Saturday, January 25, 2020

রাখী সরদার

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ। দ্বিতীয় প্রয়াস












পরজন্মের উত্তরীয়     রাখী সরদার

একরৈখিক  অন্ধকারে ভেসে যাচ্ছি দিনরাত।অতীত
স্মৃতির  টানাপোড়েনে শরীর  ক্রমশ পরদেশী  মেঘের মতো অস্পষ্ট  হয়ে উঠছে।দেহের  তন্ত্রে তন্ত্রে
বিষাদের  নীল ছায়া। ঘুম আসেনা।ঘুমের  দেবতা
শক্ত চোয়ালে বালির কুঠার হাতে পাহারা দেয়।এমন ধূ ধূ শূন্যতার  কালে নির্ঘুম  দেওয়াল বেয়ে কখন
যে ঘুম এসেছিল জানিনা।হেমন্তের  সুপক্ক কুয়াশার
ঘ্রাণে চোখ খুলে দেখি শুয়ে আছি কোন এক শীতার্ত  নদীর পাশে।কী নিস্তব্ধ নিঃশ্চুপ  চারদিক!
যেন কোন হিমযুগে এসে গেছি।বিদ্যুতের মতো এক ঝলক ভয় এসে থাবা মারে চোখে মুখে।বুকের  কাছে প্যাঁচার  নিঃশ্বাস,অন্ধকারের  শিস শুনতে পাই।কিছু লোকজনের  ফিসফাস।আধখোলা মোম চোখে দেখি অদূরে  থরে থরে চিতাকাঠ সাজানোর
কারুকাজ চলছে।ডোমশিল্পী জগতের  শ্রেষ্ঠ শিল্প
নির্দশনে বড় ব্যস্ত যেন।

কৌতূহল  জাগে।কার জন্য এত আয়োজন! জিজ্ঞেস  করতে যাই। জিহ্বা যেন ছায়াময় স্তূপের
আড়ালে  জড়বৎ পড়ে আছে।নড়াচাড়া  করতে
পারছেনা নিজের শরীর। আর্তনাদ  করে উঠি।
আমার  কথা আমার বধির পরমায়ু ছাড়া কেউ  শুনতে পায়না। এমন পাণ্ডুর পরিস্থিতিতে কোথা থেকে এক কৃষ্ণ বর্ণের  ঘোড়া আমার  নিরুপায়  শূন্যতাবোধের কাছে এসে দাঁড়ায়।তার গায়ের মৃত্যু গন্ধ আমার মাটির কাঠামোয় ঘষে ঘষে আরোপিত  করতে থাকে।বুঝতে পারি এই  গতিময় চরাচরে আমার  আর ঠাঁই  নেই। মুহূর্তে  এক অন্যমনস্ক  বিষাদের  ছায়া  আমাকে জড়িয়ে  ধরে।এমতাবস্থায় কারা যেন আমার ফ্যাকাশে  শরীরটা স্তব্ধতায় মুড়ে চিতার দাহপাত্রে শুইয়ে দিয়ে একে একে দাহপাত্রে নামিয়ে  দিচ্ছে  আমার প্রতিশ্রুতি... 
বিশ্বাস...ভালোবাসা... স্নেহ...শাসন...প্রহরণ সব সব কিছু।পাথুরে  আগুন একে একে সমস্ত  কিছু গ্রাস করছে।কোন যন্ত্রণা নেই।তবে কি আমার শরীরী চামড়া অশরীরী হয়ে গেছে!হয়তো! আমার  নরম কাঁথার মতো ঠোঁট  দুটো যখনই  আাগুনের আস্বাদ গ্রহণ  করতে শুরু করেছে সেই  মুহূর্তে  একটা গাঢ় আকাঙ্ক্ষা  নিরুপায়  পাখির  মতো ছটফট করতে থাকে।মনে হয় ওঈ হারানো সভ্যতার
 হারানো সভ্যতার  দিকে যাত্রার আগে এই ঠোঁটের
 খোলে জমে থাকা যাবতীয়  চুম্বনের  স্ফুলিঙ্গ  কারো আতপ্ত  ওষ্ঠে ঢেলে দিয়ে যাই।কিন্তু কে নেবে
 কিন্তু  কে নেবে এই  পোড়া চুম্বনের  দায়?কে নেবে এই  বিষণ্ণ বোবা ওম?

কেউ  কী আছো?কেউ  নেই... কিছু নেই... শুধুমাত্র 
আমার পোড়া বিষণ্ণতাটুকু কৃষ্ণময় নাভির মধ্যে
তখনো জমে আছে।কে যেন তা কেড়ে নেওয়ার জন্য ছুটে  আসছে।লুকিয়ে  রাখার চেষ্টা করি।আর তখনই ব্রম্ভাণ্ডের সকল আড়াল উপেক্ষা  করে এক
অনুপুরুষ এগিয়ে  আসে।গায়ের রং  তীব্র অন্ধকারের  মতো,সর্ব শরীর থেকে প্রখর রতিগন্ধ
বের হচ্ছে।কপালে মৃত্যুতিলক আঁকা,পরণে শ্বেতরঙের বস্ত্র।পুরুষ্ঠ ঠোঁটের কোল  বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে শীতল মদের ফেনা।দু চোখে লোগে হিম চূর্ণ। অপ্রস্তুত  নখের আড়ালে রমণ চিহ্ন।অনবরত মোহমুদগরের শ্লোক আওড়ে চলেছে।সব থেকে আশ্চর্য লাগে এমন পুরুষের  হাতে গোলাপের  মালা,কাঁধে উড়ছে পরজন্মের উত্তরীয়।

এমন অদ্ভুত  দর্শন পুরুষ কে দেখে মনে হয় এ কি কোন বিভ্রম! নাকি অলৌকিক  সত্য!এমন ক্রান্তিকাল অন্ধকার ডিঙিয়ে  পালাব কোথা!তবুও  পালাতে গিয়ে দেখি আমার অলক্ত পা দুখানিই তো নেই। দু পায়ের জায়গায় জমাট বেঁধেছে সাদা ফিনফিনে কুয়াশার পাহাড়।সেই  পাহাড় ডিঙিয়ে  যায় কার সাধ্য।অগ্যতা সেই  পুরুষের কাছে মহা সমর্পণ। পরম যত্নে আমার গলায় পরিয়ে  দিচ্ছে গোলাপের  মালা,কাঁধে তুলে দিচ্ছে পরজন্মের উত্তরীয়। আমি সম্মোহিত।কুয়াশাময় দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে  আছি,দাঁড়িয়েই আছি ভূত...ভবিষ্যত...
 অতীতের  কণায় কণায়...

