Tuesday, June 15, 2021

প্রভাত চৌধুরী~জন্মদিনে প্রণাম

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন এবং মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা কে ভালোবেসে উনি অনেক কবিতা আমাদের দিয়েছেন,আমরা প্রকাশ করেছি।পাঠকও আপ্লুত হয়েছেন।আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁর প্রকাশিত কবিতাদের একসাথে সকল পাঠকের কাছে আবারও নিয়ে এলাম।

জ্যেঠু আপনাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং প্রণাম। ভালো থাকুন।সুস্থ থাকুন।আমাদের ঋদ্ধ করুন আপনার লেখায়।

আরো ১ টি কুশলসংবাদ

এই কুশলসংবাদটি লেখা হচ্ছে সাপ্তাহিক ব্লাকহোল - এর জন্য   আমরা জানি Hole-কে বাংলায় গর্ত বা গহ্বর বলে আর গহ্বর = গুহা ধরে নিলে লেখাটি অর্থাৎ কুশলসংবাদটিকে গুহামুখ নিঃসৃত বলা যেতে পারে অতএব কুশলসংবাদ = ভাগীরথী একটি নদীর নাম এই বিশ্বাস ছবি বিশ্বাসের গলায় শুনলে আপনারা বিশ্বাস করতেন আমাকে বিশ্বাস করলে আমি গুহামুখ থেকে যা শোনাব তার জন্য শ্রবণইন্দ্রিয়টিকে আপডেট করতে হবে আরো 80GB মেমোরি অ্যাড করতে হবে হাডডিসকে কুশলসংবাদটি হল আগামী পূর্ণিমাতে চর্যাপদের একদল হরিণ দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিড়িয়াখানা থেকে ছুটে আসবে আমার গুহার দিকে দীপেনদা জানতেও পারবেন না শুনলেন আপনারা আর বললাম আমি

 

অলংকরণ~শ্রী মহাদেব

ব্ল্যাকহোল 

ব্ল্যাকহোল সম্পর্কিত যাবতীয় বিবরণ লিখে রেখেছে

নাসের হোসেন

তার কৃষ্ণগহ্বর গ্রন্থটিতে

 

আমি নতুন করে লিখতে শুরু করলে

আগে লিখব ব্ল্যাক

পরে হোল

 

আর কালোকুকুর এবং কালোগোলাপের প্রতি

আমার আকর্ষণের কথা সকলেই জানেন

হোল-কে ভাষান্তর করে যদি ফাটল-এ

পৌঁছে যাওয়া যায়

তাহলে আমি যুক্তিফাটলের সন্ধানে

রুদ্র কিংশুক-এর কাছে যাব

 

অর্থাৎ নাসের হোসেন থেকে রুদ্র কিংশুক

এটাই আমার ব্যক্তিগত ব্ল্যাকহোল

 

অলংকরণ~শ্রী মহাদেব

সপ্তদশ≈ সিরিজ

 

□ প্রথম

 প্রথম থেকে নির্বাচন করলাম ' প্র ' , প্র আমাকে

পৌঁছে দিয়েছিল একটি প্রবচনে

সেই প্রবচনটি একটি পাঁচ রাস্তার জংশন

এখান থেকে একটি ট্রেন থার্ড ব্রাকেটের দিকে যাচ্ছে

আমি এখন দাঁড়িয়ে আছি ফার্স্ট ব্রাকেটে

 09 .09 .2020♢ 22 : 59

 

□ দ্বিতীয়

 আমি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বিতীয় কবিতাটিতে 

কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বকে ঢুকতে দেব না

একটা পার্শ্বিক ধ্বনি ঘোরাফেরা করবে

আমাদের অজানা নয় , আমরা পছন্দ করি

ধনধান্য থেকে পুষ্পভরা এক ভূখণ্ডকে

 09 .09 . 2020 ♢23 : 12

 

□ তৃতীয়

 তৃতীয়-র সঙ্গে চাঁদের কোনো নিবিড় সম্পর্ক আছে

কিনা জানি না , তবে তৃতীয়ার সঙ্গে আছে

পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার পরের তৃতীয় দিন

তৃতীয়া একটি স্ত্রীবাচক শব্দ, পুংবাচক শব্দটি

দ্বিতীয় এবং চতুর্থ-র মধ্যবর্তীতে বসবাস করে

 09 . 09. 2020♢ 23 : 19

 

□ চতুর্থ

 চতুর্থজনের পকেটে কোনোদিন তুলোটকাগজে লেখা

পুঁথি-র কোনো অংশ চোখে পড়েনি

কাজেই চতুর্থজন নিয়ামক হতে পারবেন না

এটা ভেবে বসবেন না , দেখবেন এই চতুর্থজন

সন্তরণ প্রতিযোগিতার পদকজয়ী

 09 . 09 . 2020 ♢ 23 :30

 

□ পঞ্চম

 পাঁচ একটি শুভ সংখ্যা, এই সংখ্যাটি থেকেই

গঠিত হয় পঞ্চায়েত, এখানে এসেই থেমে যেতে হচ্ছে

কারণ জানানোর অধিকার আমার নেই

আগেই আমি আমার পঞ্চেন্দ্রিয় বা পাঁচটি

ইন্দ্রিয়-কে বন্ধক দিয়েছিলাম ভোটবাক্সে

 10 .09 .2020 ♢ 09 : 26

 

