Sunday, October 4, 2020

| নভেলেট | ডারউইনের চিঠি |

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
| নভেলেট |
অরিজিৎ চক্রবর্তী

ডারউইনের চিঠি ~ ৫ ম পর্ব 

১০.০৫.৯০
---------------
দেখতে দেখতে একটার পর একটা দিন পার হয়ে যায়। সম্মোহের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ও কম হয়। সম্পর্কটা কেমন যেন মরচে ধরছে। এরজন্য আমি একমাত্র দায়ী। সম্মোহের অভিযোগ থাকাটাই স্বাভাবিক। তাও কিছু করার নেই। সংসারের জাঁতাকলে লীমা আটকে গেছে। নিজের কথা ভাবতে গেলেই অনেক ভাবনা জড়ো হয়। মায়ের করুণ মুখটা ভেসে ওঠে। ভাইয়ের একটা কিছু হলে, একটু নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গেলে আমি স্বাধীন। আর কোনো জবাব দিহি নেই। সম্মোহ চাইলে আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারতো। আর একটু জোর করতে পারতো আমাকে। আমি সম্পর্কটা ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিলাম।‌

সারাদিন খাটাখাটনির পর আজকাল আর ঘুম আসে না। অপরাধবোধ কাজ করে। সম্মোহকে মনে পড়ে। খুব মনে পড়ে!

কদিন আগেও মাঝে মধ্যে তাপসদা ঘাটশিলা থেকে অফিসে ফোন করতো। লীমার খোঁজখবর নিতো। আজকাল আর তাপসদার ফোন আসেনা হয়তো সম্মোহ কিছু বলেছে

লীমা চোখের জল আটকে রাখতে পারে না। শুয়ে শুয়ে বালিশ ভিজিয়ে ফেলে। চোখ দুটো ভারী হয়ে আসে। মাঝে মাঝে একটা অনাবিষ্কৃত দ্বীপের মতো নিজেকে মনে হয়।যুদ্ধ শুরু হয়। ছায়াযুদ্ধ! নিজের সঙ্গে। স্মৃতির সঙ্গে

আজ বিকেলে অফিস ফেরতা   দীপার বাড়িতে যেতে হবে। জন্মদিনের নেমন্তন্ন। কি উপহার দেওয়া যায় ভাবতে ভাবতে লীমা একটা পারফিউম কিনে ফেলল দীপাকে উপহার দেওয়ার জন্য। পারফিউমের গন্ধ পছন্দ করতে করতে সম্মোহের কথা বারবার মনে আসছিল লীমার। সম্মোহ বরাবরই পারফিউম ভালোবাসে।লীমা মাঝে মাঝেই সম্মোহকে নানান সুগন্ধ যুক্ত পারফিউম উপহার দিত। আজ দীপার সঙ্গে প্রায় বহুদিন পর দেখা হবে। লীমার সঙ্গে যে সম্মোহের আর সম্পর্ক নেই এটা দীপা জানে না। জানানোর ফুরসৎ হয়নি

দমদম থেকে ব্যারাকপুর লোকালে ওঠার পর লীমার কানে এলো হারমোনিয়ামের শব্দ। কিছুটা এগিয়ে দেখলো একজন অন্ধ বৃদ্ধ। সর্বস্ব মেলে ধরা এক হারমোনিয়ামের ক্ষয়ে যাওয়া রিড গুলোতে শীর্ণ আঙ্গুল চালিয়ে কিছু একটা গাওয়ার চেষ্টা করছে। যার অধিকাংশই ট্রেনের শব্দে শোনা যাচ্ছে না। বাইরের ধাবমান আকাশটাকে দেখে লীমার মনে হলো দিশাহীন যন্ত্রনার মতো পড়ন্ত বেলার় সূর্যের লাল আভা মেখে কালচক্রের দিকে ফিরে যাচ্ছে

---"না। দীপাকে আজ কিছু জানানোর দরকার নেই। " ব্যারাকপুর স্টেশনে নেমে লীমা মনে মনে কিছুটা সাজিয়ে নিলো পরবর্তী মুহূর্তের প্রেক্ষাপট। তারপর একটা রিক্সা ধরে ওয়্যারলেসের মাঠ। দীপাদের বাড়ি

"আয় আয় ভেতরে আয়" লীমাকে দেখেই দীপা যেন আরো খানিকটা চনমনে হয়ে উঠলো

দীপাদের পাশের বাড়ির মাসিমা লীমাকে একঝলক দেখেই বলে উঠলেন," নেমন্তন্ন কবে পাচ্ছি। আমাদের জামাই কই! তাকে ইচ্ছে করেই সঙ্গে নিয়ে আসনি তাই না!"

