রাণাঘাট থেকে
গভীর দুপুরে আমার ষাটের যুবককে লেখা ২য় চিঠিবাসর।
ষাটের যুবক___
১ম বাসর খামবন্দী রেখেই ২য় বাসরের অপেক্ষা না করে যুবকজ্বরের অন্তিমশয্যায় ১খানা খানাখন্দের ঘর জমা রাখলাম। অজুহাতের শরীর ছিন্ন করে হাজার ভীরে আমার চোখের দালান অস্পষ্ট হয় নীলকণ্ঠ প্রজাপতির হাড়গোড়ের উপত্যকায়। তুমি কি বুঝেছিলে অবসাদহীন মেঝের ফাপা শূন্যতাবোধে নিষিদ্ধ মোমজামার বরাদ্দ আগুনের সলতেটাকে? এ যাবৎকাল দেখা হবে কিনা জানি না। যদি দেখা হয় শুধু হাতের কেলভিনে জমানো কিছু উষ্ণ পালকের গঙ্গা বইয়ে দিতে চাই।
আমার ষাটের যুবক! আপনাকে লুকিয়ে লুকিয়ে বহু দেখেছি আর ভেবেছি এ আমার সর্ব কালের যুবাপুরুষ।আমার ঘরভরা বসন্তের সংসার। হাতাখুন্তির টুংটাঙে আমার ছন্দহীন অক্ষরের অন্তর্বাসে আপনিটা বড্ড তুমি পাগল হয়ে ওঠে যখনতখন। আপনার ১টা পোস্টে দোকানঘরের শেয়ার মার্কেট,দালাল,ধোঁয়া ওঠা ভাঁড়ের স্টেশন চত্বর, গুঁড়ো বিস্কুটের সোদা প্রসূতি হাসপাতাল থেকে শুরু করে কুমারী মায়ের নষ্ট ভ্রূণ,বেশ্যার রোমাঞ্চিত প্রিপেইড ঘন লাশ আর অন্ধকার গলির আমিতে বড্ড লড়াই চলে।হাজার লাইক, শেয়ারের স্রোতে ভাসতে ভাসতে শীতবস্ত্রের সশস্ত্র পাহাড়ায় আপনার সাদা পাজামার সখে ঘুরপাক খায় আমার আঠাশ বসন্তের মাছভাত।
ষাটের যুবক....দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে? সৌভাগ্যের দরজায় এখন আর লেবুলঙ্কার আচার শুকাই না। আগামীর দুপুরঘন ছাদটা বন্দক দিলাম। বিনিময়ে সাথে থাকার লোভে হাইতোলা আঁচলের প্রতিশ্রুত উদ্বেগের মজ্জাঘড়ির দূরস্থ সময়। ষাট বাষ্পের বাষ্পীয়রথের শুকনো গোলাপ এখনো জমা পড়ে আছে কোন ১ অংক খাতার শেষ পাতায়। আগামী ৩০ বসন্তের গচ্ছিত গোলাপি শহরে আমাদের বেপরোয়া পতাকাপথ হেঁটে যাবে বিজয় উল্লাসে।মনে পড়ে, বাবা কেজিদরে পুরনো খাতা বিক্রি করলে আমার ভীষণ কষ্ট হতো। কিন্তু নতুন কাগজের গন্ধ অভিলাষী অভুক্ত সুখে সে দুঃখ ভুলে যেতাম। সে গন্ধধ্বনি বরাবরই আমার বড় প্রিয়। সে প্রিয়তার প্রথম কবিতা মানসী হোচট খেতে খেতে এখন ঘন ভাতের দাবী অবশ্য করে না।তবে আপনার আসার অপেক্ষায় প্রতিদিন একটু একটু করে রোদআলতায় পা বুলায়।
অবশেষে বলি, অগোছালো আয়নার আয়ুঘরে ধারাবাহিক চুমু খেলেও এ শহরের নির্ঘুম বেহালা শিহরিত হয় না।
ইতি
জন্মান্ধ কুয়াশার পুনর্জন্ম।

1 comment:
বাহ চমৎকার লেখা !!
Post a Comment