Saturday, May 30, 2020

মৌমিতা পাল

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
মৌমিতা পাল

আবার বাঁচবে তারা 

বাংলার বৃক্ষরা মরেছিল বলে
ঈশ্বরের রাজপথে ভেসে যায়
বিদিত অন্ধকারের দুহাজার কুড়ি।
বাংলার পথে পথে মানুষের সাজানো সংসার,
অশেষ দয়ায় পাখিদের পশুদের মানুষের দেহ 
পীত সাদা কালো - যেনবা ফাটা খোসা লাল,
অবিকল একই স্বাদ মৃত্যুর
ঝড়- রোগ - করোন শানিয়ে নখর
নিয়মিত খেতে শেখে বড়ো।

মৃত্যুর মাঝেও এবছরের দেয়াল
পড়েছে ' ফিরে আয় ' ডাক।
নীল নির্বোধ মাছি খণ্ডিত সহস্র আলো 
গুঁজে দেয় দেহহীন অশ্রুহীন গাধার দাঁতে।

এ বাংলা মরেও মরে না।।

পীত সাদা কালো - যেনবা ফাটা খোসা লাল,
অবিকল একই স্বাদ মৃত্যুর
ঝড়- রোগ - করোন শানিয়ে নখর
নিয়মিত খেতে শেখে বড়ো।

মৃত্যুর মাঝেও এবছরের দেয়াল
পড়েছে ' ফিরে আয় ' ডাক।
নীল নির্বোধ মাছি খণ্ডিত সহস্র আলো 
গুঁজে দেয় দেহহীন অশ্রুহীন গাধার দাঁতে।

এ বাংলা মরেও মরে না।।




সংযুক্তা পাল

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
                              সংযুক্তা পাল


গবাদিপশু

একজন বিবাহিত কৃষক এভাবেই গড়ে ফেলে 
       একটি 'পশু-খামার'।
মালিকানা যতটুকু আনন্দ       
                        দেয় চাষে
ঢের বেশি অঙ্ক কষে শোষণের
পিরামিডের চূড়োয় ওঠে 
                       ব্রান্ডেড সোল,
নীচের দিকে তাকালে ভয় 
                                  করে;
অমীমাংসিত জিজ্ঞাসা চিহ্নের
তাকগুলো ছেড়ে দিয়ে
আমরা যারা মাঠের দিকে 
                               তাকাই
একসময় অভ্যেসে নিশ্চিন্তে 
ঢুকে যাই খামারের ভিতর।


বিশ্বজিৎ দাস-মুক্তগদ্য

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
বিশ্বজিৎ দাস-মুক্তগদ্য

অরোরিনের পাঁচসাত

আধো ভাঙা সকালে উঠে দেখি একটু একটু করে সরে যাচ্ছে আমাদের শৈশব। ঝিঙে ফুল আর সোমত্ত পুঁইশাকে মাটির গা'কে ঢেকে রেখেছে বড় সোহাগে। ওদের দেখাদেখি আমারও সারা গা শাদা করে দিচ্ছে ওই আলো। আমি মুগ্ধ। মুগ্ধতার কোনো ব্রিটেনিয়া বিস্কুট নেই। এই ভেবে সেদিনের মতো পায়চারি করি নিজের ভিতর। নিজের স্বভাবে জল দিই। ওরা খুশি হয়। হাওয়াদের কিছুক্ষণ বসতে বলি; আঙুলের মুখে বসাই বেঁচে থাকার মন্ত্র! পোশাকে ডানা জুড়ে দিই, সুপারি গাছের কাছে; চেয়ে বসি মজ্জাগত মিষ্টিকস্বর। ওরা চুপ থাকে। আশঙ্কায় ডুব দেয়; এই বুঝি স্বপ্নঘোর কাটিয়ে পৃথিবীর ভুলতে থাকা মাছেদের ডেকে আনি, এই বুঝি জলে ভাসিয়ে দিই শিকড়ের নিকটবর্তী ঘনিষ্ঠকে। ওরা পারে না... জীবনকে বালিকা ভেবে বালির আদরে শুয়ে পড়তে। ডাবের ঝুলে পড়া দেখে এরকম অস্বস্তি জানায় আমাকে। সমুদ্রের আড়ালে বহুবার বিবাহগোলাপ দেখেছে। ওখানে জন্ম নিয়েছে এক ঔদ্ধত্য পুষে রাখা কবি। নিজেকে ছিঁড়ে সে দেখেছে; চর্যাপদের কামকলি। সে জেনেছে পাদাচার্য মানেই ব্যক্তিগত নয়; কাব্য থেকে কবিতার সাহাজঙ্গলী! শ্লোক কিংবা প্লেট ভাঙা শব্দমালা, হয়তো বা তৎসম অসংলগ্ন জীবনের দুচারটি কথা অথবা শেকশুভোদয়া আড়চোখের বস্তু নয়। দিন শেষ। আবারও দেখা হবে কানু ছোড়ার সনে; কদম্ব বনে!

হারাধন চৌধুরী

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ।
হারাধন চৌধুরী


মানচিত্র কিংবা সিন্ডিকেট
একটি মানচিত্রের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মানুষটি নিজের সন্ধান করছে। এইভাবে সে পার করে ফেলেছে সাতটি দশক! নিজেকে খুঁজে পেলেই সে মিশে যেতে পারে অনায়াসে তার সঙ্গে। স্বপ্ন অধরা তার এখনো। 
ম্যাপটা কেউ একটা প্রাণপণে আঁকড়ে রেখেছে, বুঝতে পারছে সে। বহুবর্ণরঞ্জিত ছবিটি যাতে কোনোভাবে ছিঁড়ে খুড়ে না-যায়, তার জন্যই মরিয়া চেষ্টা সেই অদৃশ্য কারো। মাঝে মাঝে মানুষটির কানে আসে তীব্র হুংকার। হাওয়ায় ভেসে আসে গরম বারুদের কটু গন্ধ। 
এক পেট খিদে, এক বুক তেষ্টায় ভরা মানুষটির রক্তাক্ত পা দুটি টলোমলো। মাতালের মতোই। খুব ভয় পায় সে। বারুদের গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায় তার। 
রোদ এখন ক্লান্ত। ক্লান্ত ভীষণ। একান্তে একলা ঘরে সেঁদিয়ে যাওয়ার তর সয় না রংবাজের। মানুষটির দু'চোখে তখনো উড়ে যাচ্ছে রঙিন রুমাল—তাতে লেখা: দেশ আর মানুষের মাঝে কোনো সিন্ডিকেট নেই।

 

রাখী সরদার

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... দ্বিতীয় বর্ষ
রাখী সরদার

মাধব,বহুত মিনতি করি তোয়

মেঘান্ধতমসার দিনে
শ্রীরাগ বাঁশির সুরে যুগপৎ মুগ্ধ হ‌ই,তাও


মাধব,বহুত মিনতি করি তোয় -- আমি আর
যাইতে পারিবোনা কালিনী ন‌ইকূলে...
তুমি যেমনতর ব়াঁশি বাজাও।


আশেপাশে দূরারোগ্য নদী, ময়ূর ও হয়েছে
সমকামী।গূঢ় সংকেত বোঝেনা 

পীতরঙ নৌকা যদি পাই,যদি বান্ধবী বড়াই
ধরে হাল -- তোমার সনে দেখা করিব।

 যদিও কালিওনাগ নেই, তাও ত্রস্ত আমায়
 ভাবায়,মাছেরা হয়েছে ধূর্ত, যমুনায় বেড়ায়
 হাঁ মুখে, যদি বস্ত্র গিলে নেয়!

আমি কুলবালা, কী প্রকারে ফিরিব ঘরেতে!

মাধব,বহুত মিনতি করি তোয় -- আমি
আর যাইতে পারিবনা  কালিনী ন‌ইকূলে...