Friday, November 13, 2020

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ অমিত চক্রবর্তী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  
দীপান্বিতা সংখ্যা













সম্পাদক~ অমিত চক্রবর্তী-এর কবিতা

অভিব্যক্তি অনলাইন-পত্রিকা,(প্রতি মাসে প্রকাশিত হয়)


আবদার


ধর, তোমার সঙ্গে আমার খুব দূরে দূরের প্রেম

আর আমি হঠাৎ চোখ বুজে বললাম

শ্যামলিমা, বড্ড গরম এখানে,

পাঠাও না তোমার দেশের সেই শীতল জলের কণা

একটি অবনতা মেঘের ভারে, আর ঘন মল্লারের আড়ম্বরে ।

 

আর অমনি চোখ খুলতেই

অনুপম এক স্ফটিক বিন্দু ভেসে এলো ক্ষণে ক্ষণে,

প্রতিসর তার তনুতে তনুতে,

রামধনু রঙ বেয়াল্লিশের কোণে ।

 

আবার ধর, তোমার সঙ্গে আমার খুব কাছে থেকে প্রেম

আর আমি হঠাৎ চোখ বুজে বললাম

আদরিমা, বড্ড সংশয় এখানে,

ছোঁয়াও না তোমার নভের সেই শান্ত জাদুর স্পর্শ

ভোর রজনীর মৌনপারে আর রাতজাগা সুরে মালকৌশে ।

 

আর অমনি চোখ খুলতেই

অনুভব এক ফুল্ল, দীপ্ত ভেসে এল ফের মনে

সংহত সেই তনুতে তনুতে

অভয় অনির্বাণ, রোমাঞ্চ ক্ষণে ক্ষণে ।

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ বিশ্বজিৎ দাস

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||            
দীপান্বিতা সংখ্যা













সম্পাদক~বিশ্বজিৎ দাসের কবিতা 

ছায়ারোদ ব্লগজিন,একটি প্রতি মাসের প্রয়াস 


আয়নার দিকে

আঙুলের দেওয়াল বেয়ে ওঠা
                  ছায়ায় খেলে হাত

খুনের খণ্ডিত ছাপ, অনুরাগে
উঠেছে লজ্জিত
                      ঢেউ

বাতাসের ভিতরে জেগেছে আরও
দু'একটি অতীত ঢাকা ব্যক্তিগত ঘুম

           অসাড় হয়েছে আজ
      তাহাদের সমস্ত জিভের

বাকি কথাগুলো। কে যেন শুনিয়ে দিচ্ছে
পালকের প্রেম ঝরে পড়ে,
                            ফ্যাকাসে পা

ঝুলে থাকা এই শেষ অভিনন্দনের
কাছে রেখে দেয়, জ্যোৎস্নার মাদকতা

অতপর ছেলেটি, 
চলে যায় আয়নার পূর্ব দিকে...

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ শ্যামশ্রী রায় কর্মকার

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||    
দীপান্বিতা সংখ্যা














সম্পাদক ~ শ্যামশ্রী রায় কর্মকার-এর কবিতা
'সাহিত্য এখন' ব্লগজিন। ত্রৈমাসিক পত্রিকা।

ছায়া-রেলিং এর পার্ক

একটি দীর্ঘ বেঞ্চ কিনে রাখব, বেদুইন  রঙ
ঘাসে ফুল ফুটে থাকবে, প্রসারপিনার চুল যেন 
দু'একটা পাখি উড়বে, দু'একটা ধানে মুখ দিয়ে 
অলস গল্প করবে,  টুইহুট টুহুইট টুহু
একটু দূরের জলে প্রবাল পায়ের রাজহাঁস 
মাঝির অনাদি নৌকা ভেসে যাবে সমান্তরালে  
পবিত্র শ্লোকের চলচিত্র দেখে যক্ষিণী মেঘেরা
সমুদ্র মনে করে ডুব দিতে যাবে আশরীর
এহেন কুঞ্জবনে তুঁহুঁ রবে বেজে ওঠে  বাঁশি 
গুপ্তপ্রণয়বর্ণ কমনীয় এসব বিকেলে 
একটি জাদু কলম, খাতা আর অঢেল সময় 
এই তো অপার্থিব, এর বেশি কী চাইব বল
ওপারজীবন থেকে এইভাবে পৃথিবীকে দেখা  
তুমি ভাববে বাড়াবাড়ি, আমি ভাবব আহা! স্মৃতিটুকু

✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ বঙ্গ রাখাল

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||     
দীপান্বিতা সংখ্যা














সম্পাদক ~ বঙ্গ রাখাল-এর অণুগল্প 
দৃষ্টান্ত ব্লগজিন

কপাল পোড়া ছন্যছাড়া

মাথার মধ্যে গুমট অন্ধকার দলা পাকিয়ে বসে আছে। নিজেকে নিয়ে কয়েকদিন বড়বেশি ভয় হচ্ছে। না জানি কবে না কবে চোখের জানালা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। প্রশ্বাসের সাথে একদিন জড়িয়ে ছিল মায়ের আদর মাখা শরীরী ঘ্রাণ আর আজ অন্য নারীর। আমার কাছে নিজেকে এক নোংরা পুরুষ মনে হয়। বাঁচার নেশায় যে আমি একদিন গ্রাম থেকে পালিয়ে বেঁচে ছিলাম। অজানা এক শংকা এখনও আমার পিছু পিছু দৌড়াই। সেদিন খুলির ভিতরে রেখে পান করেছি তোমার মস্তক-স্মৃতির মাদুরে রেখেছি অক্ষরহীন কিছু মানুষের চোখ মুখ নাক। নিপুণ হাতে রেখেছি তোমার হাতের চিঠি আর আসল মানুষের বুকপকেটের হৃৎপিণ্ড। নদীর জোয়ারের জলে তিক্ততার নুন। তবুও আমি আমরা ঢেকে রাখি পাহাড় সমান আবাদী জমির ক্ষেত। বাবার কাছে বুকের শস্যে দাঁত মেলে হাসে অবসাদের আরাধনার বুড়ি। এখন আমাদের ঘাড় কাত জীবনের হয়তো বা কিছুটা অবসান হতে পারে। কেননা বাবার হাতে জন্মেছে কাঁকড়া বিলের শতশত মাছ। নিঃসঙ্গতা কাকে বলে তুমি কি জানতে-ওহে বিরহীনি?কত কাল তোমাদের বাড়ির দিকে আমার পা পড়েনি, ঝাউয়ের বুকের কাছে লুকিয়ে দয়াল বাবা কলা খাবে গানটি গেয়ে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছি নিঠুর দরদীয়াকে। কামান্নার এক ঝাঁক তাগড়া জোওয়ানের ছবি সেদিন বুবে চেপে মা-বেড়াচ্ছে বয়ে অনেক অনেকটা বছর- কি জবাব দেবেন মহামান্য সম্প্রদায়। শপথ নিয়ে ছিলাম বাঁচব এবং বাঁচাব বলেই সেই কথা আর আজ রাখতে পারলাম কই? ভয়ঙ্কর এক বেদনার চপেটাঘাত আমাকে দিনকে দিন একজন প্রতিবাদি মানুষ করে তুলেছে। নিভৃতে যে একদিন সাইকেলে সুর তুলে হাকিয়ে ফিরেছে শহরতলী গ্রামের কোলাহসকাল সে আজ উড়ে যাই প্রেমের নগরে-মাটির কাছে। মাটির ভুবনে অনেকেই সাজাতে চাই নিজের মত পৃথিবী, ঘোড়ার ডিম বিক্রি করে রাখতে চাই নিজের সম্মান, সেখানে আমি এক নিতান্ত কপাল পোড়া ছন্যছাড়া বালক

 


✪ দীপান্বিতা সংখ্যা ≈ অরিজিৎ চক্রবর্তী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  
দীপান্বিতা সংখ্যা












সম্পাদক ~অরিজিৎ চক্রবর্তী 
বইতরণী ব্লগজিন, প্রতি মাসে

জীবনচক্র

প্রেক্ষাপট মায়া। তুমি কি মায়াবিনী?

কল্পনা করলাম আর্ট‌েজীয় কূপ‌ের ব‌িবরণ...

ফ্রান্স‌ের আঁত‌োয়া অঞ্চল‌ে যদি একগোছা 
বিষণ্ন স্ট্রবেরী তোমাকে উপহার দিতাম
আর বলতাম জটিলতার গিনিপিগগুলো বয়ঃসন্ধির শুরুতেই আমাকে ঋনাত্মক করেছে...

তাহলে পুনর্লিখিত কোন এলিজির উপান্তে সেরিকালচারের গুরুত্বে বোনা তোমার কামিজটি প্রত্যাসন্ন রাতের বারণকে 
এভাবে আভরণ দিতো না।

প্রকারভেদ যাই থাক
সুতোর প্রকৃতি অনুসারে
একটি অযৌন জননের খোঁজে 
সম্পর্ক ছদ্মবেশ নেয়

গভীরতা! একমাত্র ভুলে থাকার উপায়...