সংযুক্তা পাল

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ। দ্বিতীয় প্রয়াস












১লা মে ২০১৯/১৭ই বৈশাখ ১৪২৬      রাইমোহিনী

হাতুড়ির আওয়াজে বেজে ওঠা যন্ত্রণার গান শুনতে ভালোবাসে রাইমোহিনী।ঘামের অপচয়ে লুন্ঠিত উদ্বৃত্তের ক্ষত নিয়ে লালা ঝরানো দিন অপেক্ষা করে থাকে মোহহীন সময়ের জন্য।বিস্মৃত শ্রম আত্মনিয়ন্ত্রণের ফাঁকতালে পান্তাভাতে ঘুমের শান্তি খুঁজতে খুঁজতে অস্পৃশ্যতার কারন ভুলে যায়; ভুলে যায় ঘৃণার উৎস।রাইমোহিনী স্বরলিপি খুললেই দেখতে পায় ইতিহাস বদলে যাবার দিনে ধ্বসে যাবে সঞ্চয়ের পাহাড়; দ্বিধাহীন মূল্যবোধ নাটকীয় শোকে উৎযাপন করবে সভ্যতার সমাধি। বিকৃত আশ্বাসগুলোর গলা টিপে খুনী হয়ে দাঁড়াবে রাজপথে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভোলাবেনা আর। যন্ত্রের মাধুকরী দিব্যসুখে মানুষকে বোকা বানায় যতখানি, মানুষ তার চেয়েও বেশি যান্ত্রিক রকমের ক্ষুধার্ত-গোগ্রাসে গিলতে চায়... স্বাদহীন খাবারের বিষাক্ত গন্ধটুকু পরখ করে না। প্রশ্নহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন বিকার প্রলেপের ভগ্নাবশেষটুকু জিইয়ে রাখতে চায়। বিষাদের ভগবান নেমে আসে মাটির ফাটল ধরে; 
তারই সামনে আনমনে সৃষ্টিতত্ত্বের শ্লোক আওড়াতে থাকে পাথুরে মানুষের দল।দলা পাকানো বানী জমি সংরক্ষিত আবেগের আবদারে   সুনিশ্চিত করতে চায় কাস্তের অধিকার।রোদ সেঁকা চামড়ায় কর্ষণের আনন্দ মেখে সুস্থ থাকতে চায় যারা, তাদের পায়ের কাছে রাইমোহিনী মাথার ফুল খুলে রাখে।ও চায়, শ্রমিকের হৃদয় জুড়ে মথিত হোক পলাশের সৌভাগ্য।

বন্ধুসুন্দর পাল

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ। দ্বিতীয় প্রয়াস












হ্যাংলা      বন্ধুসুন্দর পাল

পরনে সময় বাঁধা, অসময়  নিজের হকার
হাঁক দিয়ে ডাকছো যাকে, সে শুধু খিদের দাবিদার ।

উল্লাসে ক্লান্ত যে জিভ, লালাতে জড়ানো ধারদেনা
অবক্ষয় আরামের বীজ, উপহাসে মৃত্যু হ্যাংলা ।

আলিঙ্গনে অভদ্র উষ্ণতা  অপব্যয়ে মিঠি হাওয়া
ধারালো চুম্বন মিছিলের মতো, রুটি সেঁকা তাওয়া ।

পর্যুদস্ত হবে জেনে ফুলে ওঠে, জীবন কারবারি
তার স্মৃতিচিহ্ন রেখে যাবে একটা ভাঙা তরবারি ।

অভাবের ভরসা কম, মুগ্ধতা কামিয়ে উদাসীন
আজও কেন তোমার কান্নার জন্য লাগে গ্লিসারিন ?

মায়িশা তাসনিম ইসলাম

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ। দ্বিতীয় প্রয়াস












অবেলার বেড়াম    মায়িশা তাসনিম ইসলাম

দুই কে ভাঙা মাতাল মুখশ্রীদ্বয়ে
রোদের ভেঙেছিলো বিকাল

ফুল ছোঁব না, নিষ্পাপী প্রতিজ্ঞা
ব্যবধানে বায়ূর মন্থর শিরোনাম

হাত পেতে সেই হাতের পোড়খাওয়া শরীর
শূন্যতা ধূলির ওপর বুলায় আশীর্বাদ

দুই তলোয়ারে বন্ধ এক অবয়ব খেলা
মুখদ্বয়ের অবেলায়--  পাতকী চাহনির বেড়াম

Wednesday, January 15, 2020

এবার আমরা শুনবো আপনার কথা।আপনার কবিতা।

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...  দ্বিতীয় বর্ষ। ১-ম প্রয়াস

এবার আমরা শুনবো আপনার কথা।আপনার কবিতা। 
অনুরূপা পালচৌধুরী

এই বিষয়টি এই বছর নতুন সংযোজন করা হলো প্রতি পাক্ষিকে। সংযোজনের  পরিকল্পনা কবি সুশীল হাটুই- এর । এই প্রয়াসের উদ্দেশ্য হলো, যাঁদের কলম শক্তিশালী, অথচ নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করে চলেছেন দীর্ঘদিন বা হয়তো একদম ৪-৫ বছর, আর মাইক্রোফোন পেলে ২-৩ মিনিট ধার্য্য করা সময়ে কবিতা পাঠ কোরে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন। তাদেরও-তো  বলার থাকে অনেক কথা।  সেই অব্যক্ত কথাগুলো আমরা শুনবো আর পৌঁছে দেবো  সকলের কাছে। থাকছে সাহিত্য যাপনে তরুন এবং প্রবীণ কবিও। 
সঙ্গে থাকুন।  পড়তে থাকুন।     














নমস্কার অনুরূপা ম্যাডাম।
--- নমস্কার
কেমন আছেন?
--- ভালো আছি
আমি সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনের সম্পাদক অভিজিৎ দাসকর্মকার। " এবার আমরা শুনবো আপনার কথা, আপনার কবিতা "---- এই বিষয়টি নতুন সংযোজন করেছি। আপনার সাথে কিছু কথা বলবো। আমরা পৌঁছে দেবো সকল পাঠকের কাছে।

১)  আপনি কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন?  আপনি কোন পেশার সাথে যুক্ত ?

উ: ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি।পেশা শিক্ষকতা

২) কীভাবে কবিতায় এলেন?