ঘরের অন্যান্য লোকজন মাসিমার কথার ভঙ্গী দেখে ফিকফিক করে হাসছিল

লীমা বললো," তা কেন মাসিমা। তোমার হবু জামাই নিজের কাজ নিয়ে সব সময় ব্যস্ত। তার কি অত সময় আছে! এবার ভাবছি তোমার এই জামাইটিকে আমি বাতিল করবো।"

কথার পিঠে কথায়, ঠাট্টা তামাশায় বেশ খানিকটা সময় কাটলো

লীমা বললো," বড্ড খিদে পেয়েছে। জন্মদিনের স্পেশাল মেনু কি?"

দীপার ছোট বোন অন্তরা বললো, " তা অনেক কিছুই আছে, মাংসের ঘুগনি, লুচি, ভেজিটেবল চপ, মিষ্টি.."

অন্তরার কথার মাঝেই দীপা বললো," তোর লীমাদির খিদে পাওয়াটাই স্বাভাবিক! সেই কোন সকালে বাড়ি থেকে অফিস, তারপর আমাদের বাড়ি। চল হাতে হাতে সবার খাওয়ার ব্যবস্থা করি।"

অনেকদিন বাদে দুই বন্ধুর দেখা। স্বাভাবিক ভাবেই মধ্য রাত পর্যন্ত আড্ডা চললো। লীমা যতটা সম্ভব সম্মোহকে আড়ালে রাখলো। কথা প্রসঙ্গে নামটা যে দু-একবার আসেনি তা নয়! তবু যতটা এড়িয়ে রাখা যায়

রাতের শব্দ মুছে যাচ্ছে, মিলিয়ে যাচ্ছে দূর থেকে দূরে।লীমার চাওয়া না-চাওয়ায় আর কিছু যায় আসে না। অনন্তকাল এমনি ছোট ছোট শব্দ জুড়ে বেঁচে থাকবে সে। কঠোর কোমল পায়ে ঘর্ষণে অবিশ্রান্ত সিঁড়ির ওঠা নামার রাত, দিন, আবারও রাত। লীমার আর কিছু যায় আসে না। এখন শুধু শেষ চেষ্টা নিজেকে বাঁচানোর

ভোরের আলো জানলার বাধা পেরিয়ে ধুয়ে দিচ্ছে ঘর। নাম না জানা পাখিদের গান ছোটবেলার সেই বকুল গাছের স্বপ্ন আঁকছে চোখে, যার তলায় প্রথম বসন্তের ভোরে ফুল কুড়তো সে

দীপাদের বাড়ি সোজা অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বেরোল লীমা। কিন্তু মাঝপথে অফিসে যেতে ইচ্ছে করলো না। সোজা বাড়ি ফিরলো

--- " কিরে অফিসে গেলিনা? শরীরটরীর খারাপ নাকি!" লীমার মা প্রশ্ন করলো

--" নাগো, শরীর ঠিক আছে। কাল অনেকক্ষণ রাত জাগা হয়েছে। একটু ক্লান্ত লাগছে। তাই গেলাম না।"

--- "তা ভালো করেছিস। স্নান খাওয়া সেরে একটু ঘুমিয়ে নে। ঠিক হয়ে যাবে।"

---" হ্যাঁ, তাই করবো। ঠিকই বলেছো।"

দুপুরে বিছানায় শুয়ে কয়েকবার এপাশ ওপাশ করেও কিছুতেই ঘুম আসছিল না। তবে স্নান করার পর বেশ ঝরঝরে লাগছিল লীমার। ডাইরির পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে মনের মধ্যে অনেক কথা প্রশ্নের চেহারা নিতে চাইল। কিন্তু সে সব প্রশ্নে লীমার দুঃখ শুধু বাড়বেই। অথচ আজ দুপুরে সেই পুরনো চিঠিটা ডাইরির ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো। চোখ আটকে গেল লীমার। কতদিন আগের তবু যত্নে আগলে রাখা।

প্রীতিময়ী লীমা,

আপনাকে দেখার পর আমার বক্ষপিঞ্জর আড়াআড়ি ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই বক্ষপিঞ্জরটি মনের অভিকর্ষ কেন্দ্রটিকে অনুরাগের দিকে নিক্ষেপ করে ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ সাহায্য করে থাকে। আপনি কি আমাকে সাহায্য করবেন?

