ষাটের যুবক,
আমার শব্দ বরাদ্দ উপবাস আপনার প্রিয় শহরের দেয়াল লিখন। নেশাহীন লাল পতাকার গভীরে ভারী হয়ে আসা কথারা থতমত বাড়ীর খড়কুটো আঙুলে হেঁটে বেড়ায় ১ নাগরিকঘন বিষন্নতা। মনে পড়ে যায় আপনার এলোমেলো আঙুল বিক্রির ফতোয়া। উচ্চারিত চেতনার ফোঁটা ফোঁটা জলে আমি পাঠাচ্ছি আপনাকে হাঁসের পালকে প্রশস্ত নিউরোণ রঙের ধবধবে দাঁতের হাঁসফাঁস। আমায় স্বেচ্ছামৃত্যুর পরোয়ানা জারি করলেন অথচ আজীবন ভালোবাসার ক্ষতবিক্ষত কলমে আত্মহত্যার বিপ্লব নিভে যাচ্ছে পায়ের পাতার ফলকে। পরিযায়ী ঠিকানা সরিয়ে বুনিয়াদি বিকেল লিখে দিলেন আর মানসী তখন মুন্সি অথবা মুনস্ কিংবা দুহাতে সরব হত্যার গোলামে হৃৎপিণ্ড পুড়িয়ে দিলো সস্তার ভাত-বালিশে।
আমি তো কবি হতে চাইনি যুবক! যুবকত্বের চৌকাঠ পেড়িয়ে শুধু হাতা-খুন্তির টুং-টাঙে না হয় শয়ে শয়ে কবিতার ফসিল হয়েই আপনার অভ্যেসের জল,মাটির বারুদমাখা এঁটো প্রলাপের চড়াই বোনা সকাল সাজতাম। অথচ আপনি তীব্র ভর্ৎসণায় ছুঁড়ে ফেললেন আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। তীব্র নোনা ঢেউয়ে ভিজে যাওয়া আমাকেই আবার বুকে রাখলেন আর আমি খুলে ফেললাম অজস্র শব্দের জমে যাওয়া নীলনদ। আমার ষাটের যুবক! নিদারুণ চোখের সুতোয় অবসরমাখা দুপুরগুলিতে পায়ে পায়ে পালটে যায় তর্জনী থেকে মধ্যমা। তখন উৎসবের আলোতে গলে যায় উল্লাসের মেঘসম্ভাব্য ক্ষয়মুখ। কথার পাশে শুয়ে থাকা ডানার স্তাবক প্রজাপতি কিংবা ব্রহ্মা কোনোটাই নয়।
শুধু যাকিছু ব্যক্তিগত উপান্ত যুবক
নির্বাসিত কোনো ১নদী ভাবো
ছায়া হয়ে ছিঁড়েছো আলোর নুপুর
এসো হে গভীর কলমের ক্রীতদাস
তবু আমি ১ সহজ কোলাজ______
ইতি
জন্মান্ধ কুয়াশার পুনর্জন্ম
রাণাঘাট
১৮/৪/২০২৫

No comments:
Post a Comment