Saturday, October 24, 2020

≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ কাজী শোয়েব শাবাব ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
বিকাশ দাস সংখ্যা
কাজী শোয়েব শাবাব



টিকটিকি


কালো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে ছোট্ট তেলাপোকা সাদা শরীর নিয়ে সময়ের সাথে হেঁটে যেতে যেতে— স্মৃতির মায়ায় পড়ে যায়। 
পেছনে ফিরে আসে অতীতের কাছে
বিগত খোলসের মুখোমুখি বসে থাকে, বসেই থাকে। 

এদিকে সময় চলে গেছে হেঁটে হেঁটে বহুদূর। 

ঘটনার মাঝখান অকস্মাৎ ঢুকে পড়ে টিকটিকি
খপ করে মুখে পুরে হেলেদুলে চলে যায়—
আরেক সময়ের অন্ধকারে।

≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ রাজা দেবরায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
বিকাশ দাস সংখ্যা
রাজা দেবরায়


শুধুই অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য !

সতীদাহ প্রথার পেছনেও মূলত অর্থনৈতিক স্বার্থ কাজ করতো । স্বামীহীনা মহিলার সম্পত্তি জীবিত অবস্থায় গ্রাস করা সম্ভব নয়, তাই এই (কু)প্রথা । তাছাড়া ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নেবে ? সেটা মাথায় রেখেই এই (কু)প্রথার প্রচলন করা হয় ।

তাছাড়াও যখন সদ্যবিধবা স্ত্রীকে চিতায় তোলা হতো, তখন ওনার গায়ে থাকতো সমস্ত সোনা, রূপার অলংকার এবং এটাকেই নিয়ম বানিয়ে রেখেছিলো । সবাই জানে যে আগুনে পোড়ে সোনা, রূপা প্রায় নষ্ট হয় না । দাহ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এগুলিও তখন প্রাপ্তি ছিলো ।

পুরোটাই অর্থনৈতিক ব্যাপার !!!

আজকাল বিভিন্ন 'ডে'ও সৃষ্টি করা হয়েছে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যেই । আবেগকে পুঁজি করে গিফ্ট কেনাতে একপ্রকার বাধ্য করা হয় বলা যায় ! গিফ্টই সম্পর্ক অটুট রাখার বা নতুন সম্পর্ক গড়ার মাপকাঠি বা চাবিকাঠি, এরকম ধারণা সৃষ্টি করা হয়েছে পরিকল্পনামাফিক অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার জন্য ।

কর্পোরেট এইসব খুবই পরিকল্পিতভাবে করে বর্তমানে আরো দ্রুততার সাথে মুনাফা লুটে যাচ্ছে, আর প্রতিদিন অর্থনৈতিকভাবে আরো আরো বেশি স্ফীত হচ্ছে ।।


≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ সৃজা রায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
বিকাশ দাস সংখ্যা 
সৃজা রায়



রাত দুপুরে...

খোশগল্পে টকবগিয়ে রাজার জামাই এলো।
রাজকন্যার সিঁথিপাটি, তেল লাগিয়ে পরিপাটি,
এমন সময় রাজপূরীতে ব্যাঘাত বিশাল হলো!
সৈন্য -সেপাই,দল বাগালো, 
দরজার পাশে কানাঘুষো।
এক যে আছে গুবরে পোকা, 
বজ্জাতি সব কাজ,
সয়ম্বরার সভায় আসে বিদঘুটে সব সাজ,
শুনছো সবাই!রাজামশাই!
ভীষন চটেছেন!
রাজপুরীতে শূলে চড়ানোর  নির্দেশ দিয়েছেন!
সবার হাবভাব ভয়ে টয়ে
পালিয়ে গিয়ে বাঁচে,
এমন কেন নির্দেশ দিলেন,
অতিথিদের কাছে?
গুবরে কেবল মুখ টিপে রয়,
আচার বিচার পরে,
রাজকন্যার স্বামী হবে,
তারই ফন্দি করে।
মন্ত্রের জোরে কেউ তাহারে,
বানিয়ে দিয়েছে এমন,
দেখতে নাকি সুপুরুষ সে,
এই তল্লাটে নেই তেমন!
রাজকন্যা প্রশ্ন করেন" উপায় তবে? 
তোমার শাপের শাপান্তরণ কিরমভাবে হবে?"
ভেবে বললো গুবরে পোকা,
রাস্তা একটাই আছে!
চুপ করে রও!
সান্ত্রী -মন্ত্রীর বাক্যটি যেন না সরে!
স্বস্তি দিয়ে বললেন রাজা, "বেশ,তোমার ইচ্ছা পূরণ হোক",
গুবরে তখন নির্ভয়েতে বলেই ফেলে,
রাতদুপুরে কাটতে হবে রাজার বিশাল গোঁফ!


≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ পারমিতা ভট্টাচার্য ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
বিকাশ দাস সংখ্যা
পারমিতা ভট্টাচার্য


অশৌচলীলা

বদ্ধতার নামে জীবন কিনছি একমুঠো
চিলেকোঠার চিলতে দেওয়াল জুড়ে
পায়রা ওড়া ধুলো - সুখ...
বিন্দু বিন্দু সুখের ভৌমজল চুঁইয়ে
জোছনা স্নানে যাচ্ছে রাজপথ

অষ্ট বিভূতি জাগ্রত শালগ্রাম শিলা জুড়ে
অশৌচলীলা ...
গঙ্গা স্নানে লালবাতি, মনের স্থাপত্যের নিয়তি বেলায়

চঞ্চল মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে কিছু দুরন্ত চড়াই
খড়কুটো ছাড়া আছেই বা কি গৃহস্থালী - কার্পণ্যে...

কাজল হয়ে গলে যাচ্ছে উষ্ণ মণ্ডলের ষড়যন্ত্র...
মেরুদণ্ড - হিমবাহে...

তুলসী - গঙ্গায় ধৌত মিথ্যা প্রপাত
আছড়ে পড়ছে বিসর্গ বিন্যাসে...


≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ বিপাশা ভট্টাচার্য ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
বিকাশ দাস সংখ্যা 
বিপাশা ভট্টাচার্য


কবিতার কাছে ঋণ

যদি পারো, একথোকা কামিনী রেখে যেয়ো,
মাথার পাশে। উত্তরের জানলার কোণে...
বড় গুমোট হয়ে উঠেছে ঘর।
দমচাপা সন্ধ্যেয় সঙ্গ দিক
শুভ্র পবিত্রতা আর স্নিগ্ধ সুবাস।
অবসর মতো-- রেখে যেয়ো কাগজ কলম।
অক্ষরের কাছে আমার এক জীবনের ঋণ।
শুধু বর্ণমালার আশ্রয়ই বারবার-
পিছুটান হয়ে চেপে ধরেছে আঁচলপ্রান্ত।
কত প্রিয়জন, কত প্রতিশ্রুতি...
সব বিগতজনমের স্মৃতি মনে হয়।
খাদের কিনার অবধি পৌঁছে গিয়েও
তবু বারবার ফিরে ফিরে আসি।
কবিতা, তোমায় করেছি সাধন সঙ্গিনী।