Saturday, June 20, 2020

উদিত শর্মা-এর কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
                           উদিত শর্মা-এর কবিতা

দমকা বাতাস

কাটা কুমড়োর হলুদ থেকে বেরিয়ে আসা
সংসারের প্রথম রোদ
খোঁপার কসরত পেরিয়ে যায়
অয়েল ফ্রি এক্সাইড মোড়। 

কিছু কিছু ফ্রিজ শটে তুলে রাখা
যৌন-স্থাপত্য- প্রতিভা
কিংবা ফুচকা ফুটেজ। 

বাকিসব --
গ্রীবায় ঝোলানো সেমিকোলন সন্ধ্যা 
আলজিভে আটকে থাকা দমকা বাতাস। 

                   
গোপন চুম্বন

স্লোগানগুলো এখনও ফিসফিস করে ওই বড়রাস্তার পাঁচিলের অভ্যন্তরে 
বিপ্লবের জটিলতায় পাক খেতে থাকা সরোবর 
নীৎসের ঈশ্বরহীন আধুনিকত্ব আঁকড়ে
সেই ঘুরেফিরে ফ্যাসিবাদ -

অতএব মহাজীবন একাকী হেঁটে চললেন
নির্জন, নিস্তব্ধ, অভিশপ্ত মৃত্যু উপত্যকায় 
যন্ত্রণা শুনতে পায় শূন্যের প্রতিধ্বনি 
খসে পড়ছে জলছাদ এবং ছাদের পান্ডুলিপি 
ওখানে সত্যের পাহাড়ে বসে বাঁশি বাজাচ্ছেন
এডলফ হিটলার। 
মানবতার মঞ্চ থেকে সভ্যতার শিরস্ত্রান 
নামিয়ে রাখছেন স্ট্যাচু অব লিবার্টি 

আমাদের গোপন চুম্বনগুলো এখন
আর আতশ কাচের গসিপে বসে নেই। 
                   

এইটুকু শব্দের উড়ান থাক


ক্রুশবিদ্ধ যীশু নেমে এলেন
প্রায়ান্ধকার ঘরে বসে ছিলো সে মৃতপ্রায় 
ভারাক্রান্ত জানলাটিও
চোয়ালের হাড় আটকে রয়েছে গ্রীলের ফাঁকে
কষ বেয়ে নেমে আসছে রক্তের দানা

রোদ্দুর বেয়ে নেমে আসছেন যীশু 
বেগুনি ঢেউয়ের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে সে
একটা সোনালি বর্গক্ষেত্রের দিকে - মনে হয়
ওটা সমাধিক্ষেত্রই হবে। ঐশ্বর্যময়। 

উড়ে যাচ্ছে কাব্যময় পৃথিবী 
মরে যাচ্ছে প্রেম, শিল্পের প্রথম প্রতিনিধি। 
চলে যাচ্ছেন ঈশ্বর স্বপ্নের-মুকুট পড়ে
পুনর্জন্মের দিকে... 

এসময়ে সবাই ঝড় সামলতে ব্যস্ত 
আমি দেখতে পারছিনা কোনো কথা ও বিপ্লব 

আজ শুধু এইটুকু শব্দের উড়ান থাক। 

                     
সেতু-কবি

প্রতিটি কবিতার নিজস্ব কিছু ওজন আছে
তার একক এবং মান নির্ভর করে
পাঠক কিংবা সম্পাদকের উচ্চতার উপর
এই উচ্চতা ও ওজনের পারস্পরিক বিনিময় 
থেকে কিছু গোল গোল অথবা চৌকো জাতীয় 
শনিবারের আড্ডা উঠে আসবে। 
গনগনে ছন্দের দোলন অথবা
মেঠো ভালোবাসায় কেউ কেউ 
বাঁ দিকে এসে দাঁড়াতে পারে 
নয়তো অন্যভাবে ঝালরের নীচে কোনো
কিশোরী-মাইক্রোওয়েভ
ভোরের যাত্রাপথে 
সেতু-কবি ।

বিশ্বজিৎ দাস-এর কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন 
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
                           বিশ্বজিৎ দাস-এর কবিতা

মিসিং টমাটো

.
বহুকাল টমাটোর খোঁজ নিইনি
             বেওয়ারিশ লাশ ভেবে


এড়িয়ে গেছি নিজেকে
               কে একজন পাশ থেকে


ধুৎ বানচোদ! কবি কি ময়লা মাখে?

আজ্ঞে হ্যাগো এসব চুদুরবুদুর
                      না করলেই পারতে!


.
কবিকে টমাটো চেনাতে এসো না
                     অনেক কাল আগে


ওসব মাখামাখি, চন্দনের বন; বিয়াল্লিশটা
বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর দেহে দেখেছে হারামি

                                            শুধু আমি

             ডান দিক থেকে বাঁ দিকে এলে


নদের চাঁদ করে; প্রাতিষ্ঠানিক বেলেল্লাপনা!