□ ষষ্ঠ

তখন পালকিবাহকের সংখ্যা ছিল ছয়

পালকি বিলুপ্ত-যান রূপে স্বীকৃত হবার পর

এই ' ষষ্ঠ ' সংখ্যাটিল বড়ো বিপদ, এমন কী

শহরাঞ্চল থেকে ষষ্ঠীতলাগুলোও উঠে গেল

জন্মনিয়ন্ত্রণের ঠেলায় মা ষষ্ঠীর কৃপাও  তলানিতে

 10. 09 . 2020 ♢ 09 : 36

 

□ সপ্তম

সপ্তম থেকে সপ্তমীতে যেতে সমর্থ হলেই

সপ্তমী-র অনেকগুলি অপসন: ব্যাকরণপথে গেলে

একটি বিভক্তির দ্যাখা পাব , যেখানে ' বাঘ আছে আমবনে ' , আর 

পুরাণপথে পাবেন সপ্তর্ষি-কে

আর আকাশপথে বিরাজ করেন সপ্তর্ষিমণ্ডল

10 . 09 . 2020 ♢ 10 : 59

 

□ অষ্টম

অষ্টমগর্ভের সন্তানদের সম্পর্কে বলতে শুরু করলে

অন্য বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করা হবে , 

বলা হবে না অষ্টাবক্র মুণিবরের কথা, অষ্টধাতুর গুণাবলির কথা আর 

অষ্টাদশী যে কিশোরীর সঙ্গে আমার অবসরযাপন,গর্জনতেল সহ 

তারা গর্জন করতে শুরু করবে

10 .09 .2020 ♢ 11 : 20

 

□ নবম

নবম-এর একদিকে বিক্রমাদিত্যর নবরত্নসভা

অন্যদিকে বটুকদার নবজীবনের গান , তাহলে তো 

মাছরাঙাপাখিদের কোনো কথা-ই জানানো যাবে না বিল্বদণ্ড বা সারস্বত কথাও, 

আসুন 

দরগা রোডের ৯ নম্বর বাড়ির কলিংবেলটি বাজানো যাক

10 . 09. 2020♢ 11: 43

□ দশম

দশচক্রে যখন ভগবান ভূত হয়ে যান , তখন

কবিরাজ-প্রদত্ত দশমূলের পাঁচন ব্যবহার করা যেতে পারে , এ বিষয়ে 

রূপকথার ডালিমকুমার কী নির্দেশ দিয়েছিলেন, জানা নেই ,

জানা আছে ত্রৈলোক্যনাথের

১০টি ভূতের কথা , ভূতের গল্পকথাও

10 . 10. 2020♢ 12 : 01

 

□ একাদশ

একান্নবর্তী পরিবারের সন্ধান করার আগে একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সন্ধান করুন , 

মনে রাখবেন আপনি এন্ট্রান্স পাশ দিয়ে এখানে এসেছেন, আপনার নাক

' জবাকুসুম '-এর গন্ধ চিনে গেছে 

আলাদা করে প্লেয়ার লিস্টে প্রথম একাদশে আছেন কিনা 

দেখে নিন

10 . 09 . 2020 ♢ 12 : 17

 

□ দ্বাদশ

আমি কোনোদিন দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হইনি , হয় প্রথম একাদশে, 

নচেৎ টিমের বাইরে

অতএব দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকা আমার অজানা

যেমন অজানা খোদার খাসি কিংবা ধর্মসভার অ্যাজেন্ডা , 

মৃদঙ্গ যে বাদ্যযন্ত্র এটা জেনেই বাদ্যযন্ত্র লিখেছি

10 .09. 2020 ♢ 12 : 29

 

□ ত্রয়োদশ

' থার্টিন ' এই বিশেষ্যটির পূর্বপদে ' আনলাকি ' বিশেষণটি কীভাবে জুড়ে গিয়েছিল 

সেগল্প আমার জানা নেই , ইংরেজরা আসার আগে 

ত্রয়োদশ একটি ধ্যানগম্ভীর শব্দ ছিল,

তার খুব কাছেই ত্রিলোক

ভাবছি বেশ কয়েকটি ত্রিপদী রচনা করব

10. 09. 2020 ♢ 21 : 04

 

□ চতুর্দশ

শিব-চতুর্দশীকে কেউ কেউ ভূত-চতুর্দশী বলে থাকেন

আমি কিন্তু সত্য শিব এবং সুন্দরকে একাসনে বসাই

আর চতুর্দোলায় যিনি কেদারনাথ দর্শন  করে এলেন

সেই পূণ্যের কতভাগ তিনি পাবেন তা গণিতের বিষয়

১৪ বছর বনবাসের গল্প সকলেই জানেন

10. 09. 2020♢ 12 :57

 

□ পঞ্চদশ

পঞ্চ + দশ = পঞ্চদশ , আর এই পঞ্চদশের

পাশাপাশি যাঁরা বসবাস করেন ,এঁদের মধ্যে যেমন বিষ্ণুশর্মা-র ' পঞ্চতন্ত্র ' আছেন , 

তেমনি পঞ্চবটীরও সন্ধান পাবেন , আর 

রোগ নিরাময়ের জন্য যাঁরা পঞ্চকর্ম করান 

তাঁদের সঙ্গে আমার দূরত্ব অনেকটাই

 10 . 09. 2020 ♢ 13 : 09

 