উ: কবিতায় কিভাবে এলাম বলতে কি যেন ১ বিষম উন্মত্ততার উদ্বেগ নিয়েই ছোটবেলা থেকেই কবিতা পড়ার ১টা তীব্র নেশা তৈরি হয়। যদিও ১প্রকার  আমার লেখালিখির আত্মপ্রকাশের শুরুটা গল্প লেখা দিয়েই হয় এবং পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুল ম্যাগাজিনে প্রথম ১টি গল্প প্রকাশ দিয়েই লেখা শুরু এবং কবিতার প্রতি ১ অদম্য ভালোবাসার টানেই সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন প্রথম কবিতা লিখি। আসলে যে কোনো ঘটনারই ১টা কার্য কারণ সম্বন্ধ থাকে আমার ক্ষেত্রেও  তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বাড়িতে সাহিত্য পড়ার ১টা পরিবেশ এবং আমার মায়ের সাহিত্য পপড়ার দরুন ছোটবেলা থেকে আমিও ১কৌতূহল এবং আগ্রহে তা পড়তাম কখনোবা মা পড়ে শুনাতেন। আর সে তীব্র ভালোলাগা থেকেই কবিতা লেখার সখ এবং তীব্র ইচ্ছাতেই কবিতা লেখার শুরু।

৩) আপনি কবে থেকে কবিতা লিখছেন বা সাহিত্যের সাথে যুক্ত?

উ: লেখালিখির সূচনাটা মোটামুটি কৈশোরকাল থেকেই। সাহিত্যের সাথে যোগাযোগ মায়ের হাত ধরেই এবং মাধ্যমিকের সময়ই মোটামুটি ভাবে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফুল্ল রায়, মহাশ্বেতা দেবী, জয় গোস্বামী প্রমুখ ব্যক্তিত্বদের উপন্যাস দিয়েই সাহিত্য যাত্রা। পাশাপাশি রবীন্দ্র, শরৎ, বঙ্কিম রচনাবলী এবং জীবনানন্দের কবিতা তো ছিলোই।

৪) আপনার প্রথম লেখা বা কবিতার কী নাম, কোন পত্রিকায় প্রকাশিত?

উ: আমার প্রথম লেখা কবিতার নাম 'মানসী' এবং তা অপ্রকাশিত।

৫) যদি কবিতা বা সাহিত্যে না থাকতেন তবে আপনি কোন বিষয় নিয়ে থাকতেন?

উ: হা হা হা। বিষয়টা ঠিক এমন কেউ যদি আপনাকে খাদ্য ব্যতিরেক জীবনযাপন করতে বলে আপনি কি পারবেন? নিশ্চয়ই না। যাই করেন খেতে আপনাকে হবেই। তেমন কবিতা বা সাহিত্যে না থাকার কথা তো ভাবতেই পারি না। এখন আপনি যে বিষয় ভালোবাসেন বা যেটা নিয়ে থাকতে পছন্দ করবেন কখনোই সেই বিষয় থেকে আপনাকে সরিয়ে বা আলাদা করে অন্যকোনো বিষয়আশয় দিয়ে জোড় করে থাকতে বললেও আপনি থাকতে পারবেন না। কারণ সেখানে তো কোনোরকম আগ্রহ বা ভালোলাগাই তৈরি হয় না।

৬) আপনার কবিতা জীবনে কার অবদান সবথেকে বেশি?

উ: আমার জীবনে কোনো সৃষ্টিই সেক্ষেত্রে লেখালিখির জীবনে কোনো ব্যক্তি মানুষের অবদান নেই। তবে ১টি নিরপেক্ষ তাড়না আমাকে পিছন থেকে চালিত করতো এই চালনাই আমার সামনে অনেক কিছু দেখবার বহুকোণ খুলে দিয়েছিলো আর আমি খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে নিতে শিখেছিলাম অক্ষরান্তের শব্দ এবং শব্দান্তের অক্ষর।

৭) আপনার কাছে কোন ধরনের কবিতা বেশি প্রাধান্য পায়?

উ: কবিতার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট ধরণই সর্বশেষ গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে না। কারণ কবিতা ঈশ্বরের মতোই নিরাকার। কেউই তার সঠিক আকৃতি নিরূপণ করতে পারে না। তবু মানুষ নিজস্ব ধারণার উপর বিশ্বাসে যেভাবে সাকার উপাসনা করে চলে কবিতাকেও তদ্রূপ আকৃতি দেওয়া হয় বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন বিশ্বাসে এবং ধারণার যুক্তিযুক্ত ভিত্তিতে। সেক্ষেত্রে আমি বলবো যে ধরণ বা ধরণের কবিতা আমি লিখি সেটাই আমার কাছে সর্বাগ্রে প্রণিধানযোগ্য এইমুহুর্তে। নিজের ভাবনায় লিখতে এসে ১টা অ্যান্টি এস্টাব্লিশমেন্টকে গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছি যে কারণে, মাত্রাহীন, অযৌক্তিক, অসংলগ্ন,আবেগহীন প্রলাপই কবিতা হিসাবে আমার কাছে প্রাধান্য পায় কারণ এই আমিও ১ সামগ্রিক অর্থে প্রলাপহীন আত্মার আক্ষরিক উন্মাদনা ছাড়া কোনো ভাবনা নয়।

৮) আপনার প্রিয় কবিতার বই কোনটি, যা নিয়ে আপনার ভাল না লাগা সময়গুলো কাটিয়ে নিতে পারেন?

উ: প্রিয় কবিতার বই অনেক আর কবিতা মানেই আমার কাছে জীবন্ত প্রেমিক যার চোখে নিজেকে আবিষ্কার করা যায়, যেখানে সমস্ত আমিত্ববোধের সোপান বেয়ে নির্দিষ্ট 'আমি' আইডেন্টিফাই হয়েই আবার অনির্দিষ্ট বিভাজনের তাড়নায় ভালো থাকতে শিখে যাই। অথচ এই বিভক্ত অবস্থাও যে ১প্রকার ভালো না থাকা কিংবা ভালো না লাগার জীবনকেই আমাদের প্রতিমুহুর্তকেই গ্রাস করে চলে তা হয়তো আমরা প্রায়ই বুঝি উঠি না। আর সেই ভালো না থাকার সময়গুলোতেও আমি বারবার সেই প্রেমিক তথা কবিতার বই বলতে দীপঙ্কর দত্তের  কবিতা নিয়েই কাটিয়ে দিতে পারি বা আজো দিয়ে যাই।

৯) আপনি ২০১৬ সাল থেকে লিখছেন। প্রথম দিকে আপনার কবিতায় চিহ্ন, সংকেত ব্যবহৃত হতো। এখন আপনার কবিতা কথ্যরূপ পাচ্ছে বা দিচ্ছেন। এই বিষয়টায় যদি একটু আলোকপাত করেন?