.
ভিতরে ওই টকটক, আধোজল চুমুক
সরু নলি শুয়ে থাকে, কবি কি চাবুক?

না না, এসব এখন নেই
ইলেক্ট্রিক শক অথবা সেয়ানা চশমা

পাবলিক পদাঘাতে বুঝে যাবে সে
কলম গুঁজে বেড়ানো সেই ধূর্ত আয়না!

.
একটি ভাউ খাওয়া বিচিসদৃশ চমাটো
গায়েহলুদ নিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়

                    নরম শরীরে

        শালা, ছুঁয়ে দেখো; কবির পাছায়


তোমাকে দেবে হরিদাসপালের আমড়া
                           চুষে চুষে খাবে আর


             'হরি দিন তো গেল, সন্ধ্যা হল'

        ধান্দা ছাড়ো; সৎ করো আমারে!


একটি বিশেষ ঘোষণা


মাপ করবেন কৃতজ্ঞতা শব্দটির
প্রসঙ্গ এখানে টানবেন না

হুড় হুড় করে বাংলা কবিতায়
আয়নার মতোন বিষমাল

ঢুকে পড়েছে। জ্যোৎস্নাকুমারের প্রতিভা
সুরক্ষিত এবং বহুচর্চিত দাদা নং ওয়ান

বিখ্যাতদের সঙ্গে
এইচডি কানেকশনে ২০% ফ্রি

আর ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই
আশাফাশা না করে, এটুকুই বলতে পারি

সৎ কবি হওয়া একজীবনেও শেষ হয় না...


জ্যোৎস্নাকুমার


মোহাব্বত আসলে
ফ্রি কিকে গোল করা

কিংবা
রানিং কারের অবজ্ঞাজাতশব্দ
পাশবালিশে উরুর আলস্য চাপিয়ে

জ্যোৎস্নাকুমার কাজে লাগায়
কবি হওয়ার যাবতীয় ত্রাণ প্যাকেজ

সঙ্গে ফ্যানফলোয়ার পুষে এই
জগতের বিরাটকোহলি আনন্দযজ্ঞ
            
আর শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন!


ফ্রি ফ্রি ফ্রি

.
এখন বিনামূল্যে বিনাযুদ্ধে আপনি পান
                     
বগলদাবায় হাত গলিয়ে

অলিতে গলিতে কবি হয়ে ওঠার সুবিধা!

বিজনেস শব্দটির সঙ্গে বই এবং শব্দকার
কালচে ঈর্ষা একদম ফ্রিতে বিলি করছেন!

নেবেন নাকি?

.
পেছনপাকার রহস্যজনক গায়েব হওয়া
ফেসবুকে স্ট্যাটাস এবং গান্ডু বক্তা

এই আমাদের বদহজম?
এই আমাদের কালচার?

ভিড় দেখলেই বমি করে
        
পেটে পেটে লুকিয়ে রাখা যশপ্রার্থী
শান্তিচরণ ইজ্জতদার!


ভ্যালুঅ্যাডেড সার্ভিস

.
তোবড়ানো থোবড়া থেকে
                
বেরিয়ে আসে

         
ন্যাচারাল বাওয়াল
সুস্থ কি অসুস্থ এখনই নয়

সে প্রশ্ন! মদ্যপ চন্দুর ভিতরে
ভ্যালুঅ্যাডেড সার্ভিস রাখেন

আমাদের ইমেল কুমার সরকার!

.
মূল্য দিতে দিতে ছিঁড়ছে প্রিয়
                     
জালি আলাপ

                        
খুব করে যে
অশ্লীল আঙুল ছুঁলে আজকে

আবাল আমবালা ব্রো ব্রোকেন
ক্যালানে কোকাকোলা কোকেন

গোপনে কবিতা ছাড়ান বোদ্ধাদের!

.
জেনুইন নিউজ? ঘরজ্বালানো
                   
স্নায়ুর সুতো ছেঁড়া
                               
তারকাঁটা

এক বিশিষ্ঠ নাগরিক কলমবাজ সেন!

চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে রিপোর্টে যৌনবস্তু নিস্তেজ
ইনভ্যালিড হয়ে জীবন ফ্রাস্টেটেড?

মুখে হাসিলে পোঁদে কাশিলে কথাশিল্পীও
     
হাওলাদার, ফুটেজ খাওয়া এক কবি!


