Thursday, September 17, 2020

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ পিনাকী রঞ্জন সামন্ত ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||

মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
পিনাকী রঞ্জন সামন্ত


বাইওডাটা

উচ্ছৃঙ্খল বাজেট বাইওডাটার সঙ্গে সূর্য ওঠার কোনো সম্পর্ক নেই ।
দিনরাত্রির মাঝখানে যে দোলনাটি প্রতিনিয়ত ঝোলে, তাই যদি প্রতিভা হয়, তা হলে বাজেট একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিধ্বনি হতে পারে - যা থেকে
১)
একটি দেশের অর্থনৈতিক প্যারামিটারের চিত্রকল্প সহজেই আঁকা যায়
২)
চৈতন্য এবং অচৈতন্যর একটি অসহায় আত্মসমর্পণের সুর
৩)
একটি অসহায় জলাশয়ের নিভৃত কান্না
এবং ৪)
একটি দেশের অপরিণত পরিকল্পনার বার্ষিক ঢেউ থেকে আমরা জেনে নিতে পারি আমাদের দারিদ্র্য উৎসব
আমরা পাই ---
অসংখ্য আম্বানি, জামদানি, রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট পূর্ব পরিকল্পিত ।

এসো
আমরা সম্পাদনা করি একটি পুজো সংখ্যার অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপির আত্মউন্মোচন
ওঁ শ্রীকৃষ্ণ
ওঁ রাধে
ওঁ তৎসৎ
ওঁ বিষ্ণুপ্রিয়া, পিয়ঙবদা, চিত্রাঙ্গদা মাখানো
কী সুন্দর, ভারী সুন্দর 
সুন্দর ক্লান্তি ।

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ মন্দাক্রান্তা সেন ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
মন্দাক্রান্তা সেন 


কষ্ট


উহ কষ্ট ! আহ কষ্ট ! কী যে কষ্ট !
প্রেমে পড়েছি যে, সে কথাটি এত স্পষ্ট! 

হ্যাঁ, প্রেমে পড়েছি, একেবারে হুড়মুড়িয়ে
এস পিয়সখা, নাও হে আমায় কুড়িয়ে

নেবে না যে আর, সে কথাটি আমি জানি তো
নিজেকে নাই বা করি আর অপমানিত

ভুলে যেতে চাই ডাকতাম তাকে কী নামে
এবার কবিতা থামুক যতির বিরামে

হে প্রেম, তোমাকে ছেড়ে চলে যাব সুদূরে
সব ফেলে যাব, কষ্টটি নেব শুধু রে... 


≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ দিশারী মুখোপাধ্যায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
দিশারী মুখোপাধ্যায় 


জীবন 

কখন শুরু হয়েছিল জানিনা 
কখন শেষ হবে 
মধ্যখানটুকু নিয়ে মগ্ন হয়ে আছি 

শুরুতে ছিলাম না
সগর রাজার ছেলেরা পানে ব্যস্ত ছিল
চিল এসেছিল মেঘের আড়াল থেকে
ছোঁঁ একমাত্র ছিল তারই 

হর্ম্যরাজি ভেঙে পড়ার কথা 
বলাবলি করছে লোকেরা 
চাপা না পড়ার উপায় আছে কিনা জানেনা 
চেষ্টাও নেই 
টেবিলে এখনো অনেক আহার আর পানীয় 

আমি তো লীন হতেই চেয়েছিলাম , চাইনি কখনো
শরীরে ব্লটিং 


একটি পানীয় জলের পুকুর 

কানায় কানায় ভরা পুকুরের স্বচ্ছ জল 
থার্মোমিটারের ঔদ্ধত্যে শুকিয়ে গেল 
পড়ে রইল কাদা আর নাগরিক আবর্জনা
কে জানত পুকুরের নিচে এসব ছিল
জলের নিচে তো কেবল সবুজ গাছ আর
নীল আকাশের ছায়া দেখা যেত 

এরপর শুধু প্রাসঙ্গিক রইল উষ্ণতা , শুষ্কতা 
আর গলা শুকিয়ে আসা প্রাকমৃত্যুর অভিজ্ঞতা

বিশ্বাস শব্দটিকে অক্সিজেনের মতো ধরে থাকলে
আবার একদিন খুব বৃষ্টি হবে , জেগে উঠবে 
সেইসব জলাশয়ের মৃত জীবাশ্মগুলি
কাদার কথা ভুলে গিয়ে আবার আমরা , দেখব 
গাছ আর আকাশের মায়াবী ক্যানভাস 
খানিকটা মেখে ঠাণ্ডা হবো ,খানিকটা পান করব 
ধুয়ে নেব খানিকটা নিজেদের ক্লেদ



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ আলোক মণ্ডল ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
আলোক মণ্ডল



ঝুরোগল্প~ব্ল্যাক লিস্টেড 

প্রতিটা পোস্টে এতো করে লাইক দিলাম তবু আমাকে বলল না!  এক গভীর হতাশার সুরে একথা বলেছিল অনির্বাণ।

