Thursday, December 31, 2020

১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ সুজল সাহা

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||    

সুজল সাহা

শূন্যকাল


এক
অন্ধকার পাকদণ্ডী মায়াময় গিরিখাত আমাকে বিপথে চালায়...

দুই
ঈশান কোণের মায়াজন্ম কামনার রঙ নিশ্চল তোমাকে জাগায়...

তিন
জলের গভীর থেকে আনা তোমার কাঠামো শবসাধনার পাঠ নিই...

চার
রাতজাগা চোখে হেমন্তের নদী ঘাসের শিশির নিঝুম তোমার ইশারা...

পাঁচ
তমসার প্রাণকেন্দ্র সুদূরপ্রসারী ইউনিভার্সের কুশীলব একতারা তুমি...

ছয়
খিদের সহজ ভাষা গলি থেকে রাজপথ অনিবার্য মনে হয়...

সাত
হরিয়াল পাখিটির মত রৌদ্রোজ্জ্বল তুমি দূরের আকাশে বাঁধনহারা...

আট
আগুন ডানায় লিরিল সুন্দরীর ফেনা অন্ধকার ঠোঁট বৃষ্টি নামায় তুমুল...

নয়
হেমন্ত কুয়াশা পায়ের তলার মাটি নির্বিকার তোমাকে স্বাগত জানায়...

দশ
ফিনিক্স পাখির ডানায় তবু জাগে লোভ লালসার এই শূন্যকাল...

১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ হারাধন চৌধুরী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||   

হারাধন চৌধুরী

বাতাসের দশচক্র

 

বাতাসের তেঁতুলপাতায় আমাদের নয় সুজনের আরাম কেদারা

বাতাসের একটা ঘরেই আমাদের সকলের সহস্র বছরের বসবাস  

৩ 

মৃত্যুর বড় মূলধন আমাদের নেই, বাতাসে ছড়িয়ে দিই অতএব

৪ 

অরিজিনাল মুখেই ঝুলিয়ে রাখি হাসির মুখোশ, মুক্ত বাতাস মতন

ভিতর থেকে ফোকলা দাঁতের হাসির সত্যাসত্য বাতাস শুধু জানে

দ্বন্দ্ব থেকে বহুব্রীহিতে গতায়াতের ম্যাজিক টাচ ছিল বাতাসে

বাতাসের বুকে কান পাতি যেই তোমার নরমে উষ্ণ হই

ছাপার অক্ষরগুলি বাতাস সাঁতরে এসে শ্রেষ্ঠতার মুকুট তুলে ধরে

৯ 

কোলাহলের আড়ালে আমি নির্জনতম হয়ে যাই বাতাসি রঙে

১০

ভালোবাসার ভাগ দেয়া নিয়ে সংশয় থাকবে, তবে প্রিয় বাতাসের ভাগ হবে না

১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ বিশ্বজিৎ দাস

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  

বিশ্বজিৎ দাস

কুকুরের জন্য প্রশ্নাবলী

১.
লালার ভিতরে থাকে শিকারের টোপ?

২.
দুপাশে নির্মিত দাঁত আদরের ছাপ?

৩.
লোমের দুরূহ গাঙে সোহাগের তিল?

৪.
প্রভুর ঘুমের কাছে ঈর্ষা কি ঘুমায়?

৫.
মাংসের দুলুনিতে রক্তের ঝুল নামে?

৬.
আরাধ্য দেবতা নও যে আয়নাকুকুর দেখো প্রয়াত ছায়ায়?

৭.
কুকুরের প্রাইভেসি নিয়ে আমার কি প্রশ্ন করা ঠিক হবে?

৮.
জন্মের নখওয়ালাচোখে সোহাগ করো বড় বেশি আজকাল?

৯.
নির্লজ্জকরণ শুরু হলে, পূর্বপুরুষের ঘুম ভাঙে স্বাদ?

১০.
পোশাকের খুব কাছে শুয়ে থাকে আমাদের বিশিষ্ট কুকুর?

১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||   

 শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়

স্বগতোক্তি

১. মনকেমন গাঢ় হলে কার্নিশে এসে বসে ধূসর পাখিটি।

২. আলোকিত অক্ষরের পাশে দীর্ঘশ্বাস হয়ে বহুদিন ছেদচিহ্ন দাঁড়িয়েছে এসে।

৩ .পাখির পালক জানে ঘরে ফেরার গান।

৪. তুমিও বোধহয় ঠিক বুঝতে পারোনি দেহজুড়ে ভরপুর মাটি, মন জুড়ে অবুঝ তরণী

৫ . তোমার দু চোখ ডেকে নিলে শেষ হয় একটি বিরহ।

৬. তোমার আমার বিশ্বাসের মাঝে রাখা আছে একখানি দীর্ঘ চুম্বন।

৭. পক্ষীরাজ ডানা ফেলে গেছে শালবনে, চলো তার পালক কুড়োই।

৮. পাহাড়চূড়োর দিকে উড়ে গেছে আলোর পাখিটি।

৯. প্রতিটি সভার শেষে মানুষ একলা হয় আরো।

১০.সব পথই মাঝপথে রেখে বেঁকে যায়।


১-লাইনের কবিতা সংখ্যা≈ অরণ্যা সরকার

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  

অরণ্যা সরকার

হৃদিগল্পের ছাঁটকাট


এক

অমিল সরাতে সরাতে মাধুর্য ফুরোয়।

দুই

কাঠচেরাইয়ের শব্দে টেবিল বনসাইদের আর ভয় নেই।

তিন

সমস্ত সাইকেল বেল আজ প্রেসারকুকারে বাজে।

চার                                                                 

চূড়ান্ত মানেই কিছু জমানো সুখের মরামাস।

পাঁচ

নদী কমে আসছে, হাঁগুলো ক্রমশ অস্থির।

ছয়

রটনা পেরোনো এক বিযুক্তি মাত্র।

সাত

নুনকথা থিতু হলে জাদু ও বাস্তবের বাওয়াল বেড়ে যায়।

আট

এখন মুঠোর কুয়োয় তেষ্টাভেজানো দিন, নেবে? 

নয়

ফুলগামী বাতাসেরা ফেরত আসে না।

দশ

অকর্মকক্রিয়া সাজিয়ে দিচ্ছে বীজের সন্ন্যাস।