Wednesday, June 10, 2020

এবার আমরা শুনবো আপনার কথা আপনার কবিতা---

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।



এবার আমরা শুনবো আপনার কথা আপনার কবিতা--- 
আজকের সংখ্যায় থাকছে কবি রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। রথীন দা ৯০ এর দশক থেকে কবিতা পাক্ষিক সহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে লিখেছেন, লিখছেন এবং এখন অনেক ওয়েবজিনের প্রয়াসেও তাঁর লেখা সমৃদ্ধ করে চলেছে। সারাটা জীবনই নিভৃতে সাহিত্য চর্চা করেছেন এবং কবিতাকে ভালোবেসে অংকশাস্ত্রের ছাত্র হয়েও বাংলা সাহিত্য এবং ছন্দ অলংকার ইত্যাদি নিয়ে জানার প্রবণতাকে বাড়িয়ে গেছেন।   



নমস্কার রথীন দা

--- নমস্কার। আরে এসো এসো অভিজিৎ। খুব ভালো লাগছে তোমাকে কাছে পেয়ে।

আমি সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনের নতুন যে বিষয় প্রতি মাসের ১০ তারিখে বের করছি "এবার আমরা শুনবো আপনার কথা আপনার কবিতা। দাদা তোমার কাছে আমাদের কিছু প্রশ্ন আছে।জানি দাদা তুমি হাসপাতালে চাকরিরত। আর এই কোভিড-১৯ এর প্রকোপে খুবই ব্যস্ত।তুমি যদি তোমার ব্যস্ত সময় থেকে আমাদের এবং এই ওয়েবজিনকে  তোমার কবিতার পাঠকদের জন্য তোমার 
কথাগুলো বলো

----- সত্যি খুব ব্যস্ত গো।একদম ঠিক বলেছো।খাবার, বাড়ি ফেরার কথা তো অনেক দূর, ঠিক মতো বুক ভরে শ্বাস নেবার সময় নাই। তবে আজ একটু তারই মধ্যে ফাঁকা আছি।এই সময়ে সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনকে সময় দেবো। 

  
) তুমি কবে থেকে কবিতা লিখছো বা সাহিত্যের সাথে যুক্ত আছো? কিভাবে কবিতা লেখায় এলে?


  সাহিত্যের সাথে কবে থেকে যুক্ত আছি মনে পড়ে না, সেই কবে Math Honours পড়ার পাশাপাশি সাহিত্যের দিকে ঝুঁকেছিলাম হয়তো। তারও আগে সম্ভবত Secondary / Higher Secondary তে শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র, মাণিক বন্দোপাধ্যায় আর জীবনানন্দ, বিনয় মজুমদার, উৎপলকুমার বসু এছাড়াও শক্তি সুনীল তারাপদ রায় পড়েছি স্রেফ কবিতাকে জানার জন্য। প্রেমেন্দ্র মিত্র, বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ সমর সেন পড়েছিলাম সেই একই কারনে। কবিতাকে জানতে হবে, ছন্দ শিখতে হবে ....এর একটা তীব্র তাগিদ অনুভব করেছিলাম। এসবই আমার Student life এর কথা পরবর্তীকালে বিভিন্ন কবিতা আন্দোলন বিষয়ে জানার চেষ্টা করলাম, যেমন শ্রুতি, শত জল ঝর্ণার ধ্বনি, ধ্বংসকালীন, হাংরি জেনারেশন ....সেই সময়েই সম্ভবত ছন্দ শেখার জন্য প্রবোধ চন্দ্র সেন প্রায় মুখস্তই করে ফেলেছিলাম

কবিতা লেখায় এসেছি '৯০ এর প্রথমদিকে। 


) যদি কবিতা বা সাহিত্যে না থাকতে তবে তুমি কোন বিষয় নিয়ে থাকতে?

যদি কবিতায় না থাকতাম? তাহলে....Paintings থাকতাম। আমার প্রথম প্রেম Paintings. কলাভবনে '৮৮ তে Competitive exam. Qualify করেছিলাম। কিন্তু Admission নিতে পারিনি, সে অন্য প্রসঙ্গ। কবিতা কিংবা ছবি দুটোর কোনওটি না থাকলে কোথায় যে ভেসে যেতাম ......


) তোমার কবিতা জীবনে কার অবদানকে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দাও?