রাস্তার গাড়ির ঠেকে চা খেতে খেতে কত কিছুই তো আলোচনা হয় এক সংগে সবাই বসি, খাই,রাগ-অভিমান করে কেউ কেউ চলেও যাই আবার ফিরে আসি।ঠেকের টান এতো অমোঘ যে একদিন কেউ কিছুক্ষণের জন্যও না এসে থাকতে পারে না।
ঠেকের মধ্যেই   আবার কত অনু ঠেক, একজন চলে গেলেই আর একজনকে নিয়ে কত আলোচনা কত, কত কানাকানি,কত কুটকাচালি!  তবু কেউ বিপদে পড়লে সব-ছোট ঠেকই এক হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহায্যের ডালি নিয়ে।ঠেকে প্রতিদিন নানা বিষয়ে আড্ডা হয়,কখনও মহাকাশ তো কখন সেতার কখনও বা নিছকই আড্ডা পেছুনে লাগা!
সেদিনের আড্ডার বিষয় ছিল এই ফেসবুকে কে কেমন রিযাক্ট করে - তাই নিয়ে।
অনির্বাণ  বলল,তোমার পোস্টে লাইক দিলাম মানে আমি পড়ি বা না পড়ি তোমার সাথে আছি, সবটাই বিশ্বাস, মানে ভালোবাসা আর কি! বলতে পারো পুরোপুরি ভরসা। আর লাল হরতন মানে মনে প্রাণে আছি তবে তোমার বক্তব্য  যে পড়েছি তা বলা যায় না,তবে ভালোবাসা দেগে দিয়েছি অগাধ বিশ্বাসে!আরও আছে কান্না ঝরা মুখ, বিস্ময়ের মুখ,বিরক্তির মুখ। সচরাচর এগুলো খরচ করি না! 
অনির্বাণের ঐ একটাই অভ্যেস না পড়েই লাইক মারা,আগাপাস্তলা কিছু  না ভেবে অন্য মুখগুলো না নিয়ে নাড়াচাড়া না করে শুধু বুড়া আঙুল দেখানোই ওর অভ্যেস। শুধুই লাইক মারা! 

তার ফল পেয়ে গেল আজ হাতে-নাতে।নো নিমন্ত্রণ! এক্কেবারে ব্ল্যাক লিস্টেড!

হয়েছে কি সুনির্মলের বাবা হঠাৎ গত পরশু গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রন্ত হয়ে মারা গেলেন। ওর বাবা ছিলেন জেলার এক নামী নাট্যকার তাই তার মৃত্যুর সংবাদটা সুনির্মলকে ট্যাগ করে একটা মর্মস্পর্শী পোস্ট  দিয়েছিল অতনু। অনেকে  তা পড়ে আন্তরিক ভাবেই শোকজ্ঞাপন করে,অনেকে স্মৃতির সরণী বেয়ে  অনেক কথাই লিখেছিল,কেউ আবার অতি ব্যস্ততায় শুধু কান্নাঝরা মুখ  কমেন্টে বক্সে তুলে দিয়ে স্যাড মানে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। আর অনির্বাণ অভ্যেস মতো তাতেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল অর্থাৎ  প্রিয়বন্ধুর বাবার মৃত্যুতে তার কাঁচকলা প্রদর্শন! তার অনিবার্য ফল  স্মরণ অনুষ্ঠান ও ভোজসভায়  সে ব্ল্যাকলিস্টেড! 



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ সুবীর ঘোষ ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
সুবীর ঘোষ



শরীরে কী হয়

 

শরীর ছুঁয়েছে তার তিরতনু নদীটির আলো

মুখ্যত বিদেশে গিয়ে অন্য মুখে শুধু বসে থাকা ।

পাথর ছড়িয়ে যায় বুকের ভিতর থেকে আঁধার সরিয়ে

শরীরে কী হয় তার হালহদিশ দিতে পারে ক’জন এখন !

সকালে যা ভেবে রাখি বিকেল গড়াতে তার ইতি

থাকে সব এদিক ওদিক তবু কত কিছু চেনার ওপারে ।

হাতে কোনো মন্ত্র নেই, মন্ত্রণাতে যন্ত্রণাই বেশি

এরকম অবস্থায় একটু একটু মেঘ এলে বেঁচে যাই ।

মাঠের ভেতর অন্ধকারে কারা যেন ক্ষীণ আলো জ্বেলে

প্রত্নযুগের কিছু রোমাঞ্চ মেলে ধরে বসে ।

তারা কী রহস্যময় ! তারা কী আমার চেনা কেউ ?

সাত পাঁচ ভেবে ভেবে ভেঙে ফেলি সিঁড়ির শৃঙ্খল ।

আমাকে বলে না কেউ তবু বুঝে যাই ---

পৃথিবী প্রতিদিন নতুন নতুন রঙে সাজঘর ফেলে ।