বিষণ্ণ জাদুকরের তাস
ছক্কা পুট
রাত উড়ে যায়
চিলের ডানায় –
একা
একটি মেয়ে কেঁদে চলে,
পৃথিবীর খোলস জুড়ে ছড়ানো কান্না !
রাজত্বের আনন্দে ঘুড়ি ওড়ে এশরীর ওশরীর
ছক্কা দুই
একটি পালঙ্ক,
পাখোয়াজ –
বেঁচে থাকতে চায়নি নিজেরা।
মৃত্যুর নাম আসলে শুধুই সঙ্গত!
ছেড়ে যাওয়ার দোষী গাছ নয় জেনেও
প্রিয় সঙ্গীত বিরহদোসর
ছক্কা তিন
আমাদের আনন্দঘন চড়ুইভাতির দিন।
ক্ষুধার্ত পাখিটি যেভাবে উড়ে যায় আকাশে –
ডিমের পোচমার্কা গোধূলি চকচক করে!
আমাদের গোগ্রাসী খিদেয়
প্রতিটি
পোচই চড়ুইমাংস!
ছক্কা চার
একটি অবিশ্বাস ঠেলে এগোচ্ছে
সম্পর্ক,
কেউ বুঝে ওঠার আগেই সে
অবিকল নদীটি যেন!
শরীরে ক্ষমা নাম সেই মেয়েটির বাস –
হারানো ডাকনাম।
ছক্কা পাঁচ
একটি গান গাওয়ার আগেই
পাখিটির মৃত্যু –
যেন বেড়ি বানানোর কথা ছিল না কখনোই,
যেন সবটাই ভুল।
অথচ লালন ঠিকটুকু বুঝে নিল
চুপচাপ!
দু ছক্কা
জেলখানারও
বাকশক্তি আছে।
খোঁপার ভেতর থেকে
যেভাবে ছটফটে কাঁটা ঘুড়ি ওড়াতে চায়;
সংসারী কয়েদির চোখ একটি আয়না
আয়ুর মুখ দ্যাখে –
না-ফুরোনো
দু ছক্কা পুট
তোমাতে
ঢুকে পড়ব ঠিক –
এটা ভাবতে ভাবতেই আমি সফল
তুমি হাঁটাচলা করছো এই আমাকে নিয়েই;
আর আমি নিজেকে অদৃশ্য
নিখোঁজ দেখছি
দু ছক্কা দুই
আমাদের চোখের মণিটি
পাখির সংসার –
খড়কুটো খুঁজছে, খুঁজেই চলেছে অক্লান্ত অবিরাম
ফুরোচ্ছে না সংসারের সাধ!
ওদিকে পালক খসে পড়ছে আয়ুর
শৌখিন
দু ছক্কা তিন
আয়ুষ্মান
সিঁথি বেয়ে হাঁটছে মেয়েটি, রাতভর –
পারিবারিক বাঁশিটি তাকে ছুঁতে পারছে না
শাঁখ বাজাতে বাজাতে এগিয়ে চলেছে
দ্বিধাগ্রস্ত আয়ুপতাকা, নারীর পেছনে
দু ছক্কা চার
ভুলের শরবনে
পথ হারানো তুমি
কাশের নরম মাখতে থাকো;
অথচ কী বেশরম তিরের সজ্জা !
ছেঁকে ধরছে তোমাকে, রাতদিন –
মাখিয়ে দিচ্ছে ভীষ্মসোহাগ
দু ছক্কা পাঁচ
সলতে বেয়ে
দপদপ করছে কুমারীর সিঁথি – অ্যাম্বুলেন্সের বাতি!
দমকা হাওয়ার ম্যাজিশিয়ান
পথ দেখাচ্ছে পাশের বাড়ির যতীনদাকে,
প্রদীপটি
ফুঁসে উঠছে সধবার বিশ্বাসঘাতকতায়