□ ষষ্ঠদশ

আমরা ষষ্ঠদশ বা ষোলো সংখ্যাটিকে অনেকভাবে

যোগ করতে পারি, ৮ + ৮ = ১৬ 

আবার ১০ + ৬ = ১৬ 

যোগফল দিয়ে কিছুই প্রমাণিত নয় , বিয়োগফল দিয়েও , 

একমাত্র ষোলো আনা সম্পত্তি বাটোয়ারার

10 .09 . 2020 ♢ 13 : 15

 

□ সপ্তদশ 

সপ্তদশ শব্দটি চোখে এলেই দেখতে পাই

সপ্তদশ অশ্বারোহী ,বলে রাখি, 

আমার কোনো ব্যক্তিগত অশ্বশালা নেই , অশ্বারোহণেও আমি দক্ষ নই , তবু 

অশ্বারোহীদের দেখত পাই, 

অশ্বনীকুমারদ্বয়ের কথা পরবর্তী এপিসোডে

10 . 09. 2020♢14 :21

অলংকরণ~শ্রী মহাদেব


পঙ্ ক্তি- ১০টি 

 ১. ফুলের উ-কার মুছে দিলেই ফল

 ২. তিথি মেনে যিনি আসেন না , তিনিই অতিথি

 ৩. অবচেতনে যে ময়ূরটি নাচে , অতিচেতনায় তার পায়ে নূপুর থাকে

 ৪. পোষা কুকুরকে পোশাক দিয়েই চেনা যায়

 ৫ . বউকথাকও পাখির ডাক কেবল বউরাই শুনতে পায় না

 ৬. ' বেতর ' এবং 'বেতার' -এর পার্থক্য আকাশপাতাল

 ৭. মা-এর কোনো তকমা লাগে না

 ৮. ফড়িং-এর সঙ্গে সারেং-এর যোগাযোগ জলসূত্রে

 ৯. ১টা বছরে ৬টা ঋতু , ঋত্বিক কতজন জানি না

 ১০. ঠিকমতো ফরমান করতে জানলেই সবকিছুই কবিতা হয়ে যায়

 

অলংকরণ~শ্রী মহাদেব



Monday, May 31, 2021

অনুবাদ সংখ্যা || কবি নিসিম ইজেকিল-এর কবিতা অনুবাদে স্বপন শর্মা

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||

কবি নিসিম ইজেকিল-এর কবিতা অনুবাদে স্বপন শর্মা 

কবি পরিচিতি : নিসিম ইজেকিল (১৯২৪--২০০৪) একজন ভারতীয় ইংরেজি ভাষার  কবি। জন্ম ইহুদি পরিবারে। শিক্ষা মুম্বাই  এবং লন্ডনে । তাঁর কবিতা জীবন প্রায় চল্লিশ বছরের । স্বাধীনতা পরবর্তী ইংরেজি কবিতার জনক এই কবি ছিলেন অভিনেতা , নাট্যকার এবং পত্রিকা সম্পাদক । ১৯৫২ সালে তাঁর প্রথম কবিতার বই Time To Change লন্ডনের ফরচুন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় । তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলো হল  Sixty Poems, The Unfinished Man , The Exact Name, Hymns in Darkness , The Night of Scorpion, The Professor, Case Study , Poster Player ইত্যাদি। ১৯৮৩ সালে Latter Day Psalms এর জন্য সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার পান । ১৯৮৮ সালে পান পদ্মশ্রী  । ২০০৪এ তিনি প্রয়াত হন ।

Nissim Ezekiel
 Enterprise   ( original poem )

It started as a pilgrimage,
Exalting minds and making all
The burdens light. The second stage
Explored but did not test the call . 
The sun beat down to match our rage. 

We stood it very well , I thought, 
Observed and put down copious notes ,
On things the peasants sold and bought,
The way of serpents and of goats
Three cities where a sage had taught.

But when the differences arose
On how to cross a desert patch, 
We lost a friend whose stylish prose 
was quite the best of all our batch,
A shadow falls on us --and grows .

Another phase was reached when we
Were twice attacked, and lost our way.
A section claimed its liberty 
To leave the group . I tried to pray.
Our leader said he smelt the sea. 

We noticed nothing as we went,                                                                    
A straggling crowed of little hope,                                                                
Ignoring what the thunder meant , 
Deprived of common needs like soap. 
Some were broken, some merely bent.

When,  finally, we reached the place,
We hardly knew why we were there.
The trip had darkened every face,
Our deeds were neither great nor rare.
Home is  where we have to gather grace.


উদ্দীপনা

 আরম্ভ তীর্থযাত্রার মতো
 উচ্ছ্বসিত মন সব ভার 
 করেছে নির্ভার  । দ্বিতীয় যাত্রা তো 
খুঁজে বার  করেছিল, যাচাই করেনি ডাক তার
সূর্যই মানানসই  করতে দমন করে আমাদের রাগ যত । 

আমরা সয়েছি খুব ভালো , তাই তো ভেবেছি 
কৃষকের বিক্রি করা আর কে্না বস্তুর ওপর
পরীক্ষা নিরীক্ষা , প্রচুর মন্তব্য লিখে গেছি 
রাস্তাটা সাপের আর ছাগলগুলোর  
তিনটি শহরে এক সন্ন্যাসীকে শেখাতে দেখেছি ।

কীভাবে মরুভূমির একটি এলাকা অতিক্রম করে যাই
এ নিয়ে যখন হল অমিল মতের
জাঁকালো গদ্যলেখক এক বন্ধুকে হারাই
 আমাদেরপুরো ব্যাচে  যে শ্রেষ্ঠ মানের ।
আমাদের ওপর ঘনায় এর ছায়া -- যা বাড়ে অনেকটাই ।