Specifically একজনের নাম বলা কঠিন, তবে সবচেয়ে অবদান বেশি বলতে গেলেপ্রভাতদা (শ্রদ্ধেয় প্রভাত চৌধুরী), সমীরদা (শ্রদ্ধেয় সমীর রায়চৌধুরী) 
সত্যি কথা বলতে প্রভাত দার কাছ থেকেই 'কবিহিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। 

এনারা ছাড়াও দুর্গাপুরের অকাল প্রয়াত কবি শ্রী রজতশুভ্র গুপ্ত, একদা শক্তিশালী কবি বর্তমানে Talented photographer প্রদীপ হালদার, প্রদীপ চক্রবর্ত্তী ("কুরুক্ষেত্র" পত্রিকার সম্পাদক) , দিশারী মুখোপাধ্যায় এবং নয়ন রায়ের কথা অস্বীকার করি কি করে।

এবং বারাসাতের কবি আবীর সিংহ, তার নাম উল্লেখ না করলে অপরাধী হব। 


কোন কবিদের লেখা তোমার পছন্দের? বা এমনও বলতে পারো তোমার কাছে কোন ধরনের কবিতা বেশি প্রাধান্য পায়?

কঠিন প্রশ্ন। কোনও একজন কবির সব কবিতাই যে ভালো লাগে, তা নয়। তবে এটুকু বলা যায়, প্রভাতদার প্রায় সব কবিতাই আমার বড় প্রিয়। সমীরদার কবিতা ভালো লাগে, অনেক কিছু শিখেছি। এছাড়া, প্রনবেন্দু দাসগুপ্ত, উৎপলকুমার বসু, অমিতাভ মৈত্র,দেবদাস আচার্য,মৃদুল দাসগুপ্ত,নির্মল হালদার, নাসেরদার কবিতা ভালোবাসি পড়তে

'৯০ এর আবীর সিংহ, সাম্যব্রত জোয়ারদার, সুদীপ বসু, অংশুমান কর, আরও নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না

২০০০ এখনও পর্যবেক্ষণে আছে, এখনকার অনেক কবির লেখাই ভালো লাগছে, নাম উল্লেখ করব না, পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাবে। নতুন যারা লিখছে তাদের নাম বাদ গেলে তারা হয়তো কষ্ট পাবে। তবে আফজলদা একটা নতুন Conception নিয়ে কাজ করছেন, Follow করছি নিয়মিত, ভালো লাগছে

) কবিতায় Logical crack থাকবে
) কবিতা Pluralistic হবে
) কবিতায় নিউক্লিয়াস Dissolved হয়ে যাবে
) কবিতায় প্রান্তিকতা প্রাধান্য পাবে
) ইউরোপ, আমেরিকার ভাবধারাকে আত্মস্থ করে তা আমাদের সংস্কৃতিতে রুপান্তরিত করে কবিতা নির্মিত হবে
) কবিতা একটা Continuous process. ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি থেকে যার শুরু, তখন থেকেই প্রবাহিত হয়ে আসছে, আগামী অনির্ণেয় কাল অবধি সেই প্রবহমানতা Continue করবে।কবিতার কোনও শুরু নেই, শেষও নেই, সুতরাং কোনও শেষ দু-তিন লাইনে বা শব্দে একটা Conclusion আসাও থাকতে পারে না। এই আবহমান প্রবাহ থেকে কবি শুধুমাত্র কয়েকটা চিহ্ন, শব্দ, লাইন Just pick up করে নেয়। যে কবিতায় এই লক্ষণ পাই, সেই কবিতা ভালো লাগে
) চিত্রকল্পহীন, দৃশ্যকল্পহীন, অলঙ্কার বর্জিত, তুলনারহিত, আবেগের সংযত ব্যবহার, আপাত দৃশ্যমান Text, অথবা ঘটনার, কিংবা Classical literature এর Deconstruction করে যেসব কবিতা লেখা হচ্ছে, সেইসব Updated কবিতাই ভালো লাগে। 

 ) তোমার প্রিয় কবিতার বই কোনটি, যা নিয়ে তুমি তোমার  ভাল না লাগা সময়গুলো কাটিয়ে নিতে পারো?

গীতবিতান .....যা আমি কবিতার বই হিসেবেই মনে করি। 

) তুমিতো ৯০ দশক থেকে লিখছো। তোমার কবিতা main stream থেকে অনেকটাই আলাদা তুমি ক্যানো main stream থেকে বেরিয়ে লিখছো ? আসলে এই আবহমান বা main stream লিখলে তো অনেক নাম ডাক সম্মাননা এমনকি পুরস্কারে বাড়ি ভর্তি হয়ে যেতো। এই বিষয়ে কিছু বলো রথীন দা---

