Thursday, May 7, 2020

অভিজিৎ দাসকর্মকার

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... 
দ্বিতীয় বর্ষ।


দেয়ালশ্রীর দৃশ্যদূষণে হ্যালান
অভিজিৎ দাসকর্মকার


ছায়ামানবীর ভুল আত্মীকতায়,
আমার দু'পায়ের মাঝ দিয়ে সেপ্টেম্বরি মাস গড়িয়ে পড়ছে,
গত সাতদিনের সবরকমভাবে লতিয়ে ওঠা অণুশরীর, আর সফেদ স্মৃতির খুনসুটি ইস্তিরিকরা রাত জড়িয়ে ধরছে।

১টি ঘটমান অতীত এবং সন্ধানী সময়ের স্বপ্নগন্ধ গল্পের তথ্য ঘাঁটছে।
তবে কী ;
ভুলের বীর্যপরীক্ষা হয়?———

আমারই মন আর মেঝের দু'টানার মাঝদিয়ে ক্যালেন্ডারের লালদিনগুলো উগলে দিচ্ছে কুয়াশা-শরীরের গন্ধ। আমি এখনো চামড়া আর চশমার ফারাক বুঝতে চাইছি _____

তাহলে,
  স্কোয়ামাস এবং গাঢ়ভাবে ধরাশায়ী শুক্রাণুর আদমসুমারীর শিরাবিন্যাস, আর
সেই কবেকার প্রবন্ধগুলো , ঘড়ির শব্দে নিউরোণে সন্ধ্যা-প্রদীপ দিচ্ছে,

এসবের পরও বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোলরুমের বাইরে শিলাবৃষ্টি দেখেছো কখনো?__

যদি তাই হোতো শব্দমানবী;___

অগুনতি বীজগণিতের চোয়ালে তোমার গজ-গঠন,
   আমার ডেঁপোমির ডাবকা ছলাকলা,
  কফিঘরে স্বতন্ত্র দ্যাখা হওয়ার ভাবাবেগ

কিছুই দেয়ালশ্রীর দৃশ্যদূষণে হ্যালান দিতে যেতো না_____

অনুরূপা পালচৌধুরী

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... 
দ্বিতীয় বর্ষ।



ব্যাসিল রোদের ডায়াল
অনুরূপা পালচৌধুরী

খুব ভোরের ১টা দংশন ফুরিয়ে মেখে দিই লিংটোলের বিকেলবেলা। অগুন্তি বাতাসের পাশে ভিজিয়ে রাখা ঘামের মিউট্যান্ট শেকিমের জাঁকরোদ। আমাকে দাও ঘনকাফের বিবাদহীন গলাভাতের স্নায়ুজল।কয়েকঘর বৃষ্টি নিয়ে স্ট্রাইকার এখন ফেরা খুঁজে খুঁজে তালিকার স্বাদ। খইনামের পেশোয়া বালাই ব্যাসের বাতিকে আকাশ টুকে বাকবাস্পের হাতখড়ি। ছিন্নমাঘের দুপুরক্ষত ছড়া বাঁধে আঙুলের গুঁড়ো

মন্দিরা ঘোষ

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... 
দ্বিতীয় বর্ষ।

বিপর্যয়ের পরে
মন্দিরা  ঘোষ


ভোরের সম্পাদ্যে কোনো  পালাবদল নেই
আকাশে হলুদ ওড়না বিছিয়ে  সকাল নামে
বারান্দায় বারান্দায় সাদা রুমাল ছোঁয়াচ ভেঙে
সাজিয়ে রাখে মেঘলা উত্তেজনা
নীল কবরের গায়ে জেগে থাকে
  তাজা ফুলের করুণা

কয়েকটি  কুকুর খিদে চেটে নেয় দিনের আলোয়
একা কোনো  শূন্য ছাদে মেলা থাকে
মনখারাপের শাড়ি

  পাখিরা রংবেরঙের ডানা উড়িয়ে
ভেসে যায়
তাদের বুক আর নিতম্বে ঝুলে থাকে
  অহংকারের নীল জ্যোৎস্না

সবুজ ছায়ায়  গোলাপি আতর ছড়িয়ে
ঘুমিয়ে থাকে পরিযায়ী ঋতু

সব নম্র পাতা থেকে ঝরে পড়ে সমাধির গান
নিশ্চুপ তারার মতো কোনো ব্যথায়
ভাসমান  মৃত্যুর উপমা
ঘুমের ভেতরে ফিরে  ফিরে আসে
উপাধির গ্রাম, সন্ধ্যা নামের নদীটি
আর প্রিয় গাছের মায়া


রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... 
দ্বিতীয় বর্ষ। 


ফাইবারের চেয়ার, মান্না দে এবং
রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়

["আমার না যদি থাকে সুর,
তোমার আছে, তুমি তা দেবে......"]

দুখানা চেয়ার,  ফাইবারের,  ছাদের ধারে,  ছাদ তো নয়, সমুদ্রতট, হাতের সাথে হাত ঠেকে আলতো কথা অসংখ্য, যদিও তা এক‌টি শব্দ ছোট্ট লাইন মাধবীলতা সোনালীপাখি বিকেলরোদ ফর্সা ঐ চিবুক ছুঁয়ে পিছলে নেমেই আরও উজ্জ্বল ঐ নারীর তার পুরুষের দৃষ্টি দূরে একটা বিন্দু যেখানে মিশছে হাইওয়ে সমান্তরাল সরলরেখায় অনেক গল্প, শিমুলতুলো, হাতের মুঠোয় ভরসা হাত শব্দহীন সন্ধ্যা রাত শরীর শরীর উঠবে ঝড়, মনও আছে, উড়বে মন,

["তাই আজ বসে থাকি আশায় আশায়,
মাঝখানে নদী ঐ বয়ে চলে যায়....."]

দুখানা চেয়ার, ফাইবারের, ছাদের ধারে, ছাদ তো নয়, কার্নিশের শাসন মেনে নিখুঁত হিসেব স্কোয়ারফিটের শব্দ ওজন লম্বা লাইন হিসেব কষেই রোদবিকেল ডাকছে সন্ধ্যা রাতশরীর শরীরে নেই, শূণ্য উজাড় দুখানা চেয়ার স্তব্ধ ফাঁকা, হাতলের সাথে হাতল ঠেকে ছাদের ধারে নিঃসঙ্গ হাইওয়ে ছুটছে এবং ছুটছে দৃষ্টি সেই নারীর তার পুরুষের মধ্যিখানে বাইশ বছর,

["জীবনে কী পাব না, ছেড়েছি সে ভাবনা....."]

এতক্ষণ ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক ভ্যানতারা মারলাম, আর পারছি না, মোদ্দা কথা, কোনও একসময়ে হয়তো হাজার বিকেল মানুষ মানুষী দুজন বসেছিল দুখানা ফাইবারের চেয়ারে, পাশাপাশি, এ কথা সত্যি, তবে সেই চেয়ার দুখানি আজ গোধুলিতে ছাদের ধারে নেই, আছে বাতিলের দলে, আধোঅন্ধকার চিলেকোঠার ঘরে, তার চেয়েও বড় কথা, চেয়ারদুটো ফাঁকাও নেই, তাদের ওপর বসে আছে পুরোনো খবরের কাগজ, ভাঙা পলিথিনের বালতি, ত্যাবড়ানো কৌটো, ক্ষয়ে যাওয়া ঝাঁটা, ইত্যাদি ইত্যাদি 


কার্তিক ঢক্

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস... 
দ্বিতীয় বর্ষ।

জলঘোলা
কার্তিক ঢক্ 

ঘোলা জল ভাবাচ্ছে এখন-
আমি একা নয় জাহাজের মাস্তুলে। 

আয়নায় চোখ রেখে দখি 
বদলে গেছে জলের আঙ্গিক --
সাধারণ মাছেদের পাখনায় ক্লান্তির এম্বোডারি
দিকভ্রান্ত ঢেউ...

তবু তারা জল ঠেলে
যেদিকে তাকায় ধূ-ধূ ঘোলাজলের খেলা
আধমরা মাছেদের মুখে কে দেবে আগুন! 

এখানেই থাক তবে-
জল বেশি ঘোলা করে কি লাভ...


খিড়কি 

মনখারাপের কুঁড়ি গুলির
কোনো ঘ্রাণ নেই । 

তাই, ফুটে উঠলেও জানতে পারে না কেউ !
শুধু দীর্ঘশ্বাস জানে বলে আমি তাকে
সন্তর্পণে খিড়কির দরোজা খুলে দিই...