যখন হারাই পথ আক্রান্ত দুবার
 পৌঁছোতে আর এক পর্যায়
এক গোষ্ঠি দলত্যাগে দাবি করে অধিকার
 আমি চেষ্টা করি প্রার্থনায়  ।
সমুদ্রের ঘ্রাণ পান, এই উক্তি আমাদের ভেতরে  নেতার । 

যেতেযেতে আমাদের কিছুই হয়নি দেখা
 ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভিড় আশাহীন
বজ্রপাত যা বলতে চায় করেছি উপেক্ষা
বঞ্চনায় সাবানের মতো সাধারণ চাহিদাবিহীন ।
কেউ কেউ ভেঙে পড়ে , কেউ হয় বাঁকা  ।

যখন শেষবেলায় আমরা পৌঁছেছি জায়গায়
আমরা ওখানে কেন, জানিনি কারণ
এ ভ্রমণ ভরে দিয়ে ছিল প্রত্যেকের মুখ কালিমায়
আমাদের কৃতি নয় দুর্লভ ,মহান
বাড়িতেই করে নিতে হবে দাক্ষিণ্য আদায়।


Philsophy  (original poem)

There is a place  to which I often go, 
Not by planning to, but by flow
Away from all existence, to a cold
Lucidity, whose will is uncontrolled.
Here , the mills of God are never slow.

The landscape in its geologic prime
Dissolves to show its quintessential slime.
A million stars are blotted out . I think
 Of each historic passion as a blink
That happened to the sad eye of Time.

But residues of meaning still still remain, 
As darkest myths meander through the pain
Towards a final formula of light.
I ,too, reject that clarity of sight ::
What cannot be explained, donot explain.

 The mundane language of the senses sings
Its own interpretations, Common things                                                        
Become , by virture of their commonness, 
An argument against the nakedness,
That dies of cold to find the truth it brings .

দর্শন 
 
 প্রায়শ একটি এলাকার দিকে আমি যাই 
না কোন পরিকল্পিত নয়, এক প্রবাহের সঙ্গে ধাই 
সমস্ত অস্তিত্ব থেকে দূর,  শীতল স্বচ্ছতা   যার কাছে                                    
এক নিয়ন্ত্রণহীন ইচ্ছেটা রয়েছে
ঈশ্বরের কল্গুলো এখানে কখনো ধীর লয়ে চলে নাই। 

ভূতত্ত্বের প্রধান অবস্থা দৃশ্য প্রকৃতির 
গলন দেখাতে কর্দমাক্ত নির্যাস এটির
লক্ষ লক্ষ তারকারা মুছে যায় ।
প্রতিটি ঐতিহাসিক ভাবাবেগ আমি ভাবি পলকে হারায় 
সময়ের দুঃখী চোখে ভবিতব্য নিয়তির ।

অর্থের অবশিষ্টাংশ তবু থেকে যায়
যেমন অন্ধকারের মিথগুলোএঁকে বেঁকে চলে যন্ত্রণায় 
আলোর চুড়ান্ত এক সূত্র, যার দিকে  
আমিও এড়িয়ে যাই দেখার সে  স্বচ্ছতাকে
ব্যাখ্যা করোনা যা ব্যাখ্যাতীত হয়ে যায় । 

বোধের পার্থিব ভাষা গায় তার গান 
নিজের ব্যাখ্যান ।
গুণের কল্যাণে সাধারণ বস্তু থাকে সাধারণ,
নগ্নতার বিপরীতে এক হিমেল ছোঁয়ায় যুক্তির মরণ
 পেতে গিয়ে  বয়ে আনা সত্যের সন্ধান । 


Poet, Lover, Birdwatcher ( original poem )

To force the pace and never to be still
Is not the way of those who study birds 
or women.The best poets  wait for words .
The hunt is not an exercise of will
But patient love relaxing on a hill 
To note the movement of a timid wing ;
Until the one who knows that she is loved
No longer waits but risks surrendering---
In this the poet finds his moral proved, 
Who never spoke before his spirit moved.

The slow movement seems, somehow, to say much more. 
To watch the rarer birds , you have to go
Along deserted lanes and where the rivers flow
In silence near the source, or by a shore
Remote and thorny like the heart's dark floor.
And there the women slowly.turn around, 
Not only flesh and bone but myths of light
With darkness at the core, and sense is found
By poets lost in crooked, restless flight, 
The deaf can hear, the blind recover sight.


কবি, প্রেমিক , পাখি পর্যবেক্ষক

যারা পাখি কিংবা  পাঠে মগ্ন নারীদের                                                            
তাড়াহুড়ো আর সর্বদা অশান্ত  থাকা 
তাদের চলার পথ নয়। উৎকৃষ্ট কবিরা শব্দের অপেক্ষা করে                             
এই খোঁজ কিন্তু নয় প্রয়োগ ইচ্ছের 
বরং এটি  ধৈর্য ধরে প্রেম অবসরে থাকা পাহাড়ের 
লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে এক  ভীরু ডানার চলন; 
যতক্ষণ পর্যন্ত না কারও অনুভব  তাকে ভালোবাসে কেউ
অপেক্ষা না করে বরং ঝুঁকি নেবে সমর্পণ ---
 কবি খুঁজে পাবে এতে  প্রমাণিত নৈতিক দৃঢ়তা  
 অন্তরাত্মা এগোনোর আগে কখনো ভাঙেনি তার স্বভাব মৌনতা 