উ: ২০১৬ তে যখন লিখি তখনো আপনার কথা অনুযায়ী কথ্যরূপেই লিখতাম এবং আত্মপ্রকাশটা মূলত: ভাষাতেই। পরবর্তীতে ২০১৭ তে কবিতার ভাষায় চিহ্ন প্রায় কমই তবে সংকেত ব্যবহার করেছি কিছু অন্যরকম বা ১টা পরীক্ষামূলক চিন্তাভাবনা নিয়ে। কলেজে পড়াকালীন TLM (teaching learning material) ব্যবহার করার সময় হঠাৎই ১দিন মনে হয় কিছু সেপের সংকেত কবিতায় ব্যবহার করা যেতে পারে যা আমি অলরেডি ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট কোনো বস্তুর সংকেত দিয়ে সেই বিষয় সম্পর্কিত স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করছি তাহলে তা কবিতার ক্ষেত্রে কেনো অসম্ভব? সংকেতের উপর আমার প্রথম লেখা কবিতাটি 'কবিতাকরিডোর' ওয়েব ম্যাগে প্রকাশিত হয়। আসলে মন যেমন পরিবর্তনশীল ভাবনাও তদ্রূপ। আজ যা ভাবছি কাল তা নাও ভাবতে পারি আবার একই ভাবনাই অন্যরূপে অন্য আকৃতিতে আকার ধারণ করতে পারে।এখন দেখুন সময় ১টি ফ্যাক্টর। আর বদল ও পরীক্ষামূলক প্রয়োগও একটি অধ্যায়। এভাবে ১টি সময়কে নির্ধারণ করা যায় না যদি আপনি ১টি ইজম্ কে নিয়েই ক্রমাগত চলেন। তাছাড়া একটি ধরনের মধ্যে সংকেতও  তো পরে বলে আমি মনে করি। সংকেত, ডায়াগ্রাম, টেক্সচার এগুলো ইউজই বা হবে না কেন? কারণ বলাটা ১টিই প্রসিডিওর নয়।বলার দর্শন তার আংগিকের সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল এবং কবিতায় ডাইন্যামিজম্ না থাকলে তা আগ্রহ বাড়ায় না, তাই চিহ্ন ঠিক নয় সংকেত ১সময় আমার কাছে প্রকাশের ১অব্যয় ছিল এবং এখন আমি শব্দ নিয়ে একটি নতুন ডেকোরাম তৈরী করতে আগ্রহী। আমি বরাবরই এক্সপেরিমেন্টাল-----

১০) এখন কবিতায় অনেকেই সিম্বল, ইকুয়েশন এমনকি খিস্তিও ব্যবহার করছেন।এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?

উ: আসলে সিম্বল , ইকুয়েশন এগুলো নিয়ে আমি খুব বেশী চিন্তিত বা উৎসাহী নই ঠিক এইমুহুর্তে কেনোনা যারা লিখতে পারে না তারা পাঠককে বোকা বানানোর জন্য অনেক কৌশল অবলম্বন করে থাকেন যদিও। আমি এইমুহুর্তে ভাবি ১টি শব্দ নিজেই ১টি চিহ্নিত বাক্য হতে পারে আবার সেই শব্দই নিজে ১টি চিহ্নভেদী নিরাকার অর্থহীন অর্থ যা ডিসটিংক্ট ভাবনার উত্থাপক। তবে সাহিত্যে কিংবা কবিতায় কোনো শব্দই অশ্লীল নয় শুধু প্রয়োগটা বুঝতে হবে। কথায় আছে '১দেশের বুলি আর ১দেশের গালি' তাই খিস্তি যেটা আমি ভাবি,আপনি ভাবেন, আমরা ভাবি সে ভাবনার সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষমতাটাই বা কার আছে? আসলে শব্দের যে ১ বিশাল বিস্তার আছে যার প্রভাবে শব্দজোট ১টি মাত্র অবস্থানের উপর দাঁড়িয়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ১প্রবল শক্তিবল তৈরি করে ফেলতে পারে। এখন বিষয় হলো কে ক্যামন সিচুয়েশন বা কোন অ্যাঙ্গেল থেকে শব্দকে দেখবে বা ভাববে। প্রসঙ্গগত রোদ্দুর রায়ের ১টি লাইন মনে পড়লো- " বাঁড়া চাঁদ উঠেছিলো গগনে"। ভাববার বিষয়টা এখানেই যে কোন মেন্টাল স্টেজ বা কোন ধরণের যাপনীয় সময় বা ফেজে ১জন মানুষ চলছে। তার দ্যাখা আর আমার দ্যাখা বা আমাদের সকলের দ্যাখার দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য আছে।  আসলে যার জীবনধারণ যেমন, যে জীবনকে যেভাবে গ্রহণ বা বর্জন করার পেরিফেরিতে থেকে চ্যালেঞ্জ করে এবং একের পর এক কাউন্টারপয়েন্টে ইমোশন জন্ম দ্যায় বা বলি হয় তার শব্দগত তরঙ্গ সেই অবস্থানভেদে ঠিক তেমন ভাবেই ভারের তীক্ষ্ণতা বহন করে যে কারণে সেই চাঁদই আবার কবির কাছে 'ঝলসানো রুটি' হয়ে যায়।

১১) আপনার কবিতায় শব্দবন্ধ এবং শব্দভাঙা বেশি নজরকাড়ে। এই সম্পর্কে কিছু বলুন,আমাদের পাঠকদের জন্য।

উ: প্রকৃতপক্ষে কোনটা ধ্বনির উচ্চারণ আর কোনটা বর্ণের উচ্চারণ সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা না নিয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা বাংলাভাষা উচ্চারণ করি। মাতৃভাষা উচ্চারণের ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু আসলে ধ্বনি উচ্চারণ করি বর্ণ নয়। এখন ধ্বনি বোঝানোর জন্য যে সিম্বল আমরা আঁকি তাই বর্ণ। এই ধ্বনি কিন্তু ১টা নিজস্ব সার্ফেসে পরিবর্তিত এবং পরিবর্ধিত হয়। স্বরধনি এবং ব্যঞ্জনধ্বনির প্রত্যেকটি চিহ্ন তথা অ,আ / ক, খ এই চিহ্নগুলোর যে আকার বা আকৃতির দ্বারা উচ্চারিত সাউন্ডে যে চিত্র আমাদের কল্পনা করানো হয় আমরা সেটুকুতেই আবদ্ধ হয়ে আছি।  কিন্তু এই অ, আ, ক, খ প্রত্যেকটি সিম্বলের অজস্র নিমিত্ত আছে যার কারণে প্রত্যেকটি ধ্বনির চিহ্ন কেবলমাত্র ১টি শব্দ নয় হাজার শব্দের ধারণা দিতে পারে।
১টি বাক্য যেমন-  অ হেতু ক দে হজ হাজত পরবাসী
এই রকম পরীক্ষামূলক কবিতা আমি প্রথম লিখি 'এখন তরঙ্গ' নামক ওয়েব ম্যাগাজিনে।

১২) আপনি কেন কবিতা লেখেন?