মানুষের করোটির শীর্ষদেশ উচ্চতা সমন্বিত এবং ঊধর্বাক্ষিকা শিরা স্পষ্টতা হারিয়েছে। করোটির নিন্মভাগে মাসটয়েড প্রসেস্ বিশেষভাবে বিকশিত--- এর সঙ্গে একধরনের মাংসপেশী সংযুক্ত থাকায় মানুষ মাথাটিকে অবলীলাক্রমেই ঘোরাতে পারে। সুতরাং আপনার চিঠি লিখতে কষ্ট হলে আগামী বুধবার সন্ধ্যা 'টায় সাহিত্য পরিষদ লাইব্রেরী এসে দূর থেকেই হ্যাঁ বা না- জবাব দিন

এক্ষেত্রে উত্তর হ্যাঁ হলে আপনি আপনার পছন্দের একটি বই আমাকে পড়তে দেবেন আর আমিও একটি বই আপনাকে পড়তে দেব

যদি এই চিঠির ভাষা আপনার বোধগম্য না হয় তাহলে অযথা মানে জানতে চেয়ে বিরক্ত করবেন না

বিনীত

প্রথম অনুরাগের প্রবেশিকায়

সম্মোহ চ্যাটার্জী

চিত্তদা দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন সন্ধ্যেবেলা এই চিঠিটা লীমাকে আমতা আমতা করে দিয়ে গেছিল। বলেছিল, " তোকে খুব ভালোবাসে। আমি কি করবো বল! " চিত্তদার কাঁচুমাচু মুখটা দেখে লীমার খুব হাসি পেয়েছিল। অদ্ভূত লোক চিত্তদা, একেবারে সাদাসিধে নিপাট ভালো মানুষ। চিঠিটা এই নিয়ে লীমা যে কতবার পড়েছে তার কোনো হিসেব নেই। আজকেও চিঠিটা সেই প্রথম দিনের মতো মন ভালো করে দিলো লীমার। চিঠিটার ভেতর লীমা আজও অদ্ভূত একটা বাতাস অনুভব করে। ভালোবাসার বাতাস!

আচ্ছা সম্মোহ, আমার কথা মনে পড়ে তোমার? আমার মধ্যে তুমি কত কি দেখেছিলে সেদিন? আজ কি কিছুই দেখার নেইকিংবা বলা ভালো আমি আর কিছু দেখতে দিতে চাই না তোমাকে। তোমার দেখার মাঝে আমি একটা আবরণ ঝুলিয়ে দিয়েছি। তোমার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই সম্মোহ। চোরা যন্ত্রণা আছে। নিজেকে হত্যা করার যন্ত্রণা। ইউথেনেশিয়া

 


Friday, October 2, 2020

≈ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||

চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা


আজকের সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন শারদীয় সংখ্যা প্রত্নতাত্ত্বিক চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা জানালো। প্রণাম


≈ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা ≈ সুব্রত পণ্ডিত ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা
সুব্রত পণ্ডিতের কলমে পুরাতাত্ত্বিকবিদ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত :


প্রত্নতত্ত্ববিদ ও পুরাতত্ত্ববিদ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত একজন ইতিহাস সচেতন মানুষ। মানিকলাল সিংহের সঙ্গে তিনি আচার্য যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবন - নামে সংগ্রহশালা তৈরি এবং আমৃত্যু সচিব ছিলেন। ক্ষেত্র সমীক্ষাই ছিল তাঁর সাধনা। রাঢ় সংস্কৃতি ও স্থানীয় ইতিহাস চর্চায় মগ্ন এই সারস্বত মানুষটি রেখে গেছেন ভারতের শিল্প -সংস্কৃতির পটভূমিকায় বিষ্ণুপুরের মন্দির টেরাকোটা, বিষ্ণুপুরের মন্দির টেরাকোটা, দক্ষিণ -পশ্চিমবঙ্গের মুর্তিশিল্প ও সংস্কৃতি প্রভৃতি গ্রন্থ।কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন মোহনলাল গোয়েঙ্কা সেবা পুরস্কার (১৯৯৭), খেয়ালী পুরস্কার (১৯৯৯),সোপান পুরস্কার ( ১৯৯৯), গাইডেন্স ফাউন্ডেশন সম্মান ( ২০০৮), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ প্রদত্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় পুরস্কার  (২০১০), চারনকবি বৈদ্যনাথ পুরস্কার (২০১০) এলাহাবাদ প্রদত্ত গীতাঞ্জলি শতবর্ষ স্মারক সম্মান (২০১৩), জি-বাংলা ২৪ ঘণ্টা প্রদত্ত সম্মান (২০১৪) প্রভৃতি। সদ্য প্রয়াত এই ইতিহাসবিদের জন্য আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।


