Wednesday, October 14, 2020

≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||

চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা



আজকের সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন শারদীয় সংখ্যা প্রেম ও প্রতিবাদের কবি চারণকবি বৈদ্যনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা জানালো। প্রণাম


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ সুব্রত পণ্ডিত ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
সুব্রত পণ্ডিতের কলমে চারণকবি বৈদ্যনাথ:



চারণকবি বৈদ্যনাথ ফুল ও মশালের কবি।প্রতিষ্ঠান বিরোধী। প্রকৃত অর্থে বোহেমিয়ান।বিশ শতকের শুরুতে বাংলা কবিতার যে পালাবদল শুরু।হয়েছিলো সেখান থেকেই বৈদ্যনাথের যাত্রা শুরু। সম্পাদনা করেছেন— ফল্গু ও খড়্গ পত্রিকা। লিখেছেন একাধিক পুস্তিকা— দেয়ালের অক্ষর(১৯৬২),বাংলা মা (১৯৭১),বিদ্যাপতি চণ্ডীদাস।ইত্যাদি (১৯৭৬), রাজনৈতিক কবিতা (১৯৭৮), রূপশালী মেয়ে (১৯৮১), বৈদ্যনাথের পদ্য (১৯৮৯) ইত্যাদি।পঞ্চাশের দশকে নিউ আর্টিস্ট গ্রুপ নামে নাট্যদল গড়েছিলেন।লিখেছেন মঞ্চ সফল ২টি নাটক—পথ এবং রঙের গোলাম। লিখেছেন অনু-উপন্যাস —কর্ণ সোমের ডায়রি (১৯৬১)। কাব্য উপন্যাস— ঘেঁটু। রোমান্টিক উপন্যাস— রেণু নেই বসন্ত নেই। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন কেম্ব্রিজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ম্যান অব দ্য ইয়ার (১৯৯৭-৯৮)। এই বর্ণময় মানুষটিকে জানাই আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ সুশীল হাটুই ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
সুশীল হাটুই


ব্ল্যাকহোলের হোলস্কোয়ার

অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে কেন
রসক্ষরণ হয়, প্রোটনকণারা সে-বিষয়ে
নীরব।
তবে ইলেকট্রনের অ্যালবাম খুললেই স্পষ্ট
হয়ে ওঠে, সাইটোপ্লাজমের ৫১ টা দরজায়
৫২ টা ফেভিকলনামা।
প্লাজামার বাৎসল্য বুবিট্রাপের পিনকোড
দিয়ে রেটিনার মাৎসর্য অনুবাদ করে।
আর ইচ্ছামৃত্যুর ইয়েলো জার্নি ফুলস্টপের
হলদে কোরাসে যোগ দিয়ে একেশ্বরবাদে
বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
ফায়ারপ্লেসের শীৎকার নিম্বাস মেঘের
অ্যাকওর্ডিয়ান বাদনের ওপর নির্ভর করে না।
এই ভার্জিন দুপুরে ব্ল্যাকহোলের
হোলস্কোয়ারের অনার্য সম্পাদ্যগুলি এপিটাফ
মেখে ঘুমোচ্ছে।
ফিউজ বাল্বগুলি অন্ধকার অনুবাদের
আঁতরপ্রিনর না-পেয়ে মিশে যাচ্ছে জবাফুলের
সন্ন্যাসযোগে।
তারই সাইডএফেক্টে নিউরনের ক্লাসরুমে
ব্যান হয়ে যাচ্ছে বরফের রূপকথা। 



≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ অলোক বিশ্বাস ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
অলোক বিশ্বাস