উ: কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর হয় না অথবা উত্তর দেওয়ার পরও প্রতিবারই যেন মনে হয় অনেক কিছু বলার বাকী থেকে গেলো যা গুছিয়ে উত্তর দেওয়া গেলো না। এক্ষেত্রে আগেই বলে রাখি এই বিষয়ে ১টি গদ্য লিখেছি 'দৈনিক বজ্রকন্ঠ' পত্রিকায় তা অবশ্য প্রকাশের অপেক্ষায়। লিখতে গিয়ে কোনোদিনই এমন প্রশ্ন মাথায় আসেনি যে কেনো কবিতা লিখি। আসলে লেখাটা ১টা স্বতঃস্ফূর্ত ইচ্ছা কিংবা ১টা স্বাধীন চিন্তার ক্ষেত্র যেখানে সবকিছু বলতে পারা তথা নিজেকে প্রকাশ করা যায়। আমিফসলের আমিত্বকে খুব স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ করে বোধ হয় এখানেই ফলানো যায় যেখানে আমির সকল দ্বন্দ্ব, ওঠাপড়া, লড়াই ইত্যাদির ১টা বড় মাধ্যম এই লেখা। সত্যি বলতে কি শব্দ বড় যখন তখন পেয়ে বসে তাই লিখি। কিংবা সকলের থেকে নিজেকে আড়াল কিংবা বিচ্যুত রাখতে চাই হয়তো। হয়তো নিজেকে আত্মরক্ষার সর্ববৃহৎ পথ এই কবিতা কিংবা এই তীব্র 'আমি'  গন্ধের আমরণ খোঁজ, হয়তো বা জীবিত থেকে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখার আবার বেঁচে থাকার ১মাত্র অবলম্বনটাও এই কবিতাই তাই  আনন্দ,দুঃখ,ঘাত,প্রতিঘাত,হতাশা,ব্যর্থতা, সফলতা সবকিছুই এই কবিতার মাধ্যমেই বলা যায় আবার হয়তো এইসব কিছুই বলতে না চাওয়াতেও এমনিতেই কি ১ ঘোরে লিখে ফেলি এই আমিটাকে। হাসি,কাঁদি সব এই আমিতেই আর বুঁদ হয়ে থাকি মদাসক্ত শব্দের নেশায়।

১৩) আপনি কি কোনো কবিতা গ্রুপের সাথে যুক্ত, হেয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক গ্রুপ? তার নাম?

উ: ১ এর অধিক হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক  গ্রুপে যুক্ত আছি এবং হয়েছিলাম তবে তা সময়সাপেক্ষ।

১৪) আপনি কি এইসময় রবীন্দ্রনাথ পড়বেন নাকি জীবনানন্দ, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, শঙ্খঘোষ এঁদের পড়বেন ?
নাকি এইসময়ের কবিতাকে পড়বেন?

উ: দেখুন পড়তে হবে সবই শুধু অ্যাপ্লিকেশনটা ব্যক্তিগত। রবীন্দ্রনাথ হলেন পজিটিভ এনার্জির রিসোর্স আর প্রচলিত সিস্টেমেটিক সিস্টেমকে ভেঙ্গে অসংগতির নেগেটিভিটি ফোর্স ১ম আনেন জীবনানন্দ যিনি নিজেই ১টা স্বতন্ত্র বিকল্প ধারা। তবে যাকে এইসময়ের বলে মনে হয় তা ১৫০ বছর আগেই রচিত হয়েছে আর যা এইসময় রচিত হবে তা আজ থেকে পরবর্তী ১৫০ বছরের ভিত।

১৫) আপনার লেখা main streem থেকে আলাদা।ফলত আপনার পাঠককুলের পরিধি কেমন বলে আপনি মনে করেন?

উ: সমস্যাটা কি জানেন? মাকে 'মা' বলে পরিচিত করানো হয় বলেই আমরা ওই অবয়বটিকে 'মা' শব্দেই কল্পনা করে নিই। ভেবে দেখুন 'বাবা' শব্দে যদি সেই অবয়বটিকে আমাদের চেনানো হতো আমরা তবে বাবারূপেই মায়ের আকারে অবগত হতাম। যে যুক্তিহীনতায় আমি বিশ্বাসী তাই যে ১দিন main streem হবে না তা কে বলতে পারে!
পাঠক নামক বস্তুটিকে আমি কখনই লেখার মূল উপজীব্য করে তুলতে পারিনি। কারণ পাঠকের ভাবনা নিয়ে আমি কখনোই লিখতে বসতে পারি না। লেখা সর্বাগ্রে ব্যক্তিগত। আমি নিজের জন্য লিখি, পাঠকের জন্য নয়। আমিই আমার লেখার সর্বপ্রথম পাঠক। আমার মতে ১০০ মূর্খ পাঠক থাকার চেয়ে ১জন শিক্ষিত এবং উচ্চমার্গের পাঠক থাকাই বাঞ্ছনীয়। আসলে 'শিল্প' আর 'শিল্পগত বাজার' ২টো আলাদা বিষয়। আমি বাজারি কবিতার বিরোধী যা জনস্রোতে চটকদার চাটনির মতো জিভ থেকে পেটে এবং পেট থেকে পায়ু পথে বেরিয়ে মাটিতে মিশে যায়।পাঠক হোক স্বতন্ত্র এবং নির্দিষ্ট। হাটে বাজারে সহজেই লোকের হাতে, মুখে বার্তা হওয়াটার পক্ষে আমি বিরোধী। তাই যার ভালোলাগার বা বোঝার সে বুঝবে আর যার না বোঝার সে কোনোকিছুই বুঝবে না আর তাই এই পাঠক বিষয়টি নিয়ে আমার তেমন কোনো চেতন মাথা ব্যাথা নেই। যারা পাঠককুলের কথা ভেবে লেখে সে লেখা লেখা নয়, নিজেকে ক্লাউন সাজিয়ে উপস্থাপন করা। যা আমি নই তাকেই জোড় করে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস। এর থেকে মুখরোচক খাদ্য বানিয়ে লোকের কাছে বিক্রি করাই তো শ্রেয়! কারণ রাঁধুনিকে টাকার বিনিময়ে মানুষের স্বাদকোরকের কথা ভেবে পরিমানমতো মশলা দিতে হয়। আমার সে দায় নেই কেনোকি আমাকে কেউ লিখতে বাধ্য করেনি। নিজের ইচ্ছায় লেখা শুরু করেছি তাছাড়া আমি না লিখলেও কেউ বাধ্যতামূলক লেখা চাপিয়ে দিতো না লেখা পড়বার জন্য। সুতরাং আমার লেখায় বা আমি লিখে নিজের কতখানি চাহিদা নিবৃত্তি করতে পারলাম সেটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়। কারণ আগেই বলেছি আমিই আমার লেখার সবচেয়ে বড় পাঠক।
১৬) বহুরৈখিক কবিতা বিষয়ে আপনার কি কোন ধারনা আছে? থাকলে বিষয়টা আপনার কি রকম লাগে?

উ: কবিতা তার কেন্দ্র থেকে বিকেন্দ্রীভূত হয়ে অপ্রাসঙ্গিক, অর্থহীন, বিষয়হীন হয়ে যাবে এটাই তো কবিতার বহুরৈখিকতা। মলয় রায়চৌধুরীর পোস্টমর্ডানিজমই তো সেকথা বলে। হাংরী আন্দোলনের ক্ষেত্রেই তো কবিতার এই বহুরৈখিকতা দেখা যায়।

১৭) এখন ২টো শব্দকে পাশাপাশি বসিয়ে, শব্দের ফোর্স বা শব্দধ্বণির উপর প্রাধান্য দিয়ে কবিতা লেখাও হচ্ছে।এই বিষয়ে কিছু বলুন।

উ: ধ্বনি নিয়ে আগেই বলেছি। কবিতা তার চিত্রকল্প এবং অর্থ থেকে সরে এসে ১টা এবস্ট্রাক্ট ফর্ম নিয়েছে অনেক আগেই। তা উৎপল কুমার বসু এবং বিনয় মজুমদার পড়লেই বোঝা যায়। আর ১টি শব্দ একাই নিজে ১টি অর্থহীন, অযৌক্তক কবিতা হতে পারে। আসলে শব্দ নিজেই তো ১টা ফোর্স যা বাক্যের ভেলোসিটি নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি দুটি শব্দের মধ্যে যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ থাকে তা নির্ভর করে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শব্দের গতিশীলতার উপর।বস্তুর মতো শব্দেরও কোনো চরম স্থিতিকরণ বলে কিছু হয় না। আজ ১টি শব্দকে যেভাবে স্থাপন বা ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে আবর্তিত হতে দেখা যাবে কাল হয়তো নতুন আংগিকে তার রূপান্তর হবে নতুন অর্থে অর্থাৎ যাকে জোড় করে নির্দিষ্ট অবস্থানে কখনোই অবস্থান করানো যায় না। কবিতার প্রয়োজনে নতুন শব্দের অবতারণা হতে পারে, ২টি বৈপরীত্য শব্দ পাশাপাশি বসতে পারে আবার সমার্থক শব্দও কবিতায় ব্যবহৃত হতে পারে। বিষয়টা হলো শব্দটার গভীরতা কতখানি এবং তা কতখানি শ্রুতিযোগ্য। শব্দই এখন কবিতার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। আত্মা যেমন স্বতন্ত্র এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ, দেহ ছাড়াই সে সক্রিয় কিন্তু দেহ আত্মা ছাড়া অচল এবং মৃত। তেমনি ১টি শব্দ নিজেই স্বতন্ত্র এবং স্বয়ংপূর্ণ তার বাক্যকে প্রয়োজন নেই। যেমন - 'আম' শব্দ টা শোনার সাথে সাথেই অজস্র বাক্য, অর্থ, চিত্র আমাদের সামনে চলে আসে বা আমরা তৈরি করে ফেলি। তাই শব্দ নিজেই ১টি কবিতা হতে পারে কিন্তু বাক্য তৈরীতে শব্দ অনিবার্য। কবিতায় বাক্য অজস্র শব্দের সমন্বয় যেখানে এক বা একাধিক শব্দের একক মিনিং বর্তমান আবার সমষ্টিগতভাবে সৃষ্ট হাজার মিনিংফুল বাক্যেরও উদ্ভাবন ঘটায়। সেক্ষেত্রে আমি শব্দকে আত্মা আর বাক্যকে দেহের সাথে তুলনা করি। অবশেষে ১টা কথাই বলা যায় শব্দের স্থিতি এবং গতি আপেক্ষিক।

১৮) আপনি কি বাংলা কবিতার বাইরে  অন্য ভাষায় লেখা কবিতা পড়েন? যদি পড়েন কোন ভাষায় কোন কবির কবিতা পড়েন?

উ: ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনার দরুন বাংলার পাশাপাশি ইংরাজি ভাষার কবিতা পড়তে হয়েছে। তবে কিছুদিন কোনো ইংরাজি কবিতা পড়ছি না। Charles Bernstein এর লিঙ্গুইস্টিকস পড়ছি।

১৯) আপনিতো লেখা লিখি সুরু করেছিলেন ওয়েবম্যাগের হাত ধরে।এখন বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকাতেও লিখছেন। ২টি ভিন্ন মাধ্যমকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

উ: এখানে অনেক কিছুই বলার আছে। কেননা নিজের ক্ষেত্রটাই বোধ হয় এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য যথেষ্ট। আমার প্রথম লেখা বাইরের পৃথিবী দেখেছে তথা ভার্চুয়ালি আসি ' তরঙ্গ ' ওয়েব ম্যাগের হাত ধরেই। সেখান থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগে আত্মপ্রকাশ। অনেককে পাশে পেয়েছি আবার হারিয়েওছি। তখন অনুরূপাকে কে চিনতো? কেউই না নিজস্ব সারকেল ছাড়া। এভাবে কবিতা প্রকাশ এবং খুব দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়াটা ওয়েব ম্যাগের হাত ধরেই বোধ হয় সম্ভব। যারা প্রিন্ট পত্রিকা কিনে পড়তে চায় না বা পড়ে না সেখানে ওয়েব ম্যাগ রিলিজটা তাদের কাছে নিজেকে চট করে পৌঁছে দেওয়ার ১টা ভালো মাধ্যম আবার আমি যে লিখি এটাও খুব দ্রুত মানুষ জানতে পারে। কেনকি আগে যদি এই মাধ্যম আসতো তাহলে হয়তো আরো কম সময়েই অনেক তরুণ কবির লেখালিখির হদিশ পাঠক পেয়ে যেত বা ১জন তার লেখা দেওয়ার জায়গাও খুব দ্রুত খুঁজে পেয়ে যেত। যেখানে আগে ১টা প্রিন্ট পত্রিকায় লেখা পাঠিয়ে সেটি হাতে না আসা পর্যন্ত বা না কেনা পর্যন্ত ১জন কবির বা পাঠকের অপেক্ষা করতে হতো সেই লেখা ছাপা হয়েছে কিনা। এখন যদিও ফেসবুকের মাধ্যমে তা জেনে নেওয়াও যায় কিছু প্রিন্ট পত্রিকার ক্ষেত্রে। তাছাড়া লেখালিখি করা অপরিচিত নতুন লিখতে আসা তরুণের কাছে ১টা ওয়েব ম্যাগে প্রথম লেখা প্রকাশের পর তা বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক, হোয়াটস্যাপে ছড়িয়ে গিয়ে কিছু কবি/লেখকের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগটা খুব দ্রুত হয় যা প্রিন্ট মাধ্যমে এত তৎপরতার সাথে ঘটে না, সময় লাগে।
তবে কিছু প্রিন্ট পত্রিকাও নতুনদের খুবই গুরুত্ব দেয়। কেনকি আমার প্রথম প্রিন্ট পত্রিকা মধ্যবর্তী যেখানে আমি সম্পূর্ণ নতুন এবং যখন এই পত্রিকায় লেখা পাঠাই তখন পত্রিকা সম্পর্কে যেমন কিছুই জানতাম না তেমনি পত্রিকার কাউকেই চিনতাম না। তবে ১টাই কথা বলার যে মাধ্যমটা যদি ফেসবুক বা বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগের হোয়াটস্যাপগ্রুপ না হতো তাহলে হয়তো কখনোই এতো দ্রুতভাবে সকলের কাছে নিজের লেখা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হতো না। আর যেখানে এমন ১টা খোলা প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যায় বা তরুণদের দেওয়া হয় সেখানে নিজের আত্মপ্রকাশ বা নিজেকে পরিচিত করার সুযোগ তো খুব চটজলদিই সম্ভবপর হয়। 