অভিজিৎ দাসকর্মকার-এর কবিতা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন 
১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।

                   অভিজিৎ দাসকর্মকার-এর কবিতা


সাধু ভাষায় হনহনিয়ে হেঁটে চলেছেন


আপনার তর্জনীটিকে মান্যবর নাম দিলাম, আর যখনই বিলি কাটতে কাটতে নদী লিখি মধ্যাহ্নের পিঠে;

ঠিক তখনই উনি নিজেকে এই বিশেষণের দক্ষতার সাথে,
প্রথমে অতিথি, পরে
বে-মানান জামা কাপড় পরে ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার নেবার মুরাদ পুরি করনে কে লিয়ে দিকভ্রান্ত হয়ে চলেছেন।

এমনকি পরিব্রাজক মেঘ ও বিবেচ্যর তন্দ্রাঘোরে জেনানার রুমে চরিত্রহীন ঘুরে বেড়াতে থাকেন  ;

কবিতার সাথে গোবিন্দভোগ চাল একপাকে রেঁধে অনাবশ্যকভাবে কথাব্রতের রূপান্তরিত করা ব্রতচারিণীর কোটি, কোটির পর নাভিমুলে ;
খ্রীস্টপূর্বাব্দ থেকে বয়ে আসা  জলজক্রীড়ায় ব্রতি হয়েছেন ।

সমস্ত প্রক্রিয়াটি জটিল অথচ ডানাকাটা পরীদের সাথে সহজেই ঘুল মিল যা রাহা থা।

ফ্রী-হাত ব্যয়ামেও এই তর্জনীটি বাঞ্ছনীয় সাধু ভাষায় হনহনিয়ে হেঁটে চলেছেন এবং রুগ্ন অথচ ভুনা কবিতার স্মার্ট অপশন ব্যবহারের অভিভাবকত্ব অর্জন করে ফেলেছেন।

তওবা তওবা । কী সব বলে ফেললাম শুধু একটি তর্জনীর তর্জনগর্জন করা নিয়ে ।
বাঁশির ফুটোয় সিঁধ কাটা, বা
মঞ্চে ইনি বাংলায় মাথা চড়িয়ে শব্দ মঞ্চস্থ করেন, অথবা হারমোনিয়ামের রিডের উপরকার ইমোশনগুলোতে শুধুই  হাত বোলায় বলে!  ____


প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে প্রশ্বাস বিনিময়

তবুও সর্বক্ষণ ভোকাল বিনিময়
  অম্বুবাচী বিনিময়, এবং
  প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে প্রশ্বাস বিনিময়

এরপরও ডারউইন বাবুর বিবর্তনের কিছু থাকবে? এখনতো__
ইঁটের উপর তীক্ষ্ণশব্দ,
চাপাশব্দ,
লাঞ্চ ব্রেক সবই
করিৎকর্মা টপ্পা আর ঠুংরির আলাপে, ঝিরঝির করে হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে বৃষ্টিনেশায় মেতেছে, আর
পালসরেট বায়ুমাধ্যমে অফেন্সিভ বসে আছে। কারণ,

কবিতাকে এখন এভাবেই অসংলগ্ন বা ভারসাম্যহীন বলা হয়___


আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে আনুন

জিভের ঘোর কাটছে,
স্বাদকোরকে উল্কি করা কমিউনিজম্ , আর
   শব্দগুলো সমঝোতা করছে মন কি মুরাদের সাথে

আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে আনুন, দেখুন
অন্ধকার কতোটা পজিটিভ ভাষায় আমার অভিশাপগুলোকে
    জলের নিচের আটচালায় শুদ্ধিকরণ করছে।

সভা আলোকিত করছে ফুকো, দেরিদা এবং মার্কস, আর
আমি তখনও নির্বিকার স্বভাবে বুঝতে চাইছি গুপ্ত সমুদ্রের মৌর্যলিপি ইউ-টিউবে আপলোড হতে চাইছে 
না ক্যানো?______


১টি দাঁতক্যালানো কবিতা
ঘাবড়ানোর কিছু নেই।  আঙুল বিষয়ক যে বুক পকেটে প্রেম প্রেম পাওয়া ; তার সাথে ওই গসিপ-প্রকৃতিগুলো যৌনব্রতা হয়ে উঠছে।
যতই পাশের শরীরে থার্ড পারশন সিঙ্গুলার সংখ্যা,
   কনসোনেন্ট বর্ণ এবং
ডিসকভারি চ্যানেলের স্ত্রী-পুং মিল ও মিশে যাক ___
সর্বজনস্বীকৃত
আমার অভিশাপ, আর
ওষুধ ভর্তি প্যান্টের বেল্ট
সুদূর রাস্তাব্রত বীজগণিতের খাতার দিকে সেই ক্লাস ফাইভ থেকে পিছু নিয়েছে, আমি
দাঁতের ফাঙ্গালে গোনাগুনতি দু'চুমুক রোদেল হাসি, দাঁতকেলিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছি____