Wednesday, October 6, 2021

শারদীয় সংখ্যা~প্রচ্ছদে শ্রীমহাদেব

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  প্রচ্ছদে শ্রীমহাদেব












শারদীয় সংখ্যা ১৪২৮

::  সম্পূর্ণ সূচি ::

সম্পাদকীয় নয় কিন্তু | নীলিমা সাহা | সমীরণ ঘোষ | উমাপদ কর | পিনাকীরঞ্জন সামন্ত | স্বপন রায় | সুশীল হাটুই | রঞ্জন মৈত্র | যাদব দত্ত | অলোক বিশ্বাস | দেবযানী বসু | অভিজিৎ মিত্র | অনিন্দ্য রায় | রুদ্র কিংশুক  | রণজিৎ অধিকারী | প্রকাশ ঘোষাল | সৌমিত্র রায় | Karl Kempton | সুদীপ চট্টোপাধ্যায় | বাদল ধারা | জয়ীতা ব্যানার্জী | চিরঞ্জীব হালদার |  দেবাশিস মুখোপাধ্যায় | প্রদীপ চক্রবর্তী | রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় | সব্যসাচী হাজরা | সুকান্ত ঘোষাল | রণজিত্ পাণ্ডে | বাপন চক্রবর্তী | নীলিমা দেব | বিশ্বজিৎ দাস | অনুপ দত্ত | অনুপ মণ্ডল | উদিত শর্মা | নীলাব্জ চক্রবর্তী | তুলসীদাস ভট্টাচার্য | অভিজিৎ দাসকর্মকার | রুবি রায় |


শারদীয় সংখ্যা~শ্রদ্ধার্ঘ্য

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || শ্রদ্ধার্ঘ্য

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন-এর শারদীয় সংখ্যা ১৪২৮,উৎসর্গ করলাম কবি বিনয় মজুমদার কে।



বিনয় মজুমদার

১৯৩৪ সালে বর্মার তেডো শহরে। পঞ্চাশের দশকের কিংবদন্তি কবি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হয়েও সারাজীবন কাটিয়েছেন কবিতার সাধনায়। কবির শেষ জীবন বড়ো দুঃখের, অসুখে-নিঃসঙ্গতায়। মৃত্যুর বছর খানেক আগে তাঁকে দুটি বড়ো পুরস্কার-রবীন্দ্র পুরস্কার এবং সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার দেওয়ায় জাতির বিবেক যেন কিছুটা শান্তি পায়। ষাটের দশকেরপরে অসুস্থতার জন্য কবিতা লেখা কমে গিয়েছিল। মোট কাব্যগ্রন্থ কুড়ির কাছাকাছি, যার মধ্যে ফিরে এসো চাকা তাঁকে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি দিয়েছে। জ্যোতির্ময় দত্ত একে 'গুপ্ত ক্লাসিক'বলেছেন। ' মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারসে উড়ে যায়', প্রবাদসম এই পঙ্ ক্তি মৌলিক। তাঁর চোখে, 'গণিত ও কবিতা একই জিনিস'। আমৃত্যু গণিত ও কবিতার দ্বারা তাড়িত। মৃত্যু: ২০০৬ সালে।



শারদীয় সংখ্যা~সম্পাদকীয় নয় কিন্তু

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || সম্পাদকীয় নয় কিন্তু  অভিজিৎ দাসকর্মকার 


সম্পাদকীয় নয় কিন্তু 

আস্তে আস্তে প্রতিকূলতা পার করে সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন-এর সাথে, আজ ৫ম বর্ষে পা রাখলাম এবং ১৪২৮, চতুর্থ শারদীয় সংখ্যা প্রকাশ করলাম ৩৮ জনের কবিতা এবং দীর্ঘ কবিতার বিশাল সম্ভার নিয়ে। যে সমস্ত কবিরা তাদের শব্দ দিয়ে সাজালেন এই শারদীয় সংখ্যা ১৪২৮,তাদের সকলকে আমার এবং পত্রিকার তরফ থেকে অসংখ্য ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই।

এই সংখ্যায় থাকছে সেই সব কবিদের কবিতা,যাঁরা শব্দে যুবক এবং অনেকে বয়সেও।এমনকী কবিতাকে প্রতি সময়ই আগের কবিতার রূপের বিবর্তন করে চেলেছেন,অনেকেই হয়তো এই আগের ধারাকে ভেঙে আবার এক নতুন ধারায় কবিতা গড়ার বিষয়টিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা মূলক কবিতা বলে থাকেন।সে যাইহোক,কবিতার বিনির্মাণ হোক বা Experimental Poetry ই হোক সবশেষে যেন কবিতা হয় ওঠে,এটাই আমাদের একমাত্র চেষ্টা হয়ে থাকে।

আর বিশেষ কিছু না। এই শারদীয় সংখ্যা থেকে আমরা নতুনভাবে পথ চলবো, সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন সম্পূর্ণভাবে আমন্ত্রিত সংখ্যা প্রকাশ করবে।তাঁদের লেখা,যাঁরা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে বলার চেষ্টা করবেন,যেন কবিতাকে আগের দিনের ফর্ম বা বাচনভঙ্গিকে কপি পেস্ট না করে স্বতন্ত্র প্রয়াস করবেন তাঁদের লেখা নিয়ে। তাতে কবি শব্দ যাপনে তরুণ হোক বা বয়সের মাপে কবিতা যাপনে তরুণ হোক।

সকলে ভালো থাকুন।সাহিত্যে থাকুন।শারদীয় সময় খুশি খুশি কাটুক,প্রার্থনা করি।


শারদীয় সংখ্যা~কবিতায় নীলিমা সাহা

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || কবিতায় নীলিমা সাহা


মাধুকরী 


কখনও বর্ষণ কখনও দহন
বহনযোগ্য সহনই জীবন

দাহ্য, সে তো প্রাচীনকাল থেকে অব্যয়
                                হা-খোলা বাতাস 

রোধবতী মনেপ্রাণে জানে এসব

রঙের বেদনা উপছায়----কখনও 
ছদ্মবেশ, কখনও আভরণহীন 

হা চৈতন্য হা বিস্ময় !

মাধুকরী হয়ে থাকে দহনের গান...

২) 

আমি এখন উত্তর-ব্যাকরণের হাত ধরে
    
    আমি  এখন  আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে---

   উঠে পড়ার এই তো সময় ...

  বয়স ক্রমশ বাড়ছে দ্যাখো তোমার - আমার -
 পৃথিবীর, বাড়ছে দূরত্বও

  বিশ্বাস কথা রাখে না--ভোরের না,ইমনেরও না
 
ভাদ্রের হঠাৎ  আলো আর মেঘের কালোঝলক
---শব্দান্তরে বসে থাকা হাইফেন,ওদের 
   সরিয়ে  সংক্ষেপিত আলপথ ডাকে :
    নীল    ইমা..... নী...লি.....মা


শারদীয় সংখ্যা~কবিতায় সমীরণ ঘোষ

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || কবিতায় সমীরণ ঘোষ
 


হুজুন


দৈত্যের গান যাকে ঝরনা শেখাচ্ছে
সেই তাওয়া 
সঙ্গত করছে হুহু পথিকের লাল
হারানো ঝুমকোর কান যেটুকু শুনছে
খোনা। স্মৃতির বরজ

কোণের আপেল। খাঁখা পোকার ছিদ্রে
বারান্দা কাচের শ্বাস। গলির বেড়াল
মোরগঝুঁটির শিস। সাতনলা। ছবিলা ছবিলা

দৈত্য গানের। ঝরনা বুনছে ধুধু কোপের গোধূলি 


অবান্তর বেগুনি ধুলোয় দৈত্যকে মুছে দেখলাম
এই অভিশাপ
কিন্তু উটের চামড়ার জুতো বালি ফুঁড়ে
বিস্ময়করভাবে চেয়ে

দৈত কী ফিরবে কোথাও। ন্যাতানো গোলক
কাগজের অনাবশ্যক। ফিসফিসে। সন্দেহব্যাকুল

হাড়ের কৃপাণ বালি খুঁড়ে পচা হাওয়াকে তুলছে 
দৈত্য কী ফিরবে
মরুহায়নার ডাক মেঘঅব্দি পৌঁছুবে বলেই
কালো চাঁদ। খেজুরপাতার মই

বালিঝড় হাতে বেদুইন মহড়ার অবান্তর 
লক্ষ্য করছে এক চোখে



মরসুম বসাচ্ছে শীত। সাদা পাঁজরের কুহু 
পাখি-খোঁটা  ছায়ার বিকেল
পোড়া চোলির সন্ধে। বেণীর ইস্পাত 
অপচীয়মান মেয়ে গোধূলিদীর্ঘ

ডাকনাম শিসের রাত্রি। মিউরং। দৈত্যের পুঁথি

টুঁটিচেপা তামার বিদেশ খুলে যায়