অণুগল্প~ বিভিন্ন লোক্যালিটি  

চায়ের দোকানে এক হনুমান ঢুকে সে কী হুলুস্থুল... কে যেন ওখানে কার্ল মার্কসের ছবির পাশে জাক দেরিদার একটা স্কেচ এঁকে রেখেছিল... মুহূর্তে সব ওলোটপালোট... এমনকি ফালগুনী রায়ের কবিতার বই 'নষ্ট আত্মার টেলিভিশন' বিভিন্ন চরিত্রের সংবাদপত্রের ভেতরে ঢুকেছিল... যেটা হনুমানের অ্যাকশনে হুশ করে ছিটকে পড়লো কয়লার উনুনের ওপর... আমি ছুট্টে গিয়ে একটা হাত পাখার হুইপ দিয়ে বইটা দোকানের বাইরে করে দিলাম... কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা  আঁতেল এক তরুণী আমাকে ধমকে বলে উঠলো, এটা আপনি কী করলেন ? আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে, মেয়েটি বললো, সে নাকি ফালগুনী রায়ের বংশধর... সেই মুহূর্তে আকাশ গর্জন করে উঠলো বিদ্যুৎ... আমি বুঝতে চেষ্টা করলাম, হনুমানটি চায়ের দোকানে ঢুকলো কেন... মেয়েটি তখন যা বললো, সেটা শুনে আমি বিস্মিত... চায়ের দোকানে এক লম্পট ঢুকে নাকি প্রথমে দোকানদারকে থ্রেট করে, তারপর একা উদাসীনভাবে চা পানে রত মেয়েটার মাই টিপে দেয় সজোরে...কিছু দূরে গাছে বসে দৃশ্যটা দেখে ফেলে ওই হনুমান... চাওয়ালা নিশ্চয়ই লম্পটের ব্যবহার দেখেছিল, কিন্তু সে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করলো না কেন, কেন চ্যালেঞ্জ করলো না ওই লম্পটকে... চাওয়ালা যেটা পারেনি, হনুমান সেটা করে দেখিয়ে দিল... ওই হনুমানকে মেয়েটি ভালোবাসে... খেতে দেয় টিফিনের কলা আর রুটি... সেই হনুমান প্রতিবাদে ফেটে তছনছ করে দিলো দোকান... মেয়েটা অবশেষে আমার হাত চেপে ধরে বলতে থাকে, আপনি ওই বইটা বাঁচিয়ে দিলেন... আপনি না এলে ফালগুনী রায় আগুনে পুড়ে যেতো...


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ স্বপন রায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
স্বপন রায়


                         উদাসীন মল্ট                                   

৮.

 আমাদের গ্যাং, আমাদের উদাসীন মল্ট

 

আমি অবাকবিদ্ধ জেনে তুমি অপাপ

তুমি ঠিক না আমি, আমাদের গ্যাং

 

শোনো বাওয়াল খয়েরি হচ্ছে, শোনোনা

আমরা কোয়েলে পা রাখি, সঙ্গমটা দূরে হোক

 

যাদের পেট আছে তাদেরও ঠাসা আছে ইলেকট্রন

নাভির কথা থাক, উদাসীন মল্ট তাই শুয়ে আছে

খেত ছেড়ে উঠছে না

 

আমি বিদ্যুৎ, তুমিও। চমকাই। মেশিনগুলো গরম না হলে

দাঙ্গা হতে কতক্ষণ

 

আমাদের গ্যাং এই সবকিছুর মানে বলে দিল, রুটি

গোল গরম, বলে দিল খাও। বেঁচে থাকার মানে, খাও।

 

উদাসীন আমরা সেইথেকে..


৯.

প্রস্তাব নেই, কুহক আছে

পাঠ করার আগে মনে হল

দরজাটা বন্ধ, খোলেনি

প্রস্তাব আর কুহকের ভেতরে খয়েরি রঙের দরজাটা

 

এমন নয় যে আপেলের রঙ সেপ্টেম্বর

দরজার রঙ মনপাওয়াসী

কুহক পেরিয়ে যাওয়াই যখন দরজা খুলে দাঁড়াবে

আপেল প্রস্তাব পড়বে

কুয়াশাকুহকান্ত

সে এক দুরন্ত আপেল, সে এক আর্দ্র উদাসী, কানের পাতা দুটো রেখে যে চলে গিয়েছিল এটা সেটায়..