরিবেশ সৃষ্টিতেই কাহিনীর অভিনবত্ব! সম্মোহ এখন তাই পরিবেশ সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দিয়েছে! সিগারেট ছেড়ে এখন হুকো খায়। শীতে নিজেই বাড়িতে ওয়াইন বানায়। আর জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে কাটুমকুটুম খোঁজার নেশা। মৃত একটা গাছের ডালকে দেখে কি কখনও মনে হয়েছে, সেটা আসলে একটা হরিণ? অথবা অন্য কোনো জন্তু! অনেকেই হয়তো মন দিয়ে সেভাবে খেয়াল করি না। কিন্তু অবনঠাকুর আমাদের এভাবেই দেখতে শিখিয়েছিলেন। এমনকি বাকি অংশ কেটে-ছেঁটে যখন তাকে হাজির করা হয়, তখন আর কারোরই বুঝতে বাকি থাকে না। এমন ধরনের শিল্পের একটা নামও দিয়েছিলেন তিনি। ‘কাটুম-কুটুম’।

সম্মোহের এই কাটুমকুটুমের নেশা। আমাদের জীবনটাও একটা কাটুমকুটুম। চেনা মানুষ অচেনা লাগে! তার আচরণ স্তম্ভিত করে দেয়! আবার অচেনা মানুষ কতদিনের চেনা। মানুষের ভেতরে যেন ঈশ্বর আর শয়তান একই সঙ্গে হেঁটে বেড়ায়। সেবার জঙ্গলের মাঝখানে রাতের বেলায় বাইক খারাপ হয়ে গেল! সম্মোহ কিছুতেই স্টার্ট দিয়ে চালু করতে পারছে না। এমন সময় বিশুমাতাল টলতে টলতে বাড়ি ফিরছিল। সম্মোহকে দেখেই দাঁড়িয়ে পড়ল।

---" বাবু গো, এখন এই অন্ধকারে ঠিক হবেনি। দাও দিকি! আমি ঠেলে দিয়ে যাচ্ছি।"

---" তুই পারবি! এত ভারী গাড়ি ঠেলে লিয়ে যেতে!"

---" খুব পারবো! চিন্তা করোনি। তুমি আমার সাইকেলটি চালিয়ে ঘর যাও!"

সম্মোহ দেখল, বিশু মাতাল এক অলৌকিক শক্তির ক্ষমতায় গাড়িটাকে ঠেলে ঠেলে মাথায় মায়াবী চাঁদকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছে! আর সম্মোহ বিশুর সাইকেলে তখন ধীরে ধীরে ফেডআউট হয়ে যাচ্ছে।

Friday, November 13, 2020

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ অভিজিৎ দাসকর্মকার

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
দীপান্বিতা সংখ্যা
সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন-এর বিশেষ আকর্ষণ  দীপান্বিতায় "সম্পাদক সংখ্যা "। সকলে পড়ুন। মতামত দিন। 
সঙ্গে থাকুন। পড়তে থাকুন।



সম্পাদকীয় নয় কিন্তু ___  
অভিজিৎ দাসকর্মকার


আমাদের ১টি স্বরাজ প্রবৃত্তি আছে,নিজেকে প্রথম বলে প্রতিষ্ঠা করতে পারার। আমি বাপু এতো বুঝি না।কিছু নতুনত্ব কে নবনাইজড্ ভাবে প্রকাশ করার ইচ্ছে আর তার সাথে চাহিদা স্পার্কলিং করে।তার সাথে সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনের পাঠকদের ভালোবাসা,এবং আমার প্রিয়জনদের মতামত, তাই হয়তো মসৃণভাবে করে ফেলতে পারা সম্ভব হয় বিভিন্ন সংখ্যাগুলো।

যেমন,
✪ ৩৩জন বাংলাদেশের  কবি নিয়ে বাংলাদেশ সংখ্যা করলাম।
✪ শারদীয় সংখ্যা করলাম ৪টি, সারা অক্টোবর মাস জুড়ে।
✪ ছক্কা ফর্ম কবিতার বিশেষ সংখ্যা করলাম ১৩জন কবি নিয়ে।

আবার আজকের দীপান্বিতা সংখ্যা প্রকাশ করলাম শুধুমাত্র অনলাইন /ওয়েবজিন পত্রিকার সম্পাদকদের লেখা নিয়ে।অনেকে সাড়া দিতে পারলেন না।তবুও অনেকেই সাড়া দিয়েছেন।যারা পেরে উঠলেন না তাঁরাও সকলে ভালোবাসা নেবেন, যাঁরা সাড়া দিয়েছেন তাদেরও ভালোবাসা রইল।

কেনো করছি?__
আসলে নিজেকে,নিজের লেখাকে সবসময় ভাঙতে চাই,বিবর্তন অভিযোজনের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাই প্রয়াস করে চলেছি।তাহলে নিজের প্রকাশনায় আগের নতুনকে এখনকার নতুন দিয়ে ভাঙবো না! বিবর্তিত করবো না!