Experiment ব্যাপারটা আমি ভালোবাসি। (A+B) hole square থেকে একটা পিংপং বল গড়িয়ে দিলে সেটি অবধারিত A square + 2AB + B square এর উপর এসে থামবে এবং উল্টোটাও ঠিক। এর ভিতরে কোনও বৈচিত্র নেই। আমি আমার কথা আমার মতন করে যেভাবে ইচ্ছে প্রকাশ করব। এক্ষেত্রে আমার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। এবং একজন কবিকে এই স্বাধীনতাটা দিতে পারে একমাত্র লিটল্ ম্যাগাজিন। এই লিটল্ ম্যাগাজিনে থাকার জন্যই automatically আমার লেখা main stream এর বাইরে চলে এসেছে। জোর করে, কিংবা নিজের ইমেজকে Specialized করার জন্য Main stream ঢুকিনি, তা নয়। "ম্যাগাজিন শব্দটি আমি লক্ষ্য করেছি রাইফেল কবিতার সঙ্গে যুক্ত"...ফাল্গুনী রায়ের এই লাইনটিতে আমি ধরে নিয়েছিলাম 'কবিতা' মানে লিটল্ ম্যাগ-এর কবিতা। প্রাত্যহিক জীবনের কোনও ক্ষেত্রেই তো স্বাধীনতা নেই, সব স্বাধীনতা তো সংবিধান নামে একটা ঢাউস বই, একটা না - বোঝা প্রাতিষ্ঠানিক জগতের মধ্যেই বন্দী হয়ে আছে। আর এই কবিতার জগৎটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব পৃথিবী, এখানে অন্তত স্বাধীনতার স্বাদ রশে বসে গ্রহণ করিনা কেন....
আর আমি কখনই কবিযশপ্রার্থী নই। সম্মান, পুরস্কার সামান্য উৎসাহ দেয় ঠিকই, কিন্তু তার বিনিময়ে কবিকেও অনেক কিছু (হয়তো বা ইচ্ছার বিরুদ্ধেও) দিতে হয়। আমার বিশ্বাস, সম্মান, পুরস্কার ইত্যাদি কোনওকিছুই কবি কিংবা কবিতার উন্নতি করে না, বরং তার নিজস্ব বহুমুখী চিন্তাভাবনার জানলাগুলো বন্ধ করে দেয়
আমার মনেহয়, দৃষ্টিভঙ্গিটা এইরকম হওয়া উচিত, কবিকে সম্মান জানিয়ে, পুরস্কার দিয়ে কোনও পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠান নিজেরা সম্মানিত, পুরস্কৃত হচ্ছেন
আমি অবশ্য জীবনে একবারই সম্মানিত হয়েছি "কবিতা পাক্ষিক সম্মান" - , সেজন্য শ্রদ্ধেয় প্রভাতদা তথা "কবিতা পাক্ষিক" এর কাছে কৃতজ্ঞ। এই সম্মানকে আমি আমার লেখার স্বীকৃতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম, অর্থাৎ, আমার কবিতায় উত্তর আধুনিক লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, এটা জেনে আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। 

) এখন কবিতায় অনেকেই সিম্বল, ইকুয়েশন এমনকি খিস্তিও ব্যবহার করছেন।এ বিষয়ে তোমার অভিমত কী?

দেখো অভিজিৎ, এই সিম্বল ইকুয়েশন বিষয়টা এখনও আমার অনুভবে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। এমন নয় যে, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি না, তবে পড়ছি, দেখছি এবং এখনও শিখছি

"খিস্তি" শব্দটিতে আমার আপত্তি আছে। এটি Class difference জাত একটি শব্দ। সব শব্দই সর্বপ্রথম একটা চিহ্ন, যে চিহ্নটি একটা ছবি আঁকে। সেই ছবিটি একজন ব্যক্তিমানুষ belonging to which class, তার অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা, পরিবেশ পরিস্থিতি, সর্বোপরি তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং চেতন-অবচেতন Status এর উপর নির্ভর করে সেই তার উপলব্ধি অনুভবে ধরা দেয়। কোনও শব্দই ব্রাত্য নয়। সঠিক জায়গায় প্রয়োগ এবং শব্দটির বেজে ওঠার ওপরই নির্ভর করে শব্দটির গুরুত্ব। আমার বাড়ির পেছনে একটা বস্তি আছে। বস্তি Class যে শব্দটি শ্লীল, আমার সমাজে সেই শব্দটিই অত্যন্ত অশ্লীল। আবার আমি যে Society belong করি, তার শব্দ ভাষা তথাকথিত Elite society তে অশ্লীল। সুতরাং পুরো ব্যাপারটাই আপেক্ষিক। শ্লীল-অশ্লীল বলে কোনও শব্দ ভাষা হতে পারে না, পুরোটাই নির্ভর করে প্রয়োগের স্থান কাল পাত্র এবং শব্দটির ব্যাঞ্জনার ওপর। 

) তুমি কেনো কবিতা লেখো ? তোমার কবিতায় তোমার কর্মস্থল এবং কর্মের বিষয় আসা যাওয়া করেছে?

না লিখে থাকতে পারি না, তাই লিখি

নিশ্চয়ই আসা যাওয়া করছে, তবে Subconciously.


আচ্ছা রথীন দা এখনতো অনেক তরুণ কবিরা ফেসবুক এবং বিভিন্ন ওয়েবজিন, প্রিন্ট পত্রিকা সব জায়গায় লিখছে।এদের মধ্যে অনেকের লেখা বেশ পরিনত। এমনকি এগিয়ে থাকা।এদের এই ধরনের কবিতা সম্পর্কে তোমার মতামত কী?

দারুণ ভালো লাগছে, খুবই আশাপ্রদ। কবিতাকে তো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আরও Updated করতে হবে। শব্দ অক্ষর লাইনকে আরও গতিশীল করতে হবে। সে জায়গায়, আমি নাম বলছিনা, পক্ষপাতদুষ্টতায় অপরাধী সব্যস্ত হব এই ভয়ে, বেশ কিছু তরুন কবি, Specifically আমার জানা এবং পড়া ১৪-১৫ জনদায়িত্ব নিয়ে, নাম যশের তোয়াক্কা না করে সেই কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকে আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা। তাদের প্রতি শুভেচ্ছা। সবচেয়ে বড় কথা, আমি তাদের কবিতা থেকে অনেক কিছুই শেখার চেষ্টা করছি। 


১০) রথীন দা তুমি কী এইসময় রবীন্দ্রনাথ পড়বে নাকি জীবনানন্দ, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, শঙ্খঘোষ এঁদের পড়বেনাকি বারীন ঘোষাল বা দীপঙ্কর দত্তের মতো কবিদের  পড়বে ?

তো বড় গোলমেলে প্রশ্ন করে ফেললে অভিজিৎ। আমি ভজহরি মান্নায় মাটন বিরিয়ানি লাঞ্চ করব, সন্ধ্যায় পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে ফুচকা আলুকাবলি মেরে ঝালের চোটে হুসহাসও করব। তাই বলে পীসিমণির করা ভাত ইলিশ মাছের পাতুরি আর মুগ ডালের সাথে কড়া আলু ভাজা দিয়ে ডিনার সারব না?
রবীন্দ্রনাথ এই সময় কেন, আমৃত্যু সঙ্গী
মোদ্দা কথা, যাহা ভালো তাহাই পড়িব। যাহা মন্দ তাহাও পড়িব। এক্ষেত্রে আমার কোনও ছুৎমার্গ নেই। মন্দকে না জানলে ভালোকে চিনব কীকরে

১১) যেহেতু তোমার লেখা অনেকটাই main streem থেকে আলাদা। ফলত তোমার পাঠককুলের পরিধি কেমন বলে তুমি মনে করো?

নগন্য। 


১২) কবিতায় বহুরৈখিকতা  বিষয়ে তোমার তো ধারনা আছেই, এই  বিষয়টি তুমি কিভাবে ব্যাখ্যা করবে?

শেষ লাইনে, কেউ কথা রাখে না ....বলে আমি একটা বড়সড় দাঁড়ি দিয়ে দিলাম। ব্যস, হয়ে গেলো, দফারফা। প্রথম লাইন থেকে শেষের আগের লাইন পর্যন্ত একটা সুন্দর রচনা লিখলাম, বিভিন্ন উপমা, উদাহরণ সহযোগে, আবেগে থরথর করে কাঁপছে পুরো পৃষ্ঠা, কিন্তু , তোমাকে বলপূর্বক টেনে নিয়ে গিয়ে থামালাম আমার নিজস্ব Conclusion এ। অতঃপর আর কিছু নেই, একদম থেমে যাওয়া, Total completeness, পাঠক তার নিজস্ব ভাবনাকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। আগেই বলেছিলাম না, (A+B) whole square থেকে শুরু করে A square +2AB + B square এসে থেমে যাওয়া, তারপর আর এগোনো নেই। আসলে আধুনিকতা একটা নিউক্লিয়াসকে ভর করে দাঁড়িয়ে থাকতো ....এই একমুখীনতা। এই নিউক্লিয়াসটি Dissolved হয়ে গেলে, কেন্দ্র ছেৎড়ে গেলে, কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণ ঘটলে, প্রান্তিক প্রাধান্য পেলেই কবিতা বহুরৈখিক হবে। তখন পাঠকের পূর্ণ স্বাধীনতা একটা Text কে Decode করা, Deconstruct করা, তার নিজস্ব দর্শন, অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদির সাপেক্ষে। বহুরৈখিকতার এটাই মজা। বিশ্বাস করো অভিজিৎ, আমার তাত্ত্বিক জ্ঞান সাংঘাতিক সীমিত, আমি যেটুকু উপলব্ধি করেছি, অকপটে বললাম, ভুলভাল বকে ফেললাম কিনা কেজানে...


১৩) তুমি কি বাংলা কবিতার বাইরে  অন্য ভাষায় লেখা কবিতা পড়ো? যদি পড়ো কোন ভাষায় কোন কবির কবিতা পড়ো? এতে কি মনে হয় তোমার লেখায় তাঁদের প্রভাব পড়বে বা সেই প্রভাবকে কি তুমি সচেতন ভাবে এঁড়িয়ে চলবে?

পড়ি। লাতিন আমেরিকার কবিতা আমার খুবই প্রিয়। কবি রতন থিয়ামের মনিপুরী কবিতা ভালো লাগে। আরও আছে, এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না

না গো, প্রভাবিত হবার মতন বয়স আর নেই। তবে তাঁদের লেখা থেকে শেখার ব্যাপার অবশ্যই আছে। 


১৪) ক্যানো এঁড়িয়ে চলবে রথীন দা?

একান্তই যদি প্রভাবিত হয়েও থাকি, তবে অবশ্যই প্রভাবমুক্ত হবারই চেষ্টা করব। তবে যে আগেই বললাম না, এতদিন লেখালেখির পর কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যায় না, সুতরাং এড়িয়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। 


১৫) তুমি লেখালিখি শুরু করেছিলে শুধু প্রিন্ট মিডিয়ার হাত ধরে। এখন আমাদের মতো অনেক ওয়েবম্যাগেও বেশ লিখছো। এই ২টি ভিন্নি মাধ্যমকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?

ওয়েবম্যাগই এখন এই e-World প্রচারের পরিধিকে অনেক Vast করে দিয়েছে এবং আরও দেবে। ওয়েবম্যাগের ভবিষ্যৎ সাংঘাতিক আশাপ্রদ
তবে একটা কথা, প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। ছাপানো পত্রিকার সাথে একটা অদ্ভুত মায়া ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে। যখন পোস্ট ম্যান এসে লেটার বক্সে "লেখক সংখ্যা" কিংবা "Specimen copy" স্ট্যাম্প মারা নিজের কবিতা ছাপা পত্রিকাটি Drop করে যায়, তার হার্দিক আকর্ষণের Feelings আলাদা। যদিও সেসব পাট বর্তমানে প্রায় চুকে গেছে বললেই চলে। এখন কোনও পত্রিকায় লেখা ছাপলে, সৌজন্য সংখ্যাতো দূরের কথা, লেখাটি আদৌ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে কিনা তা সম্পাদক/সম্পাদিকা অন্তত Over phone জানানোরও প্রয়োজন মনে করেন না। এমনকী, নিজের কবিতা আছে এমন পত্রিকা নিজেকেই কিনতে হয়। সে জায়গায়, ওয়েবম্যাগ অনেক বেশি এগিয়ে আছে। Social media মাধ্যমে নিজেও জানতে পারি আর একটা বিশাল পাঠককূলের কাছে লেখা পৌঁছে যায়। 


১৫) তোমার কী মনে হয় web.mag, print media কে একসময়  অতিক্রম করতে সক্ষম হবে?

হয়তো। এখন তো Paperless work এর সময় এসেছে


১৬) এখন অজস্র কবিতা লেখা হচ্ছে।বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশও হচ্ছে। কিন্তু তারপর আর কবিতাগুলির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না এমনকি কবিতাগুলোও না। তোমার মতে এর কারণ কী? 

আমার কাছেও এটি রহস্যময়। তবে ধারণা করি ইদানিং কিছু ভুঁইফোঁর কবির আমদানি হয়েছে। তারা হয়তো ভাবছেন, কোনওরকম পড়াশোনা ছাড়াই, দু-চারটে Stunting word অথবা Line নামিয়ে মোটামুটি একটা কবিতার মতন কিছু দাঁড় করিয়ে দিয়ে 'কবি' হিসেবে চটজলদি একটা আলাদা Identification তৈরি করে নিজেকে Specialized করা খুবই সহজ। শুধুমাত্র একটা পেন আার এক চিলতে কাগজ, ব্যস, কবিতার জন্য তো এটুকুই যথেষ্ট। এরপর তো সোসাল মিডিয়ায় নিজস্ব একটা গোষ্ঠী আছেই, হাততালি দেবার জন্য। সেই কবিতা এবং কবিরাই কিছুদিন পরেই নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় কবিতায় যারা থাকবে বলে কোমর বেঁধে নামেনি, তাদেরই হদিশ মিলছে না। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ভুলও হতে পারে


১৭) চারিদিকে কবিতার জন্য বিভিন্ন ম্যাগাজিন, সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে কবিদের সম্মান জানানো হচ্ছে। এতে কি কবিতার উন্নতি হচ্ছে? বিষয়টিকে তুমি কিভাবে দেখো?

" সম্মান" কবিতার উন্নতি করতে পারে না। 


১৮তোমার কতগুলো একক কাব্যগ্রন্থ আছে। এই  কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে বা তোমার কবিতার মাধ্যমে তুমি পাঠকদের কি বার্তা দিতে চেয়েছো?

একটি। "জ্যোৎস্না জেনারেটর", প্রকাশক : কবিতা পাক্ষিক, প্রকাশকাল : ২০০১, কলকাতা বইমেলা। 


১৯) তুমি কী বিশ্বাস করো কবিতা লিখে সমাজের পরিবর্তন সম্ভব

আমার মতে কবিতা প্রত্যক্ষভাবে সমাজ পরিবর্তন করতে পারে না। সমাজ পরিবর্তনের দায়িত্ব সমাজ সংস্কারকদের। তবে কবিতা জনমানসের চেতনায় বিপ্লব আনতে পারে। জনগনের দ্বারাও, তাদের পরিবর্তিত উন্নত চেতনা সমাজ পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। তবে সেই ধরণের কবিতার আবেদন ভিন্ন, ধারাও ভিন্ন। রাজা তোর কাপড় কোথায়, এই প্রশ্নের ভিতরেই অন্তর্নিহিত থেকে যায় সমাজ পরিবর্তনের বীজ। 


২০) কবিতায় জটিলতা এবং দূরুহতা এই বিষয়ে আমাদের পাঠকদের কিছু বলো

কবিতায় জটিলতা, দুরুহতা বিষয়গুলো আপেক্ষিক। রবীন্দ্রনাথের "সোনার তরী" এই বিংশ শতাব্দীতেও কি সহজবোধ্য? জীবনানন্দের "ক্যাম্পে" কি আজও জটিল নয়? বিনয় মজুমদার, বারীন ঘোষাল রঞ্জিত সিংহও কি দুরুহ নয়? অবশ্যই জটিল এবং দুরুহ। কোন শ্রেণীর পাঠকের কাছে? তাদের কাছেই, যাদের কবিতা পড়ার সেরকম অভ্যাসটুকু নেই, কবিতার ভিতরে ঢুকতে সাহসে কুলায় না, কবিতার আবহে থাকে, কিন্তু ভাসাভাসা, এবং মনের মধ্যে একটা Presetting conception বদ্ধমূল ধরে রাখেন এবং Biased হয়ে পড়েন এই ভেবে যে, ওসব এখনকার কবিতা, বুঝব না। বুঝব না মানে বুঝবই না। তারা এটা অন্তত বোঝার চেষ্টা করেন যদি, যে কবিতা Physics Maths এর মতন বোঝার জিনিস নয়, কবিতা অনুভবের বিষয়, উপলব্ধির বিষয়, তাহলেই এই কবিতার ক্ষেত্রে "জটিলতা", "দুরুহ" এসব ব্যাপারগুলো অনেকটাই Abolished হয়ে যাবে। পাঠকেরও একটা দায়িত্ব থেকে যায় কবিতার অন্তঃস্থলে প্রবেশ করার, সবটাই কি কবির দায়িত্ব, কবিতাকে গুলে পাঠকের মুখে দিয়ে জল দিয়ে গলাধঃকরণ করার?  

 ২১) রথীন দা আমি জানি বাংলাদেশে তোমার কবিতার একটা ভালো পাঠককূল আছে। তুমি তোমার পাঠকদের কাছে কী প্রত্যাশা করো ?

Honestly বলছি অভিজিৎ, আমি নিজেই জানি না বাংলাদেশে আমার পাঠককূল সম্বন্ধে, ভালো কম তো দূরের কথা। 

আমার পাঠকদের কাছে আমার এক এবং একমাত্র প্রত্যাশা...ভালোবাসা, শুধুমাত্র ভালোবাসা শুভেচ্ছা। 



আপনার ৩টি কবিতা দেবেন দাদা
---------------------------------------------------------

অভিজিৎ, "তিনটি কবিতা", এই কথা রাখতে পারলাম না, একটি কবিতা দিচ্ছি, আমার একমাত্র কবিতার বই, "জ্যোৎস্না জানারেটর",  কবিতা পাক্ষিক থেকে প্রকাশিত, ২০০১ সালে, সেখান থেকে, ৩১ নং কবিতা। সেভাবে দেখলে চারখানা, কিন্তু একসাথে পড়লে একটাই কবিতা, পাঠক যেভাবে নেবেন


প্রথম পরিচ্ছদ : হাসপাতালের যে কোনও কোণ থেকেই শুরু হতে পারে নিখুঁত কবিতা

সুতরাং ধরে নেওয়া যেতে পারে আরোগ্যকামী কোনও মানুষই বর্ষাতির ব্যবহার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন নয় আর সেই কারণেই আগামী সতেরই জুলাই প্রত্যাশত মৌসুমি বায়ুর দক্ষিণবঙ্গ জয়ের আগাম খবর থাকলেও অথবা সেচ দপ্তরের প্ররোচনায় কোনও নিদ্রাপ্রিয় বাঁধের আচমকা বাচাল হয়ে ওঠার তীব্র সম্ভাবনা সত্ত্বেও আমি নির্ভুল আরোগ্যের দিকে যাব কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই কেননা পুরোনো মদের কারুকার্যময় রঙিন যে বোতলগুলিতে রাখা আছে আমার সুখ দুঃখ ভাষা মৌনতার তিরিশতম পরিমার্জিত সংস্করণের সবকটি খণ্ড তারই একটি আমারই অন্যমনস্কতায় একদিন সশব্দে  মাটিতে পড়ে কয়েক টুকরো হয়ে যাওয়ায় মরিচা রঙের যে তরলটি চৌকাঠের দিকে গড়িয়ে গিয়েছিল তাকে কি বলব ----ভালবাসার তো নির্দিষ্ট কোনও উপপাদ্য নেই আর সেই কারণেই কখনই বলা যায় না চৌকাঠ পেরিয়ে তার অভিমুখ ছিল অনিবার্য আরোগ্যের দিকে কোনও এক হাসপাতালের দিকে....

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : হাসপাতালমুখী সব রাস্তাই মিতভাষী হয়

.টি- বাইরে লাল আলো জ্বলে উঠলে বুঝতে পারি এই পৃথিবী মূলত ভাষাহীন অথচ নিঝুম কিছু শব্দ সমষ্টি তারপর গ্রুপ মেলানো রক্তের প্রয়োজন হতে পারে এবং অক্সিজেন---এখন আমি কি সুকুমার সেন খুলে বসব---তার চেয়ে বরং এক প্যাকেট সিগারেট ঘনঘন স্টিমারের ভোঁ আউটরাম ঘাট সুতরাং কাল্পনিক ত্রিভুজটির তিনটি কোণে ঝাপসা ফ্ল্যাশব্যাক-এর মত কোনও ভ্যানিশিং পয়েন্ট বসালেই 'সুতরাং' চিহ্নটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে ত্রিভুজের তিনটি কোণের ধ্রুবক যোগফল আর তখনই মৌসুমি অক্ষরেখার দোদুল্যমানতার চেয়েও বেশি উৎসাহিত হব উৎসগামী গেরুয়া উদ্বাস্তু বিষয়ে কেননা এসপ্ল্যানেড থেকে রবীন্দ্র সদন আ্যকাডেমি থেকে পটলডাঙা স্ট্রিট এইসব রাতদিন দিনরাত প্রলাপ এবং যুক্তির ভিতরে বোধহয় এতক্ষণে হিম .টি থেকে হিসেবি হৃদয়ে মূল্যবান যন্ত্র বসিয়ে কোনও আহাম্মক বেরিয়ে এসেছে অফিস ছুটির পরে আজ দেখতে পাব প্রেসকপি হাসপাতাল যন্ত্রমানব....

তৃতীয় পরিচ্ছদ : অফসেটে যতবারই হাসপাতালকে লাইন টু লাইন কম্পোজ করতে যাই ততবারই রান অন হয়ে যায়

এখানে এসে কয়েক মুহুর্ত থমকে দাঁড়াতে হয় জীবনে অন্তত একবার সত্যবাদী হবার বিশেষ লোভ হয় "নকল হইতে সাবধান" এই সতর্কীকরণটি আপাতত গোপনে সরিয়ে রেখে ভুলে যেতে হয় আজ রবিবার কিনা অথবা হাওয়া দপ্তরের প্রচলিত পূর্বাভাষ এবং ধারালো নগ্নতার কাছে কৃতজ্ঞ সেলোফেন পেপারের মত সমূহ পোশাক পরিচ্ছদ বদলে গেলে নিদারুণ অসম্পূর্ণ মনে হয় হাসপাতাল বিষয়ক সমস্ত রচনা এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ঘিরে ফ্যাকাশে রিকেটের ভিড় অথবা লেবার রুম থেকে মর্গ-এর ক্রমশ কমে যাওয়া দূরত্ব ব্যবহৃত ডিসপোজেবল্ সিরিঞ্জ প্রখর মুদ্রিত হয়ে যায় লাইনের পর লাইন এই কিউব শহরের প্রান্ত থেকে প্রান্ত "আমি ক্লান্ত প্রাণ এক চারিদিকে জীবনের সমুদ্র"....এবং চারিদিকে......

চতুর্থ পরিচ্ছেদ : ব্যবহৃত ডিসপোজেবল্ সিরিঞ্জে ভরে উঠছে হাসপাতাল

তবুও আরোগ্যর উজ্জ্বল সংজ্ঞা নিয়ে যারা ফিরে যায় ক্যারামের শব্দের মত উদ্দাম মৌলিকতা নিয়ে ভাষা মৌনতার দিকে তারা চলে যায় .টি আ্যন্টিবায়োটিক ছুঁয়ে উর্বর জরায়ু অন্ধকার মর্গ ছুঁয়ে পড়ে থাকে হাসপাতাল লিটল্ ম্যাগ-এর মত রুগ্ন শিল্প লেখা মায়াবী হলদেটে প্রচ্ছদ এক-দু ফর্মার বই কবিতা কবিতা মিনারেল ওয়েটারের বোতল টি-ব্যাগ চর্চায় মশগুল হয়ে যেতে যেতে স্পষ্ট টের পাই আড়ালে জমছে ধুলো ধুলো ব্যাথা...ধুলো মাড়িয়ে তবুও হাসপাতালের দিকেই চলে যাই বারবার লেবার রুম থেকে নিজেকেই তুলে আনি অন্ধকার মর্গ থেকে ভাঙাচোড়া ডিসপোজেবল্ সিরিঞ্জ...প্লিজ ডক্টর সিস্টার প্লিজ....


আমাদের সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন এবং আমাদের সকল কবি, পাঠকদের তরফ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা। আর আমার তরফ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল দাদা। একটা কথা অকপটেই স্বীকার করি যাদের কবিতা পড়ে, আবার কবিতা লিখতে বসা যায়, আমার সেই পছন্দের কবিদের তালিকায় তুমিও আছো। ভালো থেকো রথীন দা।               



Sunday, May 31, 2020

নাসের হোসেন

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।

                                      নাসের হোসেন

মুখ

অন্ধকার সমাগম হলে আলোর পথ খুলে যায়
এরকম একটা ধারণা জগতে প্রচলিত আছে,কিন্তু
সময়- সময় এমন একটা সময় আসে যখন
অন্ধকারের সর্বত্রই অন্ধকার, কোথাও কোনো আলো

দেখা যায় না,আলোর পথ তো দূরের কথা,
এতটাই দূরের যে তারাও দেখা যায় না,সাধুভাষায়
যাকে বলা হয় নক্ষত্র, নক্ষত্ররাতো বরাবরই দূরের
কেবল একটাই নক্ষত্র আমাদের কাছে রয়েছে,যার

টানে আমাদের পৃথিবীটা পরিক্রমা করে চলেছে অবিরত
যার শস্য-কিরণ আশীর্বাদে আজো পৃথিবী প্রাণময়ী
মাঝেমাঝে এমনও সময় আসে যখন অন্ধকার  
হয়ে যায় অন্তহীন, ঝড় থামে না,বৃষ্টি  থামে না

আসলে কিন্তু অন্তহীন নয়, সব ঘটনারই পরিসমাপ্তি 
রয়েছে,তারপরেই শুরু হয় নতুন ঘটনা,নতুন যুগ 
তোমার ফিনফিনে ওড়নার উপরে অনেকগুলি নক্ষত্র উজ্জ্বল
হয়ে ওঠে,আর ঠিক পিছনেই অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মুখ



Saturday, May 30, 2020

শম্ভু রক্ষিত- উৎসর্গ সংখ্যা

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
  
            শম্ভু রক্ষিত- উৎসর্গ সংখ্যা


শম্ভু রক্ষিত

১৯৪৮, ১৬ই অগাস্ট — ২০২০, ২৯শে মে  ৭২ বছর বয়সে, শুক্রবার সকালে পরলোকে যাত্রা করেন।হাংরি সময়কালে তিনি ব্লুজ পত্রিকায় লিখেছেন। কবি শঙ্খ ঘোষ সম্মান জানিয়েছিলেন শম্ভু রক্ষিতকে, জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কলম ধরার জন্য, এমনকি তাঁকে জেল যেতেও হয়।

আজ সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনের এই সংখ্যা কবি শম্ভু রক্ষিতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। 
তাঁকে উৎসর্গ করে   


প্রভাত চৌধুরী

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
প্রভাত চৌধুরী

ব্ল্যাকহোল 

ব্ল্যাকহোল সম্পর্কিত যাবতীয় বিবরণ লিখে রেখেছে
নাসের হোসেন
তার কৃষ্ণগহ্বর গ্রন্থটিতে

আমি নতুন করে লিখতে শুরু করলে
আগে লিখব ব্ল্যাক
পরে হোল

আর কালোকুকুর এবং কালোগোলাপের প্রতি
আমার আকর্ষণের কথা সকলেই জানেন
হোল-কে ভাষান্তর করে যদি ফাটল-এ
পৌঁছে যাওয়া যায়
তাহলে আমি যুক্তিফাটলের সন্ধানে
রুদ্র কিংশুক-এর কাছে যাব

অর্থাৎ নাসের হোসেন থেকে রুদ্র কিংশুক
এটাই আমার ব্যক্তিগত ব্ল্যাকহোল