≈ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা ≈ গৌরাঙ্গ মিত্র ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা
গৌরাঙ্গ মিত্র


বিষ্ণুপুরি ঘরানার তিন কবি 

1) সুশিল হাঁটুই : সেবার বিষ্ণুপুরে গিয়ে, বিষ্ণুপুরি ঘরানার এক কবির সঙ্গে প্রেম হয়েছিল। সুশিল হাঁটুই, আমার প্রিয় সুশিলদা। ভালোবাসার মানুষ। তিনি মাথার উপরে টাঙিয়ে রেখেছেন নক্ষত্র খচিত একটি আকাশ। প্রতি রাতে আকাশ থেকে এক একটি নক্ষত্র পেড়ে আনেন, নক্ষত্রের আলো দিয়ে লিখে ফেলেন অবিশ্বাস্য  সুন্দর কিছু কবিতা। 
চেলপার্ক কালি বা মঁব্লাঁ কালি সে সব কবিতা লেখার কথা ভাবতেই পারে না। 

2) অভিজিৎ দাস কর্মকার: কবিতার বাংলা বাজারে আর একদিন দেখা হল বিষ্ণুপুরি ঘরানার আরেক কবির সঙ্গে। তার কবিতায় ভাব ও ভাবনার অবিশ্বাস্য সমাবেশ। তার কাছে একটি কোরা শব্দের অভিধান আছে। অভিধানটি সে মস্তিষ্কের কোষে কোষে স্থাপন করেনিয়েছে। অতএব, কোনো পুস্তক বিক্রেতার দোকানে, খুঁজতে যাবেন না। তার সবচেয়ে বড় পুঁজি, সে প্রবল আত্ম বিশ্বাস। সে ভাঙে, সে গড়ে সে বাঁকুড়ার ঘোড়ার গলা আরো একটু লম্বা করে দিতে পারে। 

3) কার্তিক ঢক: বিষ্ণুপুরের আরেক মণিমাণিক্য - কার্তিক ঢক।
কার্তিক ঠিক কার্তিকের মতো কবিতা লেখে। মাটির কণায় কণায় খুঁজে পায় কবিতা লেখার উপাদান। কার্তিক কোনো অসুর বধ করে না। আমরাই সবটুকু ভালোবাসা রুমালে বেঁধে তার কাছে নিবেদন করছি। 
 
কে যে কাকে আবিস্কার করেছে তা বিষ্ণুপুরি ঘরানার তিন কবি জানেন। মানুষের হৃদয় স্নিগ্ধ হতে হতে এক সময় জোৎস্না হয়ে যায়।

মরীচিকা

এই ক-দিন ধরে কেবল দূস্বপ্ন আর তুমুল বৃষ্টি। 
সব কিছু ছাপিয়ে আমি বাঁচতেই চেয়েছি। 
বাঁচার প্রয়োজন সে ভাবে নেই
তবু অভ্যাস আর আশা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। 
মনে হয় আর দুদিন---
হয়তো কিছু একটা হবে। 
বাঁচা মানে মৃত্যুহীন মরুভূমিতে এক স্নিগ্ধ মরীচিকা
আমার সঙ্গে পায়ে পা মেলাও, চলো মরীচিকাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরি।



≈ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা ≈ উদিতশর্মা ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা
উদিতশর্মা


মৃত্যু এলে
 
মানুষের মৃত্যু হলে
বিধাতা নতুন করে এঁকে দেন মুখাবয়ব। 
বেশ তো ছিলো লোকটা 
দিব্য অনিমিখ থোবড়ায়
পায়চারি করতো ফেসবুকের ওয়ালে
চেটে নিতো ইউটিউবের দেওয়াল
ইনস্টাগ্রামের অ্যাংরি ইমেজ
কত করে বলেছি
স্মাইল প্লিজ 
কিন্তু কে শোনে কার কথা
গরম ইমোজিতে ভরিয়ে তুলতো
দৈনিক কথামালা 

এখন দেখ কেমন আলোক দীপ্ত হয়ে আছে
প্রোফাইল পিকচার জুড়ে