২০) আপনার কি মনে হয় web.mag, print media কে অতিক্রম করতে সক্ষম?

উ: কেউই কাউকে অতিক্রম করে না বা করতে পারে না। এটা আমাদের ভুল ধারণা। প্রত্যেকেই তার নিজস্ব পরিধিতেই বিচরণ করে। প্রিন্ট পত্রিকার যেমন ১টা গুরুত্ব আছে তেমনি ওয়েব ম্যাগও গুরুত্বপূর্ণ। প্রিন্ট পত্রিকার মাধ্যমেও কিছু নির্দিষ্ট পাঠক তৈরি হয়েই যায়। আসলে ওয়েব ম্যাগ যেমন নিখরচায় ঘরে বসে যখন তখন পড়ার সুযোগ থাকে প্রিন্ট পত্রিকার ক্ষেত্রে তা হয়তো হয় না তবে লেখা সুরক্ষিত থাকার ক্ষেত্রে প্রিন্ট পত্রিকাই অগ্রগণ্য কেননা ইলেকট্রনিকস গুডস যখন তখন খারাপ হতে পারে বা ওয়েব ম্যাগটিতে কোনো কারণবশত লেখাগুলোর লিংক উড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এটি ১টি সমস্যা। প্রিন্ট পত্রিকার ক্ষেত্রে প্রকাশিত লেখার ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনাটি একেবারেই থাকে না।

২১)  এখন অজস্র কবিতা লেখা হচ্ছে।বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশও হচ্ছে। কিন্তু তারপর আর কবিতাগুলির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।আপনার মতে এর কারণ কী?

উ: সেটা মিডিয়ার ভিতরকার সমস্যা হতে পারে। ওয়েবপেইজের সমস্যা হতে পারে যেটা আগের প্রশ্নের ক্ষেত্রে বললাম।
আর ১টা বিষয় যেটা আমার মনে হয় তা হলো যে লেখা ১/২বার পড়ার পর ক্লান্তি এনে দেয়, পুরনো হয়ে যায় তথা লেখার বক্তব্য সবই বোঝা হয়ে যায়, নতুন করে পড়ে আর কিছু আহরণ করার থাকে না, প্রতিবার পড়ার সময় নতুন লাগে না সে কবিতাগুলো তো হারিয়ে যাবেই বা বিলীন হবেই। মানুষ তা পড়বে কেনো!

২২) চারিদিকে কবিতার জন্য বিভিন্ন ম্যাগাজিন, সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে কবিদের সম্মান জানানো হচ্ছে। এতে কি কবিতার উন্নতি হচ্ছে?  এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

উ: দেখুন লেখার মান বা মূল্যায়ন কখনো পুরস্কার বা কোনো সম্মাননার মানদণ্ড দিয়ে বিচার করা যায় না। এটা ১প্রকার লেখার ক্ষতি করা, সাহিত্যের ক্ষতিকারক দিক। প্রশংসা, সম্মাননা কখনো ভালো কবিতা লিখতে দ্যায় না তা লেখার মানকে আরো নিম্ন করে তোলে। তবে হ্যাঁ, ব্যাক্তিগতভাবে যদি এখন কোনো পাঠক কোনো কবি/লেখকের লেখা পড়ে তাকে ১টি উপহার দ্যায় আমি সেটিকেই চরম সম্মাননা বলবো। এর উপরে কোনো সম্মাননা আমার মতে হয় না। কারণ এটা ১জন কবি/লেখককে আরো এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেয়। বাকী যা হয় তা সব ফেক।

২৩)  আপনার কতগুলো একক কাব্যগ্রন্থ আছে। আপনার কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে আপনি পাঠকদের কি বার্তা দিতে চেয়েছেন?

উ: ২০১৯ -এর ১২ই ডিসেম্বর আমার প্রথম কবিতার বই 'অনুলিথিক পাতায়' প্রকাশিত হয়।
পাঠকের পড়ার জন্য মূলত: আমার বই করার প্রয়াস নয়। দীর্ঘদিনের প্রায় ৪ বছর ধরে লেখা কবিতাগুলোর মধ্য থেকে কিছু লেখা কবিতা একত্রিত করে ১জায়গায় গুছিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম যার ফসল এই বই। প্রথম বই অনেকটা থুরি পুরোটাই প্রথম সন্তানের আবেগের মতো। তাকে কেউ দেখলো বা না দেখলো, পড়লো বা না পড়লো নিজেই দেখে, ছুঁয়ে চরম শান্তি। যার পড়বার সে পড়বে। কবিতা মাত্রই জীবনকে যাপন যা বিভিন্ন পর্যায়ে হয়ে থাকে যা আমার, আপনার, আমাদের সকলেরই এক শুধু দেখার ক্ষেত্র, বোঝার জায়গা, পথের বার্তাটা ভিন্ন হয়।

২৪) আপনি কি বিশ্বাস করেন কবিতা লিখে সমাজের পরিবর্তন সম্ভব?

