Thursday, April 15, 2021

১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~শ্রাবণী গুপ্ত

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||  

শ্রাবণী গুপ্ত

শব্দ কোরো না

নরম ঘাসের কাছে কান পেতে শুয়ে আছি
শব্দ কোরো না

এখনও রাতের কড়া নড়েনি
এখনই কি ফিরে যাওয়া যায়!

আমের মুকুলগুলো শেষ কবে ঝরে গেছে
পলাশের ডালে ডালে আগুনের ডালপালা
কিছুই হয়নি দেখা

নরম ঘাসের কাছে কান পেতে শুনে নিতে দাও সেই সব বেদনার কথা 
আনন্দের কথা
শেষ বেলায় পায়ে পায়ে যাদের চিনে নিতে হয়

শব্দ কোরো না
এখন
শব্দ কোরো না 




১-লা বৈশাখ সংখ্যা || ২টি-কবিতায়~সিদ্ধার্থ দাস

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||     

সিদ্ধার্থ দাস

জাহাজ ডুবি

 

ভূমির ঢাল প্রায় অনিশ্চিত

দেখি আশেপাশে লুব্ধক।

 

হিত বিপরীতে সমাজ সংসার

বই হারিয়ে বেড়াজাল

কে পড়তে নিয়েছে শৈশব বন্ধুবেলা?

অপরাজিতা মলাট কাব্যগ্রন্থনাব্যতা রসিক!

 

সৌম্য মশগুল সম্মোহনী কবিতা বিশদ ত্যাগ।

ক্রমশ নীচু গলায় কথা বারণ।

 

ভয় ভেঙেছে উল্টোপূরাণ

জলে তেল ভেসে বেড়ায় সর্বত্র।

 

বসরাই মুক্তো

 

১.

পাথরের জলাধার যদি পাথরবাটি হয়

ঐচ্ছিক ভাবুন বেশি!

অন্তর দোলাচালে অন্তস্ত্য-অ

শাড়ি অতঃপর অন্তরায়।

 

২.

দয়া করো প্রয়োজন,

যেন ফুল ছিঁড়ে রঙ মাখে পাথরশৈলী।

গর্ধব ফুলমালা ভালোবাসে?

চিন্তা অদৃশ্যতায় ব্যথা পরাভূত!

 

সিজন কাঠের শব্দ কঠিন যোজন।

 

৩.

স্নেহ শৃঙ্খলা চোখ বিস্ফারিত

হাতে দাও মঙ্গল ভেলকি,

কিছুক্ষণ আভ্যন্তরীন মৌর্য।

সম্ভাবনা ফুসলিয়ে স্বাদ-কোরকে আমলকী।




১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~সোমা ঘোষ

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||  

সোমা ঘোষ

কার্নিশ ঘেঁষা চন্দনা

সন্ধ্যা নদী আগুন খোঁজে জল,
বারুদের পিঠের সওয়ার আজ—
পোষ মেনেছে মেঘের কোলে হাসা রোদ
পাশের বাড়ির কার্নিশ ঘেঁষা চন্দনা—
আরো কিছু উপদ্রব।
সিঁদুরে মেঘ বন্দী সেজে — জ্বলন্ত চোখ
তখনো বুঝি পোষ না মানা কায়দায়।
পাড়ার মোড়ে বেহালাবাদক বেহালা ছেড়ে এখন তোলে আদায় — নানান কায়দায়
এফ.এম. শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি
দিন ছোটো রাত বড় সূর্য ও হিসেবী কায়দায়—
কায়দায় ফায়দা তোলা এখন বুঝি হাড়ে মজ্জায়।



১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~চিরঞ্জীব হালদার

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||  

চিরঞ্জীব হালদার

চশমা

ঘনায়মান অন্ধকারের মধ্যে
কেহ কেহ চশমা পড়ে থাকেন।

আমার পোশাক থেকে আজকাল
অশ্ব ক্ষমতার ফিসফিসানি টের পাই।

পিকচার টিউব যখন ঘুমিয়ে পড়ে
তার পাশবালিশ থেকে বেরিয়ে পড়ে
নিরীহ নেকড়টা শিকারের খোঁজে।

বিশ্বাসঘাতক চশমা নিয়ে সাপলুডো খেলতে গিয়ে
হেরে যাও লোকটা।

আমি অন্ধকার আমি চশমা
আমি কবর থেকে উঠে আসা ভার্জিনিয়া উলফের
মুছে যাওয়া অক্ষর।

নীহারিকা রজ্জু
আমি তোমার ভিতরে দখলদারি নিয়ে
পাইলটের কাছে ঋণ করার আগে
ম্যগাজিন থেকে অনাথ বুলেট।

আসলে সব চশমা আমাকে শত্রু পক্ষের
দূরবীন মনে করে।



১-লা বৈশাখ সংখ্যা || গুচ্ছ-কবিতায়~তনিমা হাজরা

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||  

তনিমা হাজরা 

কবাডি কবাডি

আমি এমনই ভাতের জন্য ভুখা,
এমনই স্নেহের জন্য লোভী, 
তুমি হাত বোলালে গায়ে 
আমি আইসক্রিম, 
আমার বাঁচার বেড়ি পায়ে 
 আত্মহারা মৃগ, সন্ধানে নেই নাভি,
 মুচড়ে দিয়ে মাথা,বানিয়ে দিলে একা।।

এক্কা দোক্কা 

ছেলেটা-মেয়েটা প্রেমেই খুঁজছে চাবি,
এবার ওরা বিয়ে করতে চায়, 
সামান্য একটা চাকরি যেমন হোক,
তাহলেই ঘর বাঁধবে। 
মাথার উপরে নিজস্ব ছাত হোক,
হোক একটা পেট ভরানোর আয়, 
রাষ্ট্রের কাছে এটাই ওদের দাবী।।  

বুড়ি বসন্ত

মেয়েটাকে বলো,ধর্ষণ করবেনা কেউ, 
একা একা তুমি যেখানে ইচ্ছে যাও,
সেজে ওঠো পছন্দসই পোশাকে,
তোমার জীবনসঙ্গী তুমিই নিজে বাছবে,
যোগ্যতামতো বেছে নাও নিজ পেশাকে, 
যা ভালো লাগে সে খাবারটাই খাও,
তোমার দুচোখে লাগুক বাঁচার ঢেউ।।

কুমীর ডাঙ্গা

 তুমি খুঁজছ আমায় হাত করবার হাতিয়ার, 
আর টানছো ধরে ভাত-কাপড়ের প্রান্ত, 
 আমি আছাড়-কাছাড় ঝাঁক কইমাছ, 
 দূর্গতি আমার অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র।
 খাপি খেতে খেতে গুজরান যায় আগপাছ, 
 আধুলি জীবন ঘাটা সিক্কায় মরে জ্যান্ত 
 ধর্ম কুষ্ঠ গায়ে দগদগ রস শুষে খায় ভয় বোলতার।।