মনে হয়  বহু কিছু বলে ধীরে চলাচল 
দেখতে বিরল পাখি পরিত্যক্ত সরু গলি ধরে
তোমাকে যেতেই হবে যেখানে নদীরা নীরব উৎসমুখের কাছে
 কিংবা কোন এক দূরবর্তী তীর ধরে  চলাচল
 যেমন কাঁটায় ভরা হৃদয়ের অন্ধকার গৃহতল 
  যেখানে দাঁড়ায় ঘুরে মহিলারা ধীরে ধীরে
 আলোর মিথের মধ্যে মাংস আর হাড় ছাড়া
 গূঢ় অন্ধকার দিয়ে , সেই কবিদের বোধ আসে ফিরে 
কপট , চঞ্চল উড়ালের মধ্যে যারাই হারায়,
কালা কানে শোনে , আর  অন্ধ দৃষ্টি ফিরে  পায় । 


অনুবাদ সংখ্যা || কবি রঘুবীর সহায়-এর কবিতা অনুবাদে স্বপন নাগ

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||

কবি রঘুবীর সহায়-এর কবিতা অনুবাদে স্বপন নাগ 

কবি পরিচিতি : ১৯২৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের রাজধানী শহর লখনউয়ে জন্মগ্রহণ করেন কবি রঘুবীর সহায়। হিন্দি কবিতায় রঘুবীর সহায়ের অবদান তাঁর অভিব্যক্তির সহজিয়ানার বিশিষ্টতায় আজও উজ্জ্বল। 'সীঢ়িয়োঁ পর ধূপ মেঁ', 'হঁসো হঁসো জল্দী হঁসো', 'আত্মহত্যা কে বিরুদ্ধ', 'এক সময় থা', 'কুছ পত্তে কুছ চিঠ্ঠিয়াঁ' তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ। ১৯৮৪ সালে তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'লোগ ভূল গয়ে হ্যায়'-র জন্য তাঁকে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
                                     ১৯৯০ সালের ৩০শে ডিসেম্বর কবি রঘুবীর সহায়ের জীবনাবসান হয়।


আগে বদলাও

প্রথমে সে জানতে চাইল, কেমন আছি
তারপর, হঠাৎই বিষয় বদলে বলল --
          আজকাল যা সমাজ দেখছি,
          আমি চাই, তুমি বদলে যাও।

একটু পরেই : এখনো অবধি তুমি যে অচল
          তা কিন্তু প্রমাণিত।
আর, বদলাও একারণেই
শেষে বলল, আগে নিজেকে বদলে দেখাও
          তারপরই তোমার সঙ্গে কথা হবে।


 पहले बदलो

उसने पहले मेरा हाल पूछा
फिर एकाएक विषय बदलकर कहा आजकल का
समाज देखते हुए मैं चाहता हूँ कि तुम बदलो
फिर कहा कि अभी तक तुम अयोग्य साबित हुए हो
इसलिए बदलो,
फिर कहा पहले तुम अपने को बदलकर दिखाओ
तब मैं तुमसे बात करूंगा।

আজ আবার শুরু হল

আজ আবার শুরু হল জীবন

আজ একটা ছোট ও সহজ কবিতা পড়েছি
অনেকক্ষণ ধরে আজ সূর্যাস্ত দেখেছি

তৃষ্ণা মিটিয়ে ঠান্ডা জলে স্নান করেছি আজ
একটি ছোট্ট মিষ্টি মেয়ে খিলখিল হাসিতে
চড়ে বসেছে আমার কাঁধে
আজ শুরু থেকে শেষ অব্দি পুরো একটা গান গাইলাম

আবার শুরু হল জীবন, আজ।


आज फिर शुरू हुआ


आज फिर शुरू हुआ जीवन

आज मैंने एक छोटी-सी सरल-सी कविता पढ़ी
आज मैंने सूरज को डूबते देर तक देखा

जी भर आज मैंने शीतल जल से स्नान किया

आज एक छोटी-सी बच्ची आई,किलक मेरे कन्धे चढ़ी
आज मैंने आदि से अन्त तक पूरा गान किया

आज फिर जीवन शुरू हुआ ।

এ-ই আমি

এ-ই আমি
আর আমি যখন এরকমই
আমার প্রিয়, অবসন্ন, তারই মত পোষাকে
বিষণ্ণ মনে ভেসে ওঠে পিতার ছবি --
কষ্ট থেকে যার নিষ্কৃতি জুটল না আজও

সেই পিতারই অনুকৃতি আমি
আমি এ-ই।

यही मैं हूं


यही मैं हूँ
और जब मैं यही होता हूँ
थका, या उन्हीं के से वस्त्र पहने, जो मुझे प्रिय हैं-
दुखी मन में उतर आती है पिता की छवि
अभी तक जिन्हें कष्टों से नहीं निष्कृति
उन्हीं अपने पिता की मैं अनुकृति हूँ
यही मैं हूँ।

অনুবাদ সংখ্যা || কে সচ্চিদানন্দন-এর কবিতা অনুবাদে দেবলীনা চক্রবর্তী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||