উ : হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। কবিতাই ১মাত্র আত্মোপলব্ধির জায়গা। ব্যক্তির হতাশা, ক্ষোভ, অপমান, ব্যর্থতা ইত্যাদির ১ অনিবার্য পরিস্ফুটন হলো এই কবিতা যা থেকে ব্যক্তি আত্মগ্লানি পাড়  করে সে মুক্তির পথ খোঁজে। যা কিছু বলতে না পারা সবকিছুর ১মাত্র বহিঃপ্রকাশই কবিতার মাধ্যমে সম্ভব। ১টা দিন যদি এমন হয় কবি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নয় সবাই শুধু কবিতা পড়া এবং লেখায় ব্যক্তিগত 'আমি'র আত্মীকরণ ঘটাচ্ছে তাহলে তা সাহিত্য এবং মানবিকতার বোধকে অনেক ধাপ এগিয়ে রাখবে। কারণ কবিতা লিখতে পারার ক্ষমতা সকলেরই আছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষই নিজের কথা লিখতে পারার ক্ষমতা রাখে ব্যক্তি বিশেষে নিজস্ব পরিকাঠামোর সারকামটেন্স অনুসারে। কবি শব্দের জ্বর কেটে বেরিয়ে আসুক লিখতে পারার সাহসের নামাঙ্কিত কবিতা। তাতে আর যাই হোক সর্বোপরি সমাজ সকল কলুষতা থেকে মুক্ত হবে এবং মানুষও বোধহয় সবরকম অপরাধ থেকে দূষণ মুক্ত হবে।

২৫) কবিতা লিখতে এসে আপনাকেও নিশ্চয়ই অনেক প্রতিকূলতার স্বীকার হতে হয়েছে? আমাদের পাঠকদের সতর্কতার জন্য কিছু বলুন।

উ: দেখুন যখনই আপনি কোনো স্রোতের প্রতিকূলে দাঁড় বাইবেন তখনই নানা প্রতিকূলতা দেখা দেবে। যখনই লিখতে আসা সিনিয়রদের ১টানা দীর্ঘকালীন দেখানো পথে না গিয়ে নিজের দেখা পথকে বেছে নিয়ে কোনো জুনিয়ার চলতে চায় বা চলে তখনই অটোমেটিক তারা রে রে করে ছুটে আসে এবং গ্যালো গ্যালো রব তুলে এমনভাবে তাকে এনকাউন্টার করবে যেন সে ১জন দাগী আসামী। বাংলা ভাষা আর সাহিত্যের যেন ১ তুমুল বিপর্যয় এবং ধ্বংসকারী সে। গালিগালাজ  থেকে ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং অবশেষে আক্রমণ কোনোটাই বাদ পড়ে না। হা হা হা।
তবে সেক্ষেত্রে বলবো এগুলোকে সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কোনো যুক্তিই নেই। বলাবাহুল্য, এইসব আপেক্ষিক অবস্থান। আর এইধরনের প্রতিকূল অবস্থা যারা তৈরি করে আসলে তারা নিজেরা অস্তিত্ব সংকটে ভোগে এবং নিজেদের অবস্থান হারানোর ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েই বাংলা কবিতায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এইসব পদক্ষেপ নেয়। তাই বলবো এইসব পাত্তা না দিয়ে নিজের যুক্তিতে,নিজের দেখাতে স্থির থেকে, যুক্তিপূর্ণ ভাবে নিজের লেখাটা এবং পড়াশুনা নিয়ে কনফিডেন্টলি সততার সাথে এগিয়ে যাওয়া উচিত প্রত্যেকের। তবে সেক্ষেত্রে সঠিক পথ অবলম্বনের জন্য অবশ্যই সঠিক সম্পাদক বা সঠিক গাইডেন্সের সংস্পর্শে আসা প্রয়োজন।

২৬) আমাদের এবং সকল পাঠকদের কাছে আপনার বার্তা---

উ: ব্ল্যাকহোল পত্রিকার উত্তরাত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি। খুব ভালো কাজ হচ্ছে। অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইলো পত্রিকার জন্য।
আগেই বলেছি পাঠক বিষয়টা নিয়ে আমার কোনো প্রগাঢ় ভাবনা হয় না। তবু এটাই বলবার যে পাঠককে নতুন করে কিছু বলবার থাকে না কারণ পাঠক খুব ভালো করেই জানেন কোন কবিতা এই সময় দাঁড়িয়ে পড়তে হবে, কোন পত্রিকাটা সঠিক ভাবে বেছে হাতে তুলে নিতে হবে বা চোখ রাখতে হবে। পাঠককে কিছু বলবার অপেক্ষায় সে দাঁড়িয়ে না থেকেই কিন্তু কবিতা পড়ে চলে আর পাঠক কবিতা পড়বেই। 


কবিতা ...

ফ্লোরিমিন ছত্রাকিঘর
                  
যথেচ্ছ জল : জলীয় মেঝের বালিদরে কিনে ফেলি আধাআধি চাঁদের জরিমানা। কখনো বা ক্যামন অদূর চিহ্নের তালিকাঘুমে আপনি কাটার আপ্তবিন্দু আস্ত কপালের ক্যাফেটেরিয়া হয়ে যায়। কুড়ুল পাকের গোটানো ঠোঁট চেটে আউড়োমেঘে ত্রিপল বাতাস টানি জোড়পায়ে। আজকাল সজোড়ে মাটি আউরাই ছেঁড়া ঘড়ির বাসি অজুহাতে। ২ কামড়ার ফিকে দোয়াতের দোয়েল বেজে যায় নিটোল আগুনের বিনিময়ের দেওয়ালে। তবু বুনিয়াদি কেবিন নেফাক রুফটব স্রেফ কোকিনের রুবিলচাঁদ ধরে

শেডনাল অ্যানোফ্রেম


কষতে কষতে ভুঁইচাঁদ___

শেষতম মাংসের ফলায় ফলাহারী ঝুলরোদ

চিরে ফেলছে ফের রক্তের উলোট নদীকল

বৈধ ছকের সাওয়ার : সিঁদবাষ্পের দুপুর লুট

লেটলতিফ লুটেড লুফিয়াল___


মেঘেদের স্যাফরণ আর ফোঁটা ফোঁটা ট্রিপলেট

আহাতি চাঁদের আটহাত

গোল বৃত্তের র র চপার : কামড়াচ্ছি লোধ্রগাছ 

তবু মাথার ভিতর ঘন কুয়াশার মালসা ফাটিয়ে

ক্লিনিক্যাল ভোরের জেলখানায় কয়েদ করি 

ঘিলুপোস্তের গোলাঘুম


উপতলীয় সাসপেন্স 


(অ)হেতু ক(উ)য়াশা স্তবে মারমুখী ব্যবধান


হয়তো আলগা অথবা খোল সা রোদের লুট


ব্যাপ্ত ঘুমের বদ্বীপ : চুঁইয়ে পড়ে নিশীথ সূর্যখেদ


১টা দিনের মোরচেজল আর জলেদের  ম্যানড্রেক


লালমাংসের জুবিলী বছর


মিডল মারিনা কুমারী লাভার বিজ্ঞপ্তি 


ধন্যবাদ অনুরূপা ম্যাডাম সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ও সকল পাঠকের তরফ থেকে।   
আপনার সাংসারিক এবং নতুন যুক্ত হওয়া স্কুল জীবনের  ব্যস্ত সময় থেকে আপনার, আমার এবং আমাদের সকলের প্রয়াস সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনে সময় দেয়ার জন্য। ভালো কাটুক আপনার ২০২০ সাল।আপনার স্কুল জীবন এবং সাংসারিক জীবন।  ভালো থাকুন। সাহিত্যে থাকুন।