আমি শুধু সম্পাদনার কাজ করি।সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন সকলের প্রয়াস।তাই সকলে যারা লেখেন, লিখেছেন এবং লিখবেন বলে ভাবছেন তাদের সকলকে এবং আমার পত্রিকার সকল পাঠকদের শুভ দীপাবলির আগাম শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানালাম।

ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। 


 


✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ কাজল সেন

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||       
দীপান্বিতা সংখ্যা


 










সম্পাদক~ কাজল সেন-এর কবিতা

কালিমাটি অনলাইন-পত্রিকা,(প্রতি মাসে প্রকাশিত হয়)

মুখ ও মুখোশ

যখন আমার মাত্র তিন বছর বয়স

আমি এঁকেছিলাম একটা গাছের ছবি

আর যখন বয়স ছয়

একটা জঙ্গলের ছবি এঁকেছিলাম

আরও ছ’বছর পর যখন আমার বয়স বারো

আমার ড্রইংখাতায় একে একে উঁকি মারতে

শুরু করেছিল কিছু মুখ

অপরিচিত মুখ

তারপর সেই মুখগুলো যখন হলো মুখর

ফুটে উঠল তাদের গৃহস্থালি ঘর

আমি অবাক হলাম

মনে হলো এসবই তো আমার চেনাজানা

বহুদিনের বহুযুগের চেনাজানা

আমার ড্রইংখাতায় তারপর শুধুই মানুষের মুখ

অথচ বুঝতেই পারিনি এভাবে মুখ আঁকতে আঁকতে

কখন যে সরে এসেছি মুখ থেকে মুখোশে

এখন আমি শুধু মুখোশই আঁকি

মুখ ঢাকা পড়েছে আজ মুখোশের আড়ালে


✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ তাপসকিরণ রায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||         
দীপান্বিতা সংখ্যা













সম্পাদক~ তাপসকিরণ রায়ের কবিতা

স্বরধ্বনি ব্লগ ম্যাগাজিন

তালা 

 

পরিপাটি ভেঙে যেতে যেতে  

কত না আয়োজন

তোমাকেই নিতে হয় বারবার

তার উদ্দন্ড তালার চাবিতে রাখা আছে গুপ্তস্থান

অযথা ফসলের ঘাস জন্মায়

পতিত জমি চাষের একটি কৃষক

তার নাঙল ফালায় ধরেছিল বৈধতা

সে জমির ফসল আগলাতে আগলাতে

রাত ভোর হয়ে যেত

এখন আর কোনও লেনদেন নেই

খোলা মাচান পেতে তুমি ঘুমিয়ে থাকো  


আঁচ 

 

ভিটামিন ডি’র উৎস তোমার যে যে স্থানে লাগে না

রোদ্দুরের বড় প্রয়োজন

দেহকে পোশাকের মতো টাঙিয়ে রাখতে গিয়ে

একটা ছাদ উঁকি মারে।

তোমার ব্রা-প্যান্টি উড়ে গেল বাতাসে

একজন সে জানে না কে তুমি !

তবু তার ঘ্রাণে তুমি ছিলে--

সে পুরুষ একটি নারীর আঁচ জেনে নেয়।

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ সৌমিত্র রায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  
দীপান্বিতা সংখ্যা














সম্পাদক ~সৌমিত্র রায়-এর কবিতা
দৈনিক বাংলা ব্লগজিন।

এক টুকরো সকাল

এই শহর ; অনেকের না জাগা সকাল ; তবুও সকালের ইতস্তত ঠাণ্ডা হাওয়ায় উষ্ণতার আনন্দ বিলোচ্ছে সূর্য ; ফেরিওয়ালা হাঁকছে~ সব্জী লাগবে... সব্জী... ?

এই যে হাঁকডাক ৷ শোনা ৷ কোনটা কতটা রাসায়নিক আর কতটাই বা অর্গানিক ! হে জীবনের রসায়ন~

আজ আর বেশী কিছু বেজে উঠছে না আমার কবিতায় !