কে সচ্চিদানন্দন-এর কবিতা অনুবাদে দেবলীনা চক্রবর্তী 

কবি পরিচিতি : কে সচ্চিদানন্দন (১৯৪6) একজন ভারতীয় কবি  এবং সমালোচক, মালায়ালাম এবং ইংরেজি এই দুই ভাষায় তার কলমের অবাধ যাতায়াত। মালায়ালাম ভাষার আধুনিক কবিতার প্রবর্তক তিনি, দ্বিভাষিক সাহিত্য সমালোচক, নাট্যকার, সম্পাদক, কলাম লেখক এবং অনুবাদক কে সচ্চিদানন্দন  ভারতীয় সাহিত্য জার্নালের প্রাক্তন সম্পাদক এবং সাহিত্য আকাদেমির প্রাক্তন সম্পাদক। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ বর্ণবিরোধী বিষয়ে, পরিবেশ ও মানবাধিকার এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক বিষয়গুলিতে সুপরিচিত বক্তা। আজ তাঁর মূল মালায়ালাম তিনটি ( মূল লেখাগুলির ইংরেজি অনুবাদ স্বয়ং কবির এবং ইংরেজি থেকে হিন্দি অনুবাদ করেছেন বোমেশ শুক্লা ) লেখার অনুবাদ করার যথাযথ চেষ্টা করলাম। 

शाकुंतलम / के० सच्चिदानंदन

हर प्रेमी अभिशप्त है
भूल जाने को, कम से कम कुछ देर के लिए
अपनी स्त्री को : जैसे विस्मरण की नदी
अपने ही प्यार पर बाढ़ ला दे

हर प्रेमिका अभिशप्त है
तब तक भुला दिए जाने को जब तक उसका रहस्य
स्मृति के जाल में फँस नहीं जाता

प्रत्येक शिशु अभिशप्त है
पितृहीन बड़ा होने को
शेर के मुँह में अपना हाथ डालकर


অনুবাদ : শকুন্তলম্ 

প্রত্যেক প্রেমিক যেন অভিশপ্ত 
কেননা অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও
নিজের স্ত্রী'কে ভুলে যাওয়া,
যেন সে এক বিস্মরণের নদী 
নিজেই প্রেমের পাথারে প্রলয় ডেকে আনে

প্রত্যেক প্রেমিকাও হলো অভিশপ্ত 
ততক্ষণ নিজেদের ভুলিয়ে রাখতে সক্ষম যতক্ষণ না তার রহস্য স্মৃতির জালে জড়িয়ে পরে 

প্রত্যেক শিশুও হলো অভিশপ্ত 
পিতৃহীন বড় হয়ে ওঠার জন্য 
 বাঘের হাঁ মুখের সামনে নিবেদিত সে এক প্রাণ।


हिन्दू / के० सच्चिदानंदन

मैं एक श्रेष्ट हिन्दू हूँ
मैं कुछ नहीं जानता
कोणार्क या खजुराहो के बारे में
मैंने कामसूत्र को छुआ तक नहीं है
मैं उल्टी करने लगूंगा अगर दुर्गा या सरस्वती को
नग्न देख लूँ हमारे देवी देवता कामहीन हैं
जो कुछ भी उनका था
हमने चढ़ा दिया काशी और कामाख्या पर
कबीर के राम को हमने कैद कर लिया
अयोध्या में, और गाँधी के राम को,
उनके अपने जन्मस्थल पर ज़िंदा जला दिया
भगवा ध्वज से अपनी आत्मा को बदल डालने के बाद
हरेक भिन्न रंग मुझे पागल कर देता है
निकर के नीचे मेरे पास....एक चाकू है
औरतों के सिर चूमने के लिए नहीं
काट डालने के लिए होते हैं

অনুবাদ : হিন্দু 

আমি একজন শ্রেষ্ট হিন্দু 
কারণ আমি কিছুই জানি না 
কোণারক বা খাজুরাহ সম্বন্ধে
আমি কামসূত্র কখনো ছুঁয়েও দেখি নি 
আমার পিত্ত উঠে আসে যদি আমি 
দেবী দূর্গা বা সরস্বতীকে বস্ত্রহীন দেখে ফেলি 
আমাদের পূজিত দেব - দেবীগণ ছিলেন কামহীন
আর যদি কিছু থেকেও থাকে তা আমি বিসর্জন দিয়ে এসেছি কাশি ও কামাখ্যার সিদ্ধ স্থানে 
কবীরের ' রাম ' কে আমরা বন্দী করে রেখেছি 
অযোধ্যায় আর গান্ধীজির ' রাম ' কে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিয়েছি তাঁরই সমাধিস্থলে 
গেরুয়া ধ্বজা গায়ে জড়িয়ে নিজের আত্মশুদ্ধির পর
 অন্য যে কোনো রং উন্মাদ করে দেয় আমায়
 আমার আস্তিনের নিচে .... একটা ছোরা আছে 
 নারীর সম্মান রক্ষার জন্য নয় ...
  কেটে ফেলার জন্য রাখা থাকে।
  

राष्ट्र / के० सच्चिदानंदन

राष्ट्र ने मुझसे कहा
तुम मेरे ऋणी हो
हवा के लिए जिसमें तुम साँस लेते हो
पानी के लिए जो तुम पीते हो
खाने की रोटी के लिए
चलने-फिरने की सड़क के लिए
बैठने की ज़मीन के लिए

मैंने राष्ट्र पूछा
तब जवाब कौन देगा ?
मेरी माँ को जिनका गला घोंट दिया गया
मेरी बहन को जिसने ज़हर पी लिया
दादी को जो भीख माँगती भटकती रही
मेरे पिता को जो भूख से मर गए
मेरे भाई को जो तुम्हें आज़ाद कराता हुआ जेल चला गया

मैं किसी खेमे की नहीं हूँ, हवा ने कहा
कोई मेरा मालिक नहीं, पानी ने कहा
मैं ज़मीन से पैदा हुई, रोटी बोली
मैं सीमाओं की परवाह नहीं करती, सड़क ने कहा
घास का कोई दोष नहीं होता, ज़मीन ने कहा

तब प्यार के साथ
राष्ट्र ने मुझे ऊपर उठा लिया
गोद में और कहा
अब क्या तुम मानते हो कि राष्ट्र सचाई है ?
लहुलुहान गर्दन से गिरता ख़ून ज़मीन पर फैल गया
' राष्ट्र की जय हो '


অনুবাদ : রাষ্ট্র

 রাষ্ট্র আমাকে বললো,
 তুমি আমার কাছে ঋণী
 শুদ্ধ বাতাসের জন্য যা তুমি শ্বাসে গ্রহণ করো
 জলের জন্য যা তুমি পান করো
 রুটির জন্য যা তুমি ভক্ষণ করো
 চলা ফেরার রাস্তার জন্য 
 পায়ের তলার জমি বাসস্থানের জন্য 

আমি যদি রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করি 
তবে কে উত্তর দেবে ? 
যে আমার মাকে টুটি চেপে মেরেছে
আমার বোন যে বিষ খেলো
বুড়ি দাদী যে ভিক্ষার ঝুলি হাতে ফিরেছে
আমার বাবা যে খিদের জ্বালায় মরেছে
আমার ভাই যে তোমায় স্বাধীন করতে গিয়ে জেল খেটেছিল

তখনই
আমি কারুর দলে নয় ... হাওয়া বললো
আমার কেউ প্রভু নেই .... জল বললো
আমি মাটির বুকে জন্মেছি ... রুটি বললো
আমায় কোন সীমারেখা বাঁধতে পারে না... রাস্তা বললো
ঘাসের কোন দোষ থাকে না .... জমিন বললো

 রাষ্ট্র আমাকে সস্নেহে
কোলে তুলে নিয়ে বললো 
এখন কি তুমি রাষ্ট্রের বৈধতা স্বীকার করছো ?
তখনই রক্তাক্ত গর্দান থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ভিজিয়ে দিতে লাগলো মাটি ...

" রাষ্ট্রের জয় হোক "


অনুবাদ সংখ্যা || ড. বি এস এম মুর্তি-র কবিতা অনুবাদে মাসুদুল হক

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||

ড. বি এস এম মুর্তি-র কবিতা অনুবাদে মাসুদুল হক 

কবি পরিচিতি : ড. বিএসএম মুর্তি, ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট বিহারী লেখক। যিনি নিপুণতার সঙ্গে একবিংশ শতাব্দীতর এই সময়ে তার দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।তিনি মঙ্গল মুর্তি নামে খ্যাতিমান। মূলত কবি, লেখক, জীবনীবিদ এবং অনুবাদক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।  তার  পিতা, পদ্মভূষণপ্রাপ্ত হিন্দি লেখক  আচার্য শিবপুজান সহায়।এই পরিণত বয়সেও ড. মুর্তি প্রতিদিন ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় সৃজনশীল লেখার কাজে মগ্ন থাকেন। ১৯৯৯ সালে সাহিত্য একাডেমি থেকে তার দুটি ব‌ই প্রকাশিত হয়েছিল। ২০২০ সালে তার চারটি নতুন বই  প্রকাশিত হয়েছে। মুঙ্গারের (বিহার) একটি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে তিনি  ভারতে এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের পাঠদানে অনন্য ভূমিকা পালন করেন। প্রায় চার দশক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পর ১৯৯৯ সালে তিনি বিহারের মাগধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তিনি ২০০২ সাল পর্যন্ত ইয়েমেনের তাইজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান সাহিত্য ও ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।বর্তমান লাখনৌতে বসবাস করছেন। 

मेरी तलाश 

नहीं, वहाूं मत ढूूंढना मुझे
मेरे चले जाने के बाि...
नहीं पमलूूंगा मैं तुमको
उस घूमने वाली कुसी िर
पजसके िपहयों िर सरकता
मैं अिनी दकताबों के िास
या किड़े वाली अलमारी
या जूते वाली रैक के िास
आसानी से चला जाता था
नहीं, मेरी छड़ी से भी मत िूछना कु छ
जो खोजेगी मुझको वहीं खड़ीखड़ी-
आईने के िास, और िूछेगी कूं घी से
मेरा हालरठकाना-,और आईना
मुस्कु राएगा चुिचाि मेरे सारे
अक्स अिने िहलू में गहरे छुिाए
टुकु रटुकु र ताकें गी मेरी दकताबें-
सब आलमारी के शीशों में से
जैसे उनको ़िूब िता है मैं
कहाूं गया हूं, िूरबहुत िूर कहीं-
उसी िुपनया में पजसका िूरा
ितारठकाना पलखा होता है-
उन्हीं के दकन्हीं िन्नों कहीं िर
इशारे से वे बताने की कोपशश करेंगी
दक तुम मुझे बस उधर ही ढूूंढना
दकताबों के उन्हीं िन्नों में कहीं
जहाूं मेरे पमलने की थोड़ी उम्मीि होगी
अिरों और शब्िों की कतारों के बीच
कहीं गहरी नींि में सोए हुए।

আমার খোঁজ 

না, আমাকে সেখানে খুঁজে পাবে না
আমি চলে যাওয়ার পরে ...
আমাকে দেখতে পাবে না
সেই ঘুরে বেড়ানো চেয়ারে
দুই চাকার উপর 
 আমার পছন্দের ব‌ই
বা কাঠের আলমারি
বা জুতোর তাকে
যেখানে যেতাম সহজে
না,আমার  আর লাঠির‌ও প্রয়োজন হবে না 
আমাকে ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবে-
তবে তা আয়নার ধুলোয়, আর আমি ঘি মেখে
শরীরের যত্ন নিয়ে চলে যাব এবং আয়নায় 
 হাসতে থাকা আমার জীবন 
তোমার শরীরে প্রায়শই গভীর স্পর্শ করবে
আমার ব‌ইয়ের তাকে 
সমস্ত আলমারিতে--আমার স্পর্শ পাবে‍; 
যারা আমাকে আজ‌ও ভালবাসে 
 দূরে কোথাও যেখানে আমি আছি 
একই কুঁড়েঘরে
সেখানে প্রসাধনে মুখ রাঙানো সঙ্গী 
সে তার  নিজের জায়গা থেকে 
 অঙ্গভঙ্গিতে হয়তো কিছু বলার চেষ্টা করবে
তুমি আমাকে সেখানে খুঁজে পাবে
কোথাও বইয়ের একই পাতায় 
গভীর ঘুমে দূরে কোথাও 
শব্দ এবং শব্দসারির মাঝে
হয়তো আমাকে সামান্য দেখার সুযোগ পাবে। 

चरवाहा 

मैं नहीं हूं उन थोड़े से बहुतों में
भेंड़चाल के उस गड्डमड्ड झुूंि में
छोटी कटी सटकी िूूंछ वाली
पसर गोते एकिूसरे को धदकयाती-
बढती भागती िौड़ती भेंड़भेंपड़़ि की-
उस गड़बड़सड़बड़ भीड़ में-
और मुझको नहीं लगा मैं उनमें
दकसी एक काली भेंड़ जैसा भी हूं
अिनी िूूंछ सटकाए उनमें गुम हो जाने की
बेमतलब कोपशश करता हुआ
मैं तो खड़ा रहा वहीं चुिचाि
रस्ते केएक दकनारे
उस चरवाहे की बगल में
जो अिनी लाठी से ठोढी रटकाए
खड़ा था वहाूं न जाने क्या सोचता हुआ।


রাখাল

আমি ন‌ই সেই কয়েকজনের একজন 
যে ভেড়ার পালে
লেজ‌ওয়ালা ছোট্ট লাঠি নিয়ে 
অগোছালো ভিড়ে
এলোমেলো হেঁটে চলা 
ভেড়া পেটানো রাখালছেলে 
এবং আমি মনে করি না যে 
আমি ছিলাম তাদের মধ্যে 
কালো ভেড়ার মতো
যেখানে 
সে কারো গোঁফে হারিয়ে গেছে 
নিরলসভাবে
আমি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম 
এবং ভেবেছিলাম
এ পথ ধরেই
আসবে সেই 
আগামীর রাখালছেলে 
যে তার লাঠির সঙ্গে কথা বলে 
 এবং সে নিজে কী ভাবে তা না জেনেই
 সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে।


सुनो िाथि!

जब कभी तुम्हें लगता है
एक घोर अूँधेरा अिने चारों ओर
जब कु छ नहीं सूझता तुम्हें
उस घुप्ि अूँधेरे में
जब साूंस घुट रही होती है तुम्हारी
उस काले अभेद्य अूँधेरे में
और दिल िूब रहा होता है तुम्हारा
तब कौन अचानक
तुम्हारा हाथ थाम लेता है?
कौन िेता है सहारा तुम्हें
तुम्हारी िीठ िर
अिना हाथ रख कर?
और तभी तुम्हें दिखाई िेती है
प्रकाश की एक दकरण फू टती हुई
उस काले घने अूँधेरे में भी
साूंस में साूंस लौट आती है तुम्हारी
एक मुस्कराहट छा जाती है तुम्हारे होठों िर
और चमक उठती हैं तुम्हारी आूँखें
जब उस दकरण की जोत से
तब तुम्हें नहीं लगता वह तुम्हीं हो?
तुम्हीं तो वह कृ ष्ण हो
और तुम्हीं हो अजुिन भी!
 
শোন!

তুমি যখনই ভাব
চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে মোটামুটি অন্ধকার
তুমি যখন কিছুই বুঝতে পার না
সেই অন্ধকারে
যখন তোমার শ্বাস ফেটে যাচ্ছে
 অন্ধকারের আরো দুর্ভেদ্য আঁধারে
এবং তোমার হৃদয় মরে যাচ্ছে
তখন হঠাৎ কে
তোমার হাত ধরে?
কে তোমাকে সহায়তা দেয়
তোমাকে তোমার মৃত্যুর
 হাত থেকে বাঁচাতে?
এবং কেবল তখনই তুমি দেখতে পাবে
আলোর ঝলকানি
এমনকি সেই ঘোর ঘন অন্ধকারেও
তোমার  স্বামী ফিরে আসে নিভৃতে 
তোমার ঠোঁটে হাসি ফোটে 
এবং তোমার চোখে ঝলকানি ওঠে
জীবনবৃক্ষটি ধারণের সময়
তাহলে কি তুমি ভাববেন না তাকে?
তুমিই কৃষ্ণ
 তুমিই আগন্তুক!