অনাময়
নিস্তব্ধতা প্রেমিকের ডাক নাম
বিষণ্ণতাই মেঘেদের প্রিয় মুখ
বেখেয়ালে যদি দিন যায় কার ক্ষতি
অনাময় পেতে জেগে থাকি উৎসুক।
আকাশের বুকে নীলখামে লেখা চিঠি
বৃষ্টিরা জানে ঝরা পাতাদের মন
সূর্যের আলো সব মানুষের ঘরে
উষ্ণতা দেয় আজীবন, অনুখন।
দুর্বোধ্যতা মনোযোগ ভালো বাসে
শূন্যতা গায় সকালের শিসপাখি
সব স্থলভাগ ভাইরাসে আঁকলেও
পৃথিবীর গায়ে শুশ্রূষা লিখে রাখি।।
বিভাস
১.
ধূ ধূ ওড়ে বালি
চর জাগে অনন্তের
চাবি পড়ে আছে
চির গহনের কাছে
মুখ তুলে দ্যাখো
ও আকাশ,ভাঁটিফুল
বলো ভুলে গেলে কেন?
২.
সোহাগী দোতারা
লালমাটি, পথ জানো?
কদমের পায়ে
বাঁশিও আছড়ে পড়ে
পার্বতী নূপুরে-
বিভঙ্গে অনঙ্গ সুর
অষ্টরতি কেঁদে যায়।
৩.
মেঘের শ্রাবণ
নীল চায়, জল চায়
পুড়ে যায় বায়ু-
স্পর্শহীন ধোঁয়া ওঠে
চরাচর ঢাকে
ভুল পথ ভ্রম শিলা -
তবে এসেছিলে কেন!
৪.
পথ, রেখা দাও
দাও পল্লবে বিদ্যুৎ
তারারাও চুপ
হিসেব জানেনা কোনো
ছায়াপথে ফুল-
শোনো, আলো জ্বেলে রেখো।
প্রাণ বাড়ন্ত
সিলিন্ডার প্রতি
এক জীবন আশা -আকাঙ্ক্ষা
ই এম আই এ মূল্য চোকাব।
দুহাতে ছড়িয়েছি গুণিতকে পাপ
সবুজ মুড়িয়ে হাইরাইজের ব্যস্তবাস,
বনজ কঙ্কালে
ভরে দিয়েছি মাটির গর্ভ।
বেলাইনে ঢুকে পড়ছে কার্বন মনোক্সাইড
পাপমুক্তির টীকা ফীকা থাকলে গুঁজে দাও ।
চোখের কর্ণিয়া পুড়ে বোবা বেগুনি রঙ
ফুসফুস হাপর টানা ফ্যাকাশে
এক ছিলিম ও -টু দে মা গো
সুখটান দিই।
বেঁচে যাই যদি,
সবুজ বুনে নেব বুকের ওড়নায়
শিমুলের পায়ে নিঃশর্ত ক্ষমা লিখে দেব
অনাচারী লজ্জিত মানুষ।
লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, মা গো, ইট পেতে...
রোগ শয্যা
প্রতিটি শয্যার পাশে
অমেয় প্রেরণা লিখে দিও।
ঘুমহীন কালরাত্রি-
লৌহচূর গেঁথে গেঁথে স্থবির।
সে সব রাত্রির পাশে
জোনাকি- অক্ষয় এঁকে দিও,
শব্দফুল ফুটে থেকো
প্রতিটি ক্ষয়ে যাওয়া নগরকীর্তনে....
প্রতিটি শয্যার পাশে
অমেয় প্রেরণা লিখে দিও।
ঘুমহীন কালরাত্রি-
লৌহচূর গেঁথে গেঁথে স্থবির।
সে সব রাত্রির পাশে
জোনাকি- অক্ষয় এঁকে দিও,
শব্দফুল ফুটে থেকো
প্রতিটি ক্ষয়ে যাওয়া নগরকীর্তনে....
No comments